২৫তম জন্মদিনের মাত্র তিনমাস আগে না-ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। গত রবিবার প্রয়াত হন এই টেলি নায়িকা। দীর্ঘ ২০ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষমেশ হার মেনেছেন ঐন্দ্রি🌞লা। দেখত🍌ে দেখতে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর চারদিন অতিক্রান্ত। এই মৃত্যুশোক কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার ও প্রিয়জনেরা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-বাবা, দিদি এবং প্রেমিক সব্যসাচী।
ঐন্দ্রিলারꦇ মৃত্যুর পর অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে প্রয়াত অভিনেত্রীর মা জানিয়েছিলেন, ‘ছোট মেয়ে আমার পরিবারের মেরুদণ্ড’। হ্য়াঁ, দিদি ঐশ্বর্যকেও হামেশা লাগতে রাখত ঐন্দ্রিলা। পেশায় ডাক্তার ঐশ্বর্য, তবে 'বুনু' ঐন্দ্রিলার মতামত ছাড়া এ পা বাড়াতেন না ঐশ্বর্য। আসলে ‘দিদিভাই’-এর পছন্দটা সবচেয়ে ভালো জানত ঐন্দ্রিলা। তাই তো ‘বুনু’কে ছাড়া পঙ্গু হয়ে পড়েছেন ঐশ্বর্য। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর একদিকে যেমন সোশ্যাল মিডিয়াকে বিদায় জানিয়েছেন সব্যসাচী, অন্যদিকে প্রয়াত অভিনেত্রীর দিদি মন কেমনের কথা শেয়ার করে নিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ঐশ্বর্যর ফেসবুকের দেওয়ালে ভেসে উঠল ঐন্দ্রিলার স্মৃতি।
বোনের যাবতীয় সুখস্মৃতিকেই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেছেন ঐশ্বর্য। ফোনের গ্য়ালারি ঘেঁটে বোনের সঙ্গে কাটানো তেমনই এক মিষ্টি মুহূর্তের ঝলক এদিন প্রকাশ্যে আনলেন ঐশ্বর্য। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ঐন্দ্রিলার জন্মদিনের ভিডিয়ো। হলুদ সালোয়ার কামিজ পরে সোফায় বসে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা, আর আদরের ছোট বোনের গালে চকোলেট কেক মাখিয়ে দিচ্ছেন ঐশ্বর্য, আর চুমুর পর চুমু। পাশে বসে সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলা তার গালে কেক লাগাতেই ভারী বিরক্ত তিনি, উঠে চলে গেলেন মুখ ধুতে। ঐন্দ্রিলাও জানালেন এই কেক মাখামাখি তাঁর ভালো লাগে না, কিন্তু দিদি শোনবার পাত্রী নন! স্পষ্ট কথা, ‘বছরে একটা দিন আমি একটু কেক মাখাবো, আমার মধ্যে ওত্তো সফিস্টিকেশন নাই’। এরপর ফের ঐন্দ্রিলার গালে চুমু খেলে গেলে বুনু বলে উঠে, ‘না আমি চুমু খেতে পারব না’। কিন্তু নাছোড় বান্দা ঐশ্বর্য, সে চুমু খাবেই বোনের গওালে! বারবার এই স্মৃতিগুলো ভিড় করে আসছে ঐশ্বর্যর মনে।
নেটিজেনদের চোখে জল এই ভিডিয়ো দেখে। একজন লেখেন- ‘মিষ্টি স্মৃতি,,,সারাজীবন মনের মণিকোঠায় রয়ে যাবে।’ অপর একজন লেখেন-'সব কিছুই চিরটাকাল🐽 স্মৃতির চাদরে ঢাকা থেকে যাবে'।
ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া প্রতিটা মুহূর্ত অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ঐশ্বর্যর কাছে। বোনকে হারানোর যন্ত্রণা দু-দিন আগেও ফেসবুকে তুলে ধরেছিলেন ঐশ্বর্য। ঐন্দ্রিলার অসহায় দিদিভাই লেখেন, ‘অনেকদিন তো হলো, এবার তাড়াতাড়ি চলে আই বুনু। তুই ছাড়া আমি যে পঙ্গু। কে আমাকে সাজিয়ে দেবে বলতো? কে আমার ছবি তুলে দেবে? কে না বলা মনের কথা গুলো আমার মুখ দেখে বুঝে যাবে? কে আলাদিনের আশ্চর্য্য প্রদীপ এর মতো আমার সমস্ত মনের ইচ্ছে পূরণ করবে? কার সাথে আমি ঘুরতে যাবো? কার সাথে পার্টি করবো? কার সাথে আমি সারারাত জেগে সিনেমা দেখবো গল্প করবো? কে আমাকে সঠিক পরামর্শ দেবে? আমাদের এখনো কত প্ল্যানস বাকি আছে বলতো? কে আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসবে? কে আমার জন্য পুরো পৃথিবী র সাথে লড়বে,আমাকে আগলে রাখবে? আমার যে তুই ছাড়া আর কোনো বেস্ট ফ্রেন্ড ন📖েই। তুই যে আমার জীবনীশক্তি। এই ২৪ বছরে আমি যে নিজে থেকে কিছুই করতে শিখিনি বুনু। আমি জানি তুই সাবলম্বী কিন্তু তোর দিদিভাই যে তোকে ছাড়া খুব অসহায়। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আই বুনু। অপেক্ষায় রইলাম।’