স্মিতা বক্সির পরিবর্তে বিবেক গুপ্ত। মালা সাহার পরিবর্তে অতীন ঘোষ। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়🌌া ভবানীপুরে শোভন💟দেব চট্টোপাধ্যায়। আর শোভনদেবের প্রাক্তন কেন্দ্র রাসবিহারীতে দেবাশিস কুমার।
সেই চার কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেই কলকাতায় বাজিমাত করল তৃণমূল ক🌸ংগ্রেস। তার ফলে কলকাতার ১১ আসনেই উড়ল তৃণমূলের ঝাণ্ডা। লোকসভা আসনে যে তিনটি আসনে লিড ছিল বিজেপির, সেই তিনটি আসনেই বেশ বড় ব্꧅যবধানে জিতেছে মমতার দল।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে হিন্দিভাষী ভোটারদের একটা বড় অংশ সমর্থন পেয়ে জোড়াসাঁকোয় এগিয়ে ছিল বিজেপি। ২০০১ সাল থেকে নিজেদের দখলে সেই আসন থাকলেও হিন্দিভাষী ভোট টানতে স্মিতাকে সরিয়ে হিন্দি সংবাদপত্রের মালিক বিবেক গুপ্তকে প্রার্থী করে তৃণমূল। বিজেপিও জোরদার প্রার্থী দিয়েছিল। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। ১২,৪৭৩ ভোটে জিতে ‘কঠিন’ আসনে জোড়াফুল ফুটিয়েছেন বিবেক। সেইসঙ্গে কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রে বিদায়ী বিধায়ক মালা সাহার পরিবর্তে অতীন ঘোষকে টিকিট দেয় তৃণমূল।👍 লোকসভা ভোটে সেখানে তৃণমূল এগিয়ে এগিয়ে থাকলেও দলীয় কারণেই অতীনকে প্রার্থী করা হয়। তাতে আখেরে লাভ হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। তবে লোকসভা ভোটে শ্যামপুকুর কেন্দ্রে বিজেপি থাকলেও সেখানে প্রার্থী পরিবর্তন করেনি তৃণমূল। বিদায়ী বিধায়ক শশী পাঁজা আবারও জিতেছেন।
অন্যদিকে, ভবানীপুরে এবার মমতা না দাঁড়ানোয় পাশের কেন্দ্র রাসবিহারী ছেড়ে আসেন বর্ষীয়ান নেতা শোভনদꦿেব। যাঁর ভাবমূর্তি অত্যন্ত স্বচ্ছ। ফলে ভবানীপুরে অবাঙালি ভোটকে হাতিয়ার করে যে ধাক্কা দিতে চেয়েছিল বিজেপি, তা শুরুতেই ভোঁতা করে দেয় তৃণমূল। সঙ্𒀰গে বিজেপিও তুলনামূলক ‘দুর্বল’ প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে টিকিয় দিয়ে তৃণমূলের কাজটা আরও সহজ করে দেয়। তারইমধ্যে শোভনদেবের ছেড়ে আসা রাসবিহারী কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিট পান দেবাশিস কুমার। যে আসনে গত লোকসভা ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। দেবাশিস দীর্ঘদিনের পুর প্রতিনিধি এবং এলাকায় যথেষ্ট পরিচিতিও আছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্লাস পয়েন্টের সদ্ব্যবহার করে রাসবিহারীতেও জিতে বেরিয়ে গিয়েছেন দেবাশিস।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কলকাতা এমনিতেও তৃণমূলের শক্তঘাঁটি। আর লোকসভা নির্বাচনে যে ফাটল দেখা দি🧔য়েছিল, তাতে প্রার্থী বদল করে নিখুঁতভাবে গাঁথনি দিয়েছে তৃণমূল। সেইসঙ্গে বিদায়ী বিধায়করাও নিজেদের আসন ধরে রেখেছেন। সেই দুইয়ের যুগলবন্দিতেই কলকাতায় মমতা-ঝড় উঠেছে।