২০ নভেম্বর রবিবার সব লড়াই থামিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই থমকে গেল ফুটফুটে-প্রাণবন্ত এই মেয়েটা। রেখে গেছেন মা-বাবা, দিদি ঐন্দ্রিলা শর্মা আর প্রেমিক সব্যসাচীকে। সেই প্রথম থেকে মেয়ের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার ম🌄া-বাবা। বাবা পেඣশায় ডাক্তার, মা নার্সিং স্টাফ। দিদিও ডাক্তার।
দিদি ঐশ্বর্যর আর দিন কাটছে না ‘বুনু’কে ছাড়া, মঙ্গলবার গভীর রাতে করলেন লম্বা পোস্ট। লিখলেন, ‘অনেকদিন তো হলো, এবার তাড়াতাড়ি চলে আয় বুনু। তুই ছাড়া আমি যে পঙ্গু। কে আমাকে সাজিয়ে দেবে বলতো? কে আমার ছবি তুলে দেবে? কে না বলা মনের কথাগুলো আমার মুখ দেখে বুঝে যাবে? কে আলাদীনের আশ্চর্য্য প্রদীপের মতো আমার সমস্ত মনের ইচ্ছে পূরণ করবে?কার সাথে আমি ঘুরতে যাবো? কার সাথে পার্টি করবো? কার সাথে আমি সারারাত জেগে সিনেমা দেখবো-গল্প করবো? কে আমাকে সঠিক পরামর্শ দেবে? আমাদের এখনও কত প্ল্যান বাকি আছে বলতো? কে আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসবে? কে আমার জন্য পুরো পৃথিবীর সাথে লড়বে, আমাকে আগলে রাখবে? আম🌼ার যে তুই ছাড়া আর কোনো বেস্ট ফ্রেন্ড নেই।’
ঐশ্বর্যর ফেসবুকে চোখ রাখলেই দেখা যাবে বোনের সঙ্গে কাটানো একগুচ্ছ ছবি। বোনের কোনও ভিডিয়ো পেলেই তা শেয়ার করতেন গর্বের সঙ্গে নিজের ওয়ালে। ক্যাপশনে থাꩵকত ভালোবাসা ভরা বার্তা। মঙ্গলবারের রাতের পোস্টের শেষে ঐশꦗ্বর্য লিখেছেন, ‘তুই যে আমার জীবনীশক্তি। এই ২৪ বছরে আমি যে নিজে থেকে কিছুই করতে শিখিনি বুনু। আমি জানি তুই সাবলম্বী, কিন্তু তোর দিদিভাই যে তোকে ছাড়া খুব অসহায়। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আয় বুনু। অপেক্ষায় রইলাম।’
প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলা মারা যাওয়ার দিনই নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ডি অ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। এরপ✅র মঙ্গলবার ইনস্টা থেকেও বিদায় নেন। প্রেমিকা মারা যাওয়ার আগে মুছে ফেলেছিলেন গত কয়েকদিনে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত করা পোস্টগুলিও।