কয়েক ঘণ্টাও কাটে๊নি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী।এরই মধ্যে তৃণমূলের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল তাঁকে।শুনতে হল, পিঠে ছুরি মেরেছেন তিনি।দিল্লিতেবিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি 𝕴জেপি নাড্ডার হাত থেকে শনিবারই পতাকা তুলে নেন, সদ্য প্রাক্তন তৃণমূলের প্রবীণ এই নেতা।
এর পরক্ষণেই বিস্ফোরণ ঘটান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পিটিআইয়ের এক সাক্ষাৎকারে কুণাল বলেন,‘ গত ৭ বছর ধরে তিনি যখন দলের মধ্যে ছিলেন তখন তো তিনি কিছুই বলেননি।অথচ ভোট যখন সামনে, তখনই কেন তিনি 🐠দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন? এরপর তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে কুণাল বলেন,🦂 ‘ তিনি অকৃতজ্ঞ।এছাড়াও তিনি এরাজ্যের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।তিনি দলের বেশ কয়েকটি পদে ছিলেন। দলের তরফে তাঁকে অনেক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই কঠিন সময় তাঁকে তৃণমূলের ঋণ শোধ করা উচিত ছিল। তা না—করে তিনি পিছন থেকে ছুরি মারলেন।’
কুণালের বক্তব্যকে সমর্থন করে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘ এই ধরনের নেতারা এমনই হন। মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতা আত্মসাৎ করেন। তারপর ভোট আসলেই দলত্যাগ করেন।’ এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে দীনেশ বলেন, ‘ এই সোন🐠ার মূহুর্তের জন্য এতদিন আমিঅপেক্ষা করছিলাম। তিনি আরও বলেন, 💮‘ বাংলার মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করেছে।কারণ তাঁরা হিংস্রতা ও দুর্নীর্তি থেকে রাজ্যের প্রকৃত পরিবর্তন চাইছেন।’
৭০ বছর বয়সী এই প্রবীণ নেতা ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় দল থেকে পদত্যাগ করেন।তিনি বলেন, ‘এরাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয় কিছু না—বলতে পেরে দম আটকে আসছিল।’ তিনি 🐼আরও জানান, বাংলার প্রকৃত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার𝄹 তাঁর ক্ষমতা সীমিত ছিল।
তৃণমূল সুপ্রিমো ও এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একদা ঘনি ষ্টসহযোগী ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। ২০১১ সালে ইউপিএ আমলে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার জন্য মূখ্যমন্ত্রীর প্রথম পছন্দ ছিলেন এই প্রবীণ নেতা। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটা হেভিওয়েট নেতার পদত্যাগ প্রত্যক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিবেদীর আগ꧂ে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রিসভার 🥀দু’জন প্রাক্তন মন্ত্রী—সহ অন্যান্য নেতারা, রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলকে ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। খেলাপিদের তালিকার সর্বশেষ সংযোজন হলেন দীনেশ বাজাজ ও সোনালী গুহ, যাদের খুব শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।