গত কয়েকমাস ধরে টলিপাড়ায় চর্চার কেন্দ্রে যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদ। খাতায়-𒀰কলমে এখনও ডিভোর্স না হলেও, আলাদা থাকছেন তাঁরা তা প্রায় অনেকদিন হয়ে গেল। এর মধ্যেই হঠাৎ নীলাঞ্জনা বললেন, ‘স্মৃতি নিয়ে থাকব’। আচমকা কেন এমন বললেন তিনি? কোন স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচতে চান নীলাঞ্জনা?
টলি টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথাটি বলেছেন নীলাঞ্জনা। তবে এক্ষেত্রেꦛ তিনি তাঁর ব্যক্তিগত 💝জীবন নিয়ে কিছু বললেননি। আসলে শনিবার ছিল 'হরগৌরী পাইস হোটেল'-এর শ্যুটিংয়ের শেষ দিন। এই সিরিয়ালের পথচলা শুরু হয়েছিল যিশু উজ্জ্বল প্রোডাকশনের হাত ধরে। শুরুর সময় নীলাঞ্জনার পাশে যিশু থাকলেও, সফর শেষে তাঁর দেখা মেলেনি। তবে দুই মেয়েকে তিনি পাশে পেয়েছেন। তাঁদের নিয়েই তিনি শেষ দিনের শ্যুটিংয়ে হাজির হয়েছিলেন। একেবারে বস লেডির লুকে দেখা গিয়েছিল নীলাঞ্জনাকে। গত বছরের শেষ দিকে মেয়েদের নামে নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজও খুলেছেন নীলাঞ্জনা। তাঁর প্রযোজনা সংস্থার নাম ‘নিনি চিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন’। নীলাঞ্জনার এই প্রযোজনা সংস্থার আওতায় আপতত চলছে জি বাংলার মেগা ‘আনন্দী’।
তবে, এত চর্চার মধ্যেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলতে যে নারাজ যিশু। কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছে🎀ন, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত জীবন। আমি কেন আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বাইরে কথা বলব। এরা তো কেউ আর আমার কোনও খরচ চালায় না। আমি একজন অভিনেতা। আমার কাজ আমার হয়ে কথা বলবে। এটাই আমার পরিচয়। এটা একদম আমার ব্যক্তিগত জায়গা। এটা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে রাজি নই।’
আরও পড়ুন: 'গরম লাগছে...' গা দিয়ে খসে পড়ছে ব্꧟রা! বোল্ড অবতারে ধরা দিতেই সোনালির রূপে মু𒉰গ্ধ নেটপাড়া
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এই মেগার কাজ শুরু হয়েছিল। যেখানে বর্তমানে কয়েক মাসের মধ্যেই যেখানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ধারাবাহিক, সেখানে টানা দু-বছর চার মাস ধরে চলেছে এই মেগা। এই ধারাবাহিকে প্রথম দিকে মুখ্য চরিত্রে দেখা মিলেছিল রাহুল মজুমদার ও শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়ের। পরে গল্পে সময় এগিয়ে যায়, তবে মুখ্য চরিত্রে শুভস্মিতা থেকেই যান। সঙ্গে যোগ দেন মেগার নতুন নায়ক অর্ণব। তাই শ্যুটিংয়ের শেষ দিনে তাঁকে প্রচন্ড ভাবে কাঁদতে দেখা যায়। তবে কেবল শুভস্মিতা নয় বাকিদের মনেও জমেছিল মন খারাপের মেঘ। কিন্তু তার মাঝেই হয় কেক কাটা। 'হরগৌরী পাইস হোটেল'-এর গোটা টিমকে তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ধন্যব🧔াদও জানান নীলাঞ্জনা।