ইতিমধ্যেই দীর্ঘ পাঁচ দিন অতিক্রান্ত। অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুটা এখনও মেনে নিতে 🐭পারছেন না তাঁর গুণমুগ্ধ🌼 ভক্তরা। গত বৃহস্পতিবার কাকভোরে এই টলি অভিনেতার অকাল প্রয়াণের খবরে স্তব্ধ হয়ে যায় টলিগঞ্জ। মাঝরাতে নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন অভিষেক।
অভিষেকের মৃত্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী পিয়া সেনগুপ্ত। একসঙ্গে প্রায় ১০-১২টি ছবিতে কাজ করেছেন দুজনে। কখনও নায়িকা কখনও আবার অভিষেকের বোনের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন পিয়া। ‘দাদার আদেশ’, ‘মায়ের আঁচল’, ‘ঘর জামাই’-এর মতো অজস্꧂র হিট ছবিতেꦍ কাজ করেছেন তাঁরা। তপন দত্তর ‘মায়া জালের খেলা’ ছবিতে শেষবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
পিয়ার কথায়, আমি আতঙ্কে আছি। এখনও মেনꦡে নিতে পারছি না অভিষেক আর নেই'। এখানেই থেমে থাকেননি অনুপ সেনগুপ্ত-ঘরণী। অভিষেকের ম꧂ৃত্যু নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী যোগ করেন,' শুনেছি ও নাকি শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে হতে চাইনি। ওকে নাকি ডাক্তারও হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিল। ও বলল যাবে না'।
এর পরেই এই নায়িকার প্রশ্ন, আর ওর এই দাবি সবাই শুনল। আশ্চর্য! অসুস্থ মানুষ মানেই রোগী। রোগীর কথা শোনা হয় নাকি এই সবক্ষেত্রে! জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল ওকে। কেউ নিয়ে গেল না। না শুটিং লোকের লোকজন, না পরিবারের কেউ। বড্ড অবহেলা হয়ে গিয়েছে। সেদিন যদি বা꧂ড়িতে না নিয়ে গিয়ে শুটিং ফ্লোর থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত, অভিষেক আজ আমাদের মধ্যে থাকত… এভাবে চিরদিনের মতো চলে যেত🔯 না'।
মৃত্যুর আগের রাতেও স্ত্রী সংযুক্তার সঙ্গে স্টার জলসার নতুন রিয়ালিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র শ্যুটিং করেছেন অভিষেক। সেখানেই অসুস্থবোধ করলে চিকিত্সকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলেন। দুৃ-দিন আগে থেকেই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা। তবে হাসপাতালে যেতে রাজি হননি তিনি, বাড়িতেই স্যালাইন তিনি চান। কিন্তু বাড়িতে প্রাথমিক চিকিত্সা শুরু করা💜 যায়নি। কয়েকঘন্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তারকা।