রণবীর ভট্টাচার্য
৯০ এর দশক ছিল বড় অদ্ভুত সময় ভারতীয় হিন্দি সিনেমার। একদিকে মুক্ত অর্থনীতির স্বাদ আর অন্য দিকে তিন খান, মন মাতানো গান আর প্রেমের বিচ্ছুরণ নিয়ে নতুন ধারার সিনেমা।♋ কোভিড প🐼রবর্তী যুগে ওটিটি কয়েক ধাপ এগিয়েছে বটে, তবে নব্বইয়ের দশকের সাথে পাল্লা দেওয়ার মত কেউ আসেনি। আজ যশ চোপড়ার 'দিল তো পাগল হ্যায়' সিনেমার ২৫ বছর পূর্তির দিন। শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিত, করিশমা কাপুরের ত্রিকোণ প্রেম নিয়ে এই সিনেমা, যেখানে রাহুল, পূজা আর নিশা নিয়ে আবর্তিত হয় সিনেমার গল্প। সিনেমার প্লট সবারই জানা, আর তার সঙ্গে গানগুলো তো বটেই!
ভারতীয় সিনেমায় মিউজিক্যাল তৈরির প্রবণতা অপেক্ষাকৃত ভাবে কম। সেই দিক থেকে 'দিল তো পাগল হ্যায়' আলাদা তো বটেই। মাধুরী দীক্ষিত আর করিশমা কাপুরের নাচের টক্কর দর্শকদের অন্যতম সেরা পা𓃲ওনা এই সিনেমায়। শাহরুখ খান আর অক্ষয় কুমার একই সিনেমায় - উদাহরণ বলিউডে আর নেই বললেই চলে। ফরিদা জালাল থেকে অরুণা ইরানি, শক্তিশালী চরিত্রাভিনেতারা এই সিনেমার সম্পদ। ব্যক্তিগত ভাবে শাহরুখ খানের জন্য এই সিনেমা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' আর 'দিল তো পাগল হ্যায়' প্রমাণ করেছিল যে বিদেশি লোকেশনে ত্রিকোণ প্রেমের আবহে শাহরুখ খান নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ বাজি। তবে এটাও ঠিক, এখনকার দিনে এই সিনেমা দেখলে মনে হতেই পারে যে অকারণ আড়ম্বরের মেলায় নিম্নমানের অভিনয় আর চড়া মেলোড্রামা অনেকটাই প্রয়োজনীয় ছিল না। তবে যশ চোপড়ার সিনেমাটিক জীবনে এই সিনেমার একটা মাইলস্টোন বটে। মাধুরী দীক্ষিতের অভিনয় জীবনের প্রথম ইনিংসের ব্যাড প্যাচ কাটাতে সাহায্য করেছিল এই সিনেমা। আর করিশমার ক্ষেত্রে প্রমাণ করার তাগিদ ছিল যে শুধু কমেডি নয়, তিন খানের সাথে রোম্যান্সের ক্ষেত্রেও সমান সাবলীল কাপুর পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী।
গতানুগতিক প্রেমের সিনেমা আজকাল আর বানানো হয় না কোথাও। দর্শক বদলেছে, বদলেছে পছন্দও। তবে নিখাদ ভালো গান, চকচকে সেট আর স্টার নিয়ে এবং বিন্দুমাত্র যৌনতায় ভর না করেও যে হিন্দি কমার্শিয়াল সিনেমা মানুষের মন জয় করে নিতে পারে - তার সেরা উদাহরণ অবশ্যই 'দিল তো পাগল হ্যায়'। আর বলাই বাহুল্য, পঞ্চাশ 🍎পেরিয়ে যাওয়া আজকের রাহুল, নিশা আর পূজারা এখনও অনেক আনন্দ পাবেন এই নিখাদ বলিউডি সিনেমায়।