২০০৩ সালে 'বুম' ছবির মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন ক্যাটরিনা কইফ। বক্স অফিসের মতো দর্শকদের স্মৃতি থেকেও সেই ছবি উবে যেতে মোটেই বেশি সময় নেয়নি। এরপর আরও দু'টি ছবিতে অভিনয় করলেও ২০০৭ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর অভিনীত ছবি 'নমস্তে লন্ডন'। রাতারাতি লাইমলাইটে চলে আসলেন ক্যাটরিনা। সে ছবি তো বক্স অফিসে সুপারহিটের তকমা পেলই, পাশাপাশি একের পর এক সিনেমার অফারে 'বুক' হতে থাকল 'ক্যাট' এর ডায়েরির সব ডেট। তবে জানেন কি এই ছবি প্রথমবার দেখে ক্যাটরিনার মনে হয়েছিল তাঁর বলিউডের কেরিয়ার সন্দেহাতীতভাবে শেষ! কেরিয়ারের কফিনের সাহস পেরেকটা তিনি 'নমস্তে লন্ডন'-এর মাধ্যমেই মেরে দিয়েছ𝕴েন।
এ অন্য করোওর কথা নয়। নিজের মুখেই প্রকাশ্যে একথা ফাঁস করেছিলেন এই জনপ্রিয় বলি-অভিনেত্রী। একবার ছোটপর্দাꦏর জ🧸নপ্রিয় চ্যাট শো 'কফি উইথ করণ'-এ হাজির হয়ে 'ক্যাট' জানিয়েছিলেন প্রথমবার 'নমস্তে লন্ডন' দেখে কতটা আতঙ্কিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর অবশ্য ছবিটি যখন বক্স অফিসে সুপারহিটের তকমা পায়, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন ক্যাটরিনা।
' ছবির পরিচালক-প্রযোজক বিপুল অমৃতলাল শাহ যখন আমাকে প্রথমবারের জন্য নমস্তে লন্ডন দেখিয়েছিলেন মনে মনে শিউরে উঠেছিলাম। এরপর ছবির ব্যাপারে মতামত জানানোর জন্য ফোন করতে বললেও আমি তাঁকে আর ফোন করে উঠতে পারিনি। একজন পরিচালক একথা বললে তাঁর ছবির যেকোনও অভিনেত্রীর সেটাই পালন করা উচিৎ। সেখানে আমি ঘরে ফিরে একটা কল পর্যন্ত ওঁকে করে উঠতে পারিনি এতটাই জঘন্য ছিল আমার মনের অবস্থা। কী বলব ভেবেই পাচ্ছিলাম না।' শেষপর্যন্ত পরিচালকের সহকারী নায়িকাকে ফোন করে জানায় যে তাঁর এই ব্যবহারে অত্যন্ত ক্ষুণ্ন হয়েছেন বিপুল। অবশেষে কোনওরকমে ক্যাটরিনা বিপুলকে ফোন করে জানান তাঁর ভালো লেগেছে ছবিখানা। জিদ না মনে ততক্ষণে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছিল যে 'নমস্তে লন্ডন' তাঁর কেরিয়ার বরবাদ করে দেবে। সেটা আর শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। 'রীতিমতো ব্যাগ ট্যাগ গুছোনোর পরিকল্পনা করে ফেলেছিলাম। একপ্রকার ভেব♕েই রেখেছিলাম তল্পিতল্পা গুটিয়ে অন্য কাজের সন্ধান করতে হবে এবার!' সাফ সাফ জানিয়েছিলেন ক্যাটরিনা।
তবে এই ছবি যখন বক্স অফিসে সুপারহিটের তকমা পায়, সবথেক🔯ে অবাক মনে হয় ছবির নায়িকাই হয়েছিলেন। এরপর তাঁর কেরিয়ার যে শুধু উল্কাবেগে উন্নতিই করেননি বরং একইসঙ্🌠গে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে তাঁর জায়গাটা পাকা করে দিয়েছিল যা এখনও বর্তমান।