বাংলার রায় কার্যত স্পষ্ট, 'বাংলা নিজের মেয়েই চায়'। বিকাল ৪-টে পেরিয়ে গিয়েছে, ২৯২-টার মধ্যে ২০৯ টা আসনে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। মোদী-শাহ ম্যাজিক কার্যত ফিকে, সব হিসাব উলটে তিন সংখ্যা ছুঁতে ব্যর্থ বিজেপি। পিছিয়ে রয়েছেন দলের একাধিক তারকা প্রার্থী। রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের ভালো ফলের মাঝেও নিজের জয় ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন, খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিদায়ী বিধায়ক প্রদীপ সরকার৷ দিলীপ ঘোষের খাসতালুক হিসাবে পরিচিত খড়্গপুরে শেষ হাসি হাসল গেরুয়া শিবির। এই বিধানসভা আসনে꧟ জয়ী হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
ডবল ইঞ্জিন সরকার হচ্ছে না, তাই জয়ের হাসি কিছুটা ফিকে, তবে হিরণ সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবার কথা বললেন এদিনও। হিরণ বলেন, ‘যেখানে মানুষ চেয়েছে তৃণ🤪মূল জিতেছে, যেখানে মানুষ চেয়েছে বিজেপি জিতেছে। এটা মানুষের জয়’। হিরণ বহিরাগত, এই তত্ত্ব এদিনও খা💧রিজ করে হিরণ জানালেন, প্রদীপদাকে আমি খোকনদা বলি। আমার দাদার নামও খোকন। এই নামটা আমার প্রিয়, আমার ওঁনার সঙ্গে সকালেই কথা হয়েছে। আমি বলেছি মানুষের জন্য, মানুষের হয়ে কাজ করতে হবে। এর মধ্য যেন কোনও ভয় বা সন্ত্রাস না থাকে। মানুষের যেন কোনও কষ্ট না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে'। হিরণ বললেন, আমি মানুষের জন্য এসেছি, মানুষের জন্য কাজ করব'।
হিরণ কি এবার🉐 স্থায়ীভাবে খড়্গপুরের বা🦹সিন্দা হবেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে হেসে পালটা হিরণ বলেন- 'আপনারা একটা জায়গা দেখুন না, কালকেই বাড়ি বানাব'।
হিরণ এবং প্রদীপ সরকারের পাশাপাশি এই কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে লড়াই করেছেন 𓆏কংগ্রেসের রীতা শর্মা। আগে সম🍬ীর রায়কে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়দের ক্ষোভের জেরে প্রার্থী বদল করা হয়।
রেলশহর খড়গপুর সদরে বরাবরই কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৬২ সালে এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন জ্ঞান সিং সোহনপাল। তারপর থেকে প্রায় ১০ বারের বিধায়ক ছিলেন তিনি। সেই জ্ঞান সিং ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে হারিয়ে জিতেছিলেন বিজেপির দিলীপ ঘো𒁏ষ। পরে উপ-নির্♓বাচনে জায়গা হারায় বিজেপি।