দীর্ঘ টালবাহানার পর 'গ্যাংস অফ ফিল্মিস্তান'-তে যোগ দিতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁর শর্ত ছিল, কোনওভাবেই সুনীল গ্রোভারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন না। কিন্তু সম্প্রতি সেই কমেডি শোয়ের চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে গেলেন শিল্পা শিন্ডে। একইসঙ্গে নি༒র্মাতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে চুক্তিতে সই করানোর অভিযোগ তুললেন।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শিল্পা দাবি করেছেন, প্রথম থেকেই তাঁকে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। এমনকী সপ্তাহে নাকি দু'দিন শুটিংয়ের আশ্বাস দিয়েও দিনের পর দিন ১২ ঘণ্টা করে শুটিং চালিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'আমি প্রথম থেকেই জানিয়েছিলাম সুনীল গ্রোভার যদি থাকেন, তাহলে আমি এই প্রজেক্টে থাকব না। তখন আমায় আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বলেই রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু পরে জ༒ানতে পারি, সুনীল আসছেন। তখন প্রশ্ন করলে আমায় চরিত্রের তালিকা দেখানো হয়। তাতে সুনীলের নাম ছিল না। কিন্তু পরে আমায় জানানো হয়, সুনীল আসবেন। তবে ওঁর সঙ্গে আমায় ༺কোনও শুট করতে হবে না। কিন্তু আমার পক্ষে সেই প্রস্তাব মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি।'
শিল্পার বক্তব্য, কপিল শর্মার কমেডি শো'তে প্রত্যেকে নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পান। 'গ্যাংস অফ ফিল্মিস্তান'-এ 🐽তার ন্যূনতম সুযোগ নেই। এখানে সবটাই নিয়ন্ত্রণ করেন সুনীল। অভিনেত্রীর কথায়, ‘যথারীতি কিছুদিন পর সুনীল আসেন এবং ওঁকে ঘিরেই যাবতীয় শুটিং হতে থাকে। সব কিছুর ফোকাস ওঁর উপরই পড়ে। যা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া খুব কঠিন হচ্ছিল। উনি ছাড়া বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের গুরুত্ব এতটাই কমে গিয়েছিল যে আমাদের হাতে স্ক্রিপ্ট পর্যন্ত দেওয়া হত না। আমি এতদিন বাদে আবার কামব্যাক করতে চাইছি। আর সেটা কখনওই ভিড়ে দাঁড়িয়ে হাততালি দেওয়ার জন্য নয়।’ পাশাপাশি করোনাভাইরাসের বিধি মেনেও শুটিং করা হত না বলে অভিযোগ তোলেন শিল্পা।
অন্যদিকে, সম্প্রতি ‘হিন্✅দুস্তান টাইমস’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সুনীল জানিয়েছিলেন, 'গ্যাংস অফ ফিল্মিস্তান'-এর মাধ্যমে আবারও শুটিং ফ্লোরে ফিরতে পেরে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত তিনি। বিচারকের আসনে বসে অন্যান্যদের পারফরমেন্স বিচার করতে হবে বলেও খুশি ছিলেন অভিনেতা।