সাম্প্রতিক সময় বলিউডে বায়োপিকের ছড়াছড়ি, স্পোর্টস নিয়েও কম ছবি তৈরি হয়নি বি-টাউনে। তবুও কোনও এক অজানা কারণে ভারতের কিংবদন্তী হকি খেলোয়াড় ধ্যানচ💖াঁদের জীবনকে রূপোলি পর্দায় তুলে ধরবার প্রচেষ্টা দেখা যায়নি পরিচালকদের মধ্যে। অবশেষে সেই গুরু দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ‘উড়তা পঞ্জাব’ খ্যাত পরিচালক অভিষেক চৌবে। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হল ধ্যানচাঁদের বায়োপিক।
এই ছবি প্রয়োজনার দায়িত্বে থাকছেন রনি স্ক্রুওয়ালা,এবং ২০২২ সালে মুক্তি পাবে এই ছবি। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুপ্রতীক সেন এবং অভিষেক চৌবে। গত এক বছর ধরেই এই বায়োপিক লেখার কাজ সারছেন জুটি, চিত্রনাট্য প্রায় তৈরি। তব꧟ে এখনও চূড়ান্ত হয়নি ছবির কাস্ট।
টুইটারে আরএসভিপি মুভিস এই ছবির ঘোষণা সেরꦯে বলে- ‘১৫০০-র বেশি গোল, অলিম্পিকে ৩টে সোনার পদক- ভারতের গৌরবগাথা… আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে আমার পরবর্তী ছবি অভিষেক চৌবের সঙ্গে যা হতে চলেছে হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের বায়োপিক’।
শুধু ভারত নয়, বিশ্বের ইতিহাসের সেরা হকি খেল🐈োয়াড় হিসাবে বিবেচিত হন মেজর ধ্যানচাঁদ। অলিম্পিকের আসরে ভারতে তিনটি সোনার পদক এনে দিয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে করেছেন ১৫০০-র বেশি গোল। তাঁর খেলায় মন্ত্রমুগ্ধ ছিলেন খোদ হিটলার। ধ্যানচাঁদের নামেই দেওয়া হয় ক্রীড়াক্ষেত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার, তাঁর জন্মদিন ২৯ অগস্ট পালিত ভারতের ‘ন্যাশন্যাল স্পোর্টস ডে’।
এই ছবি নিয়ে নিজের এক্সাইটেমন্টের কথা বলতে গিয়ে পরিচালক অভিষেক চৌব🦩ে জানিয়েছেন, আমাদের জাতীয় খেলা হকির ইতিহাসের সর্বকালের সেরা প্লেয়ার মেজর ধ্যানচাঁদ। আমার কাছে এটা অত্যন্ত গর্বের একটা বিষয় যে আমি ওঁনার বায়োপিক পরিচালনা করছি। এর পিছনে রয়েছে সুবিশাল রিসার্চ, সত্যি বলতে ওঁনার জীবনের প্রত্যেকটা অ্যাচিভমেন্ট নিয়ে আলাদা করে একটা গল্প বলা যেতে পারে। আগামী বছরেই আমরা শ্যুটিং শুরু করব, শীঘ্রই ছবির কাস্টের ঘোষণা করা হবে'।
ধ্যানচাঁদপুত্র অশোক কুমার, যিনি ১৯৭৫ সালের অলিম্পিক ফাইনালে গোল করে দেশকে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছিলেন তিনি এই ঘোষণা নিয়ে দারুণ খুশি। তিনি জানান, ‘আজ পর্যন্ত হকির ইতিহাসে ধ্যানচাঁদের মতো দ্বিতীয় একজন প্লেয়ার জন্মায়নি। যখন🦹 আমাকে রোহিত বেদ (কো-প্রোডিউসার) বাবার জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল, আমি ওর ইচ্ছার মধ্যে একটা উত্সাহ আর ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলাম- তাই এককথায় রাজি হয়ে যাই। এই বিশ্ব আরও একবার ওঁনার কীর্তিগুলো জানবে, পর্দায় দেখবে’।