২০২২ সালের ২০ বছর না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন টলিউডের অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তবে এত অল্প বয়সে এভাবে হারিয়ে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারেনি বাংলার বেশিরভাগ মানুষ। ২০২২ সালের নভেম্বরে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্♛ত হন ঐন্দ্রিলা। ‘ইউয়িং সারকোমা’-র রোগী ছিলেন তিনি। এই টাইপের ক্যানসার সহজে পিছু ছাড়ে না। চিকিৎসকদের ধারণা ক্যানসার রিভাইভ করেছিল ঐন্দ্রিলার শরীরে। ব্রেন স্ট্রোকের পর কোমায় চলে যান।
তবে ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে যে শূন্যতা তৈরি🗹 হয়েছে প𒅌রিবারে তা কখনোই ভরার নয়। মা শিখা আর দিদি ঐশ্বর্যর স্মৃতিতে প্রায়ই উঠে আসেন তিনি। ২০২৪ সালে পা রাখার শুভেচ্ছা ঐশ্বর্য জানালেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে সেই ছবিতে ব্যবহার করলেন বোনু-র ছবি। প্রয়াত ঐন্দ্রিলার হাসি মুখ দেখে মন কেমন করে উঠল নেট-নাগরিকদের।
এক নেট-নাগরিক কমেন্টে লিখলেন, ‘হ্যাপি নꩵিউ ইয়ার দিদি। যেখানে আছো খুব ভালো থেকো।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘হাসিমুখটা দেখলে মন কেমন করে ওঠে, মেনে নিতে পারি না এই মৃত্যুটা কখনোই’। তৃতীয়জন লিখলেন, ‘একজন সত্যিকারের 👍যোদ্ধা ছিল ঐন্দ্রিলা। ওর থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি যখন আমার স্বামী ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিল।’
পেশায় ঐশ্বর্ꦦয ডাক্তার। সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল রিলসও শেয়ার করেন তিনি আজকাল। অনুরাগী♓ সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এমনকী, ঐন্দ্রিলার ভক্তরাও খুব ভালোবাসে ঐশ্বর্যকে।
২০২৩ সালের টেলি অ্য়াওয়ার্ডসে ঐন্দ্রিলা শর্মাকে মরণোত্তর বিশেষ কৃতি সম্মান দেওয়া হয়। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছিল একট🌞ি ক্লিপও। অভিনেত্রীর বাবা-মা মেয়ের ছবি নিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন সেই সম্মান নিতে। দুজনেই ভেঙে পড়েন কান্নায়। ভেজা চোখে দুজনকে সামলান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরস্কারও তুলে দেন তাঁদের হাতে।
সেদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচীও। ফোন হাতে সেই বিশেষ মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করে নিচ্ছিলেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে শিখাদেবী জানিয়েছিলেন ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দুজনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।ꦿ জানিয়ಞেছিলেন, ‘সব্যসাচী নভেম্বরে (২০২২ সালের) বিয়ে করতে চেয়েছিল। ওর বাড়ির লোকও তাই বলেছিল। তবে ঐন্দ্রিলা বলল, না মা আমার চুলটা দু'মাসে আরও একটু বড় হয়ে যাবে, সুন্দর হয়ে তারপর সাজব। তখনই বিয়ে হবে। সেই মতোই সব ঠিকঠাক হয়েছিল।’
অনেক না পূরণ হওয়া⛦ স্বপ্ন আর স্মৃতিকে সঙ্গে রেখেই এখন সময় কাটছে অভিনেত্রীর মা-বাবা আর দিদির। একই হাল সব্যসাচীরও। কাজে ফিরলেও, ভালোবাসার মানুষটা না থাকার যন্ত্রণা যেন সবসময় থাকে চোখেমুখে।