তখন বলিউডে এক♕দম নতুন মুখ রাধিকা আপ্তে। ‘অন্তহীন’-এর বৃন্দা তখনও বি-টাউনের স্টার হয়ে ওঠেননি তিনি। আগুন গতিতে মায়ানগরীতে ছড়িয়ে পড়েছিল রাধিকা আপ্তে ও তুষার কাপুরের প্রেমের গল্প। সালটা ২০১১। সেই সময় ‘শোর ইন দ্য সিটি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দুজনে। ‘সাইবো’ গানের দৃশ্যায়নে দুজনের মাখোমাখো রসায়ন আপনাকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছিল সে কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই।
ছবি মুক্তির আগে শোনা গিয়েছিল বাস্তব জীবনেও নাকি প্রেম করছেন তুষার-রাধিকা। সেই গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢালেন তুষা🔯রের দিღদি,তথা ছবির প্রযোজক একতা কাপুর। কফি উইথ করণের মঞ্চে একতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, মূলত মেয়েদের ব্যাপারে তাঁর ভাইয়ের পছন্দ খুব খারাপ, তবে রাধিকা মারাত্মক সুন্দরী। পাশাপাশি তিনি আশা করেন, তুষার-রাধিকার রসায়ন শুধু পর্দাতেই আটকে থাকে। পরে রাধিকা জানিয়েছিলেন তিনি তুষারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পর্যন্ত নন, প্রেম তো দূর অস্ত! সম্প্রতি অভিনেত্রী ফাঁস করেছেন পুরোটাই আদতে ছিল একটা পাবলিসিটি গিমিক।
এক সাক্ষাৎকারে রাধিকা বলেন, ‘আমি লন্ডনে গিয়েছিলাম কনটেম্পোরারি ডান্স ফর্ম রপ্ত করতে। সাইবো সেই সময় দুর্দান্ত হিট, তাঁরা আমাকে প্রচারের জন্য ডেকে পাঠালো। এরপর তাঁরা (শোর টিম) শুধু আমাকে আরা তুষারকে নিয়ে কিছু গসিপ রটাতে থাকলো। যার কোনও সত্যতা ছিল না। এই প্রমোশন ট্যাক্টিস নিয়ে আমার বিশেষ জানা ছিল না। শুরুতে আমার দারুণ মজা হয়েছিল। আমি একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম, সেখানে লেখা ছিল আমি নাকি গোয়ায় ভ্যালেন্টাইন্🉐স ডে সেলিব্রেট করেছি তুষারের সঙ্গে। আর আদতে আমি সেই সময় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম লন্ডনে’।
‘শোর ইন দ্য সিটি’ রাধিকাকে বলিউডে পরিচিতি দিয়েছিল, সে কথা এই সাক্ষাৎকারে অকপটে মেনে নেন অভিনেত্রী। এই ছবির সাফল্যের পর তাঁর ঝুলিতে বেশ কিছু বিগ ব্যানার ছবির অফার এসেছিল। যꦑদিও সেই সুযোগকে পুরোপ🔥ুরিভাবে কাজে লাগাতে পারেননি নায়িকা।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই খুব চাপা রাধিকা আপ্তে। ২০১২ সালে ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী বেনেডিক্ট টেলরকে গোপনে বিয়ে করেছেন রাধিকা। ১০ বছর ধরে সুখে সংসার করছেন দুজনে। রাধিকাকে শেষ পর্দায় দেখা গিয়েছে ‘বিক্রম বেদা’ ছবিতে। গায়েত্রী পুষ্করের এই ছবিতে♒ রাধিকা স্ক্রিন শেয়🥃ার করেছেন হৃতিক ও সইফের সঙ্গে। আগামিতে তাঁকে দেখা যাবে ভাসান বালার ‘মণিকা… ও মাই ডার্লিং’ ছবিতে। রাজকুমার রাও ও হুমা কুরেশির সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন রাধিকা, শ্যুটিং-এর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ।