টলিউডের অন্যতম হার্টথ্রব নায়ক তিনি, তবে ২০২১-এ বাঙালি দর্শক চিনেছে এক অন্য অ🅠নির্বাণ ভট্টাচার্যকে। অভিনেতা অনির্বাণ পরিচালক হিসাবে কতখানি দক্ষ তার প্রমাণ দিয়েছে হইচইয়ের ওয়েব সিরিজ ‘মন্দার’। আর নতুন বছরের প্রথম দি⛦নই সুখবর দিলেন টলিউডের এই ভার্সাটাইল তারকা। এতদিন অনির্বাণের ফিল্মোগ্রাফিতে ফিচার ফিল্ম পরিচালনার ক্রেডিট ছিল না, এবার সেটা জুড়তে চলেছে। ২০২২-এ কাহিনিচিত্র পরিচালনায় হাতেখড়ি হচ্ছে অনির্বাণ ভট্টাচার্যর। ছবির নাম ‘বল্লভপুরের রূপকথা’, প্রযোজনায় এসভিএফ।
বাদল সরকারের বিখ্যাত নাটক ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ রুপোলি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চলেছেন অনির্বাণ। রঙ্গমঞ্চের মানুষ অনির্বাণ, সেখান থেকেই জন্ম ‘মন্দার’-এর, প্রথমবার ছবি পরিচালনায় এলেও সেই পিছুটান ভুলে গেলেন না অভিনেতা। বন্ধু প্রতীক দত্তর সঙ্গে মিলে🌄 এই ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন অনির্বাণ, চিত্রনাট্যের প্𓃲রথম ড্রাফট তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে ঘষামাজার কাজ বাকি, অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচনও খুব শীঘ্রই শুরু করবেন পরিচালক।
কেমন হবে ‘বল্লভপুরের রূপকথা’? হরর কমেডি জঁর ছবি এটি। বিষয়গত বা দৃশ্যগত দিক থেকে ‘মন্দার’-এর একদম বিপরীত মেরুতে অবস্থিত এটি। রাজবাড়ির দুই চরিত্র, রায় পরিবারের শেষ উত্তরাধিকারি ভূপতি রায় এবং তাঁর ভৃত্য মনোহরকে ঘিরে এই ছবির চিত্রনাট্য। প্রচণ্ড অর্থাভাবে ভুগছেন একসময় বল্লভপুরের রাজপাট সামলানো রায় পরিবারের এই বংশধর। অবশেষে বাড়ি বিক্রি🐼র ♚প্রস্তাব আগে ভূপতি রায়ের কাছে, সেই সময় ক্রেতা, ভূপতি, ভৃত্য মনোহর আর ভূতে মিলে কী কী কাণ্ড কারখানা হয়, তা নিয়েই এগোবে ছবির গল্প।
অনির্বাণ জানিয়েছেন, ‘আমি সবসময়ই হরর কমডি বা স্যাটারের ভক্♎ত, এটা বলবার অপেক্ষা রাখে না যে আমরা ছোট থেকেই কিছু প্রবাদপ্রতিম পরিচালকদের এমন কিছু গল্প রুপোলি পর্দায় দেখেই বড় হয়েছি। আমি বলব না এমন জঁর ছবি বাঙালি দর্শক আগে দেখেনি বা বাংল༒ায় তৈরি হয়নি, তবে অবশ্য বলব বল্লভপুরের রূপকথা একটা মন ভালো করা ছবি হবে তবে এর মধ্যে চমক থাকবে। আমার শেষ কাজ (মন্দার) মানুষের অন্ধকার দিকটা তুলে ধরেছে, এবার কিন্তু একদম উলটো’।

পরিচালনা আর অভিনয়ের মধ্যে ব্যালেন্স কেমনভাবে বজায় রাখবেন অনির্বাণ? এক সাক্ষাত্কারে এই টলি তারকা জানালেন, ‘আমি নিজেকে মূলত অভিনেতা হিসাবেই 🌠দেখতে꧟ চাই। তাই প্রযোজকদের জানিয়েছি বছরে একটাই পরিচালনার কাজ করব, আমি মনে করি আমার মতো নবীনদের ক্ষেত্রে, যাঁদের পরিচালনায় প্রথাগত কোনও শিক্ষা নেই তাঁদের জন্য এটাই ঠিক। কাজটা করতে করতেই আমরা শিখছি, আমাদের বেশি সময় লাগে’। আগামিদিনে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির পরিচালক হয়ে উঠবেন অনির্বাণ? উত্তরটা সময় বলে দেবে।