কর্মক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়ে আজকাল অনেকেই ক্ষোভ উগরে দেন। কিন্তু প্রতিদিন আমাদের চারপাশে আমাদেরই সেবায় নিয়োজিত অনেক মানুষ দুর্ব্যবহারের শিকার হন, নিয়মিত। গৃহকর্মী তথা দুধওয়ালা, কাগজওয়ালাদের হয়ত মানুষ বলেই গণ্য করেন না অনেকে! তাই বোধহয় বড়বড় আবাসনের দেওয়ালে লিখে দিতে হয়- ‘কাজের লোক,দুধওয়ালা, কাগজওয়ালা লিফট ব্যবহার করতে পারিবে না’। আরও পড়ু💦ন-‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পড়েনি…’, CPIM অনুষ্ঠানে RG করের নির্যাতিতাকে নিয়ে ‘মিথ্যা বলল’ চিকিৎসক, ফুঁসলেন অরিত্র
বড়বড় বাংলা হরফে লেখা এমনই এক হাউসিং সোসাইটির বৈষম্য💦ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন মমতা-ভক্ত শিল্পী অভিরূপ মাইতি। থিয়েটার জগতের সঙ্গে যুক্ত অভিরূপ। তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া উইং-এর কর্মী। একটা সময় সুইগি ডেলিভারি বয় হিসাবে কাজ করতেন তিনি। ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ🐓্ঞতার কথা তুলে ধরে তাঁর প্রশ্ন, ‘এলিট শ্রেণী আসলেই কি মানুষ?’
তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘মনে পড়ে যখন সুইগি তে ডেলিভারি করতাম, তখন কো🐈নও হাই রাইজ এপার্টমেন্টে ডেলিভারি করতে গেলে সিকিউরিটি বলত সিঁড়ি দিয়ে যান, লিফট আপনাদের জন্য নয়। শেষ দিন যেদিন সুইগি তে ডেলিভারি করলাম সেদিন সাততলায় অর্ডার ছিল। আমি ব্যাচ অর্ডার এ ছিলাম অর্থাৎ একই রেস্টুরেন্টর খাবার কিন্তু দু’জায়গায় ডেলিভারি। তাই আমার তাড়া থাকায় আমি কাস্টমার কে রিকোয়েস্ট করেছিলাম যে উনি অন্তত দুটো তলা নীচে নামলে আমার কিছুটা তাড়াতাড়ি হয়। তিনি আমাকে ফোনে সটান বলেছিলেন যে ‘আপ লোগো কো ইসি লিয়ে পয়সা মিল রাহা হ্যায়’, সেইসময় মারাত্মক জলত🍒েষ্টা, সন্ধ্যে ৭ টা থেকে মিনিমাম ১০ টা ডেলিভারির টার্গেট এসব মাথায় নিয়ে ওই প্রথম ওনাকে বলেছিলাম ‘স্যার একটু মানবিকতাও তো দেখাতে পারতেন’। তিনি আমাকে ১ রেটিং দিয়েছিলেন। এবং ঐ দিনই আমার সুইগি তে শেষ ডেলিভারি ছিল।'
অভিরূপ আরও লেখেন, ‘নীচের লেখাটা দেখে অনেক কিছু মনে পড়ে গেলো। এই এলিট শ্রেণꦫী আসলেই কি মানুষ? এই এপার্টমেন্টে কেউ কি নেই এসবের প্রতিবাদ করার?’
অভিরূপের এই পোস্টের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। তবে কারুর কারুর মুখে শ♔োনা গিয়েছে উলটো📖 সুর। তাঁরা জানিয়েছেন, লিফট গণহারে ব্যবহার করলে অনেক সময় সঠিকভাবে ব্যবহার না করার জেরে বিকল হয়ে যায়। সেই কারণেই এই নিয়ম। অনেকে আবার দুষলেন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ গুলোকেই। তাঁদের কথায়, নিয়ম হওয়া উচিত লিফট ব্যবহার না করতে দিলে খাবার আবাসনের নীচে পর্যন্তই পৌঁছে দেওয়া হবে এমন নিয়ম রাখা উচিত।