ছবি: অযোগ্য
পরিচালক: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়
অভিনয়ে: ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শিলাজিৎ মজুমদার
রেটিং: ৪.১/৫
'একটা সময়ের🐻 পর বিয়ে শব্দটার ভার হালকা হয়ে যায়, থেকে যায় বন্ধুত্বের ওজন।' না, এটা আমার কথা নয়। ‘অযোগ্য’ ছবির সংলাপ। একটা সময় যে মানুষটাকে আমরা খুব ভালোবাসি, যার সঙ্গে থাকার স্বপ্ন দেখি সেই স্বপ্ন যখন পূরণ হয় না খুব রাগ হয়। অভিমানের পাহাড় জমে। কখনও বা বিতৃষ্ণা, প্রতিশোধস্পৃহা জন্মায়। কিন্তু বহু বহু বছর পর যখন আবার সেই দুটো মানুষের দেখা হয় তখন কি সেগুলোই মনে থাকে, নাকি সেসব কিছুকে সরিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস আর বন্ধুত্বটুকু বা কেবল ভালো চাওয়াটুকু থেকে যায়? এই উত্তরই খোঁজার চেষ্টা করেছে ব𒆙া দিয়েছে অযোগ্য। এবার চলুন জানা যাক কেমন হল ছবিটি?
আরও পড়ুন: 'আশা করব আপনি...' যাদবপুর থেকে জিততেই সায়নীকে নালিশ ভাস্বরের, কোন পরিไষেবা চাইলেন অভিনেতা?
‘অযোগ্য’র গল্প প্রসঙ্গে
পর্ণা এবং 🙈প্রসেন দুজনে ছোটবেলার বন্ধু এবং প্রেমিকা প্রেমিকা। কিন্তু একটা সম♓য়ের পর তাদের মধ্যে এমন কিছু একটা ঘটে যে তারা আলাদা হয়। বর্তমানে রক্তিমকে বিয়ে করে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিল পর্ণা। যদিও তাদের মেয়ে অসুস্থ। তবুও তার মধ্যেই তারা ভালো ছিল। এমন সময় চাকরি হারায় রক্তিম। তারপরই ধীরে ধীরে ঘুরে যায় জীবনের মোড়। আবারও তার দেখা হয় প্রসেনের সঙ্গে। তারপর...? কী হয়েছিল ২২ বছর আগে? এখনই বা দেখার হওয়ার পর কী ঘটল তাদের মধ্যে সেই গল্পই দেখিয়েছে ‘অযোগ্য’।
কেমন লাগল ‘অযোগ্য’?
যেহেতু এটি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত♔ এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জুটির ৫০ তম ছবি তাই প্রথম থেকেই ছবিটা নিয়ে দর্🦄শকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা ছিল। আর তাঁরা সকলে মিলে এই প্রত্যাশা বেশ অনেকটাই পূরণ করলেন। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁদের নিজ নিজ চরিত্রে বেশ ভালো। লিলি চক্রবর্তী, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ নিজ চরিত্রে বেশ ভালো। তবে শিলাজিৎ মজুমদার আলাদা করে নজর কাড়লেন। আসলে ওঁর অভিনেতা সত্তাকে টলিউড সেই অর্থে ব্যবহার করেনি কখনই। তবে এখানে তিনি তাঁর অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে আলাদা করে নজর কেড়েছেন। একই সঙ্গে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় মানেই যে গল্পের বুনন, ডায়লগ বোঝেন দর্শকরা সেগুলো ১০০ শতাংশ পেয়েছেন। কিছু কিছু সংলাপ তো বেশ মনে রাখার মতো।
আরও পড়ুন: ইটের জবাব পাথর! রেস📖্তোরাঁর মালিকে🧔র পর এবার তাঁর নামে পাল্টা FIR করলেন সোহম!
আরও পড়ুন: কঙ্গনাকে ঠাটিয়ে চড় মহিলা CISF জওয়ানের, আনন্দে রাজপথে মিষ্টি বিলোচ্ছেন এক ব্যক্তি! দেখুন কাণ্🌠ড
ছবির বেশ কিছু দৃশ্য নজর কেড়েছে। ‘অযোগ্য’ ছবির গান নিয়েই বা আর নতুন করে কী বলি! ইতিমধ্যেই সবগুলো দারুণ🎐 সাড়া পেয়েছে। এবং ছবির গল্পের সঙ্গে প্রতিটি গান একেবারে খাপে খাপ।
পরিশেষ෴ে এটুকুই বলা যায়, মন ভালো করা ছবি দেখতে চাইলেও যেমন এ🌊ই ছবি দেখা যায়। তেমন মন কেমনের অনুভূতিতেও ভরপুর ‘অযোগ্য’। আসলে যে কোনও সম্পর্কেই আমরা কে ‘অযোগ্য’, আর কেই বা যোগ্য বোঝা দায়!