১৯৯২ সালের ডিসে♚ম্বর মাস। তখনও আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে বাবরের সেনাপতি মীর বাকিরের তৈরি মসজিদ। নাম ‘বাবরি 𓆉মসজিদ’। সেখানে মন্দির গড়ার 'প্রতিজ্ঞায়' তখন ভারতের ভূমিতে রথযাত্রা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে আগামী কয়েকদিনে কী ঘটতে চলেছে, তা নিয়ে ১ ঘণ্টা ৩১ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন আনন্দ পটবর্ধন।
সেন্সর বোর্ডের 'না', এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি নিষেধাজ্ঞাকে পেরিয়ে 🐽দীর্ঘ আইনি লড়াই জিতে যখন সেই তথ্যচিত্র 'রাম কে নাম' দূরদর্শনে প্রদর্শিত হচ্ছে, তত দিনে বা𝓰বরি মসজিদ আর নেই। এখন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস। আর আজ সেই অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। এমতবস্থায় চলচ্চিত্রকার আনন্দ পটবর্ধন কী বলছেন, জেনে নিন।
আনন্দ পটবর্ধনের তথ্যচিত্রে যে সম্ভাব্য বিপদের আঁচ ছিল, তার বাস্তবায়নে তিনি অবাক নন। তিনি আরএসএস-বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি তখন থেকেই বলছিলাম যে, এই রাজনীতি সাম্প্রদায়িক উত♑্তেজনা ও সহিংসতার দিকে নিয়ে যাবে। আমার তথ্যচিত্রটি সেই সম্ভাবনাকেই তুলে ধরেছিল।’ বিরোধী দলগুলির ভূমিকায় তিনি হতাশ। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলগুলিও এই রাজনীতির বিরুদ্ধে তেমন জোরালো প্রতিবাদ জানায়নি। তারা বরং এই রাজনীতির সুবিধা নিতে চেয়েছে।’ আনন্দ পটবর্ধন মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, তাঁর তথ্যচিত্রের প্রদর্শন নিয়ে দ্বিধা করেছে দেশের অ-বিজেপি সরকারও। তিনি বলেন, ‘সেই সরকারগুলিও এই রাজনীতির প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করতে চেয়েছিল।’
পাশাপাশি, আনন্দের অভিযোগ, ‘পুরো বিষয়টিই রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই। বিজেপি-আ🦩রএসএস সংখ্যাগুরু তাস খেলতে চায়।’ তাঁর যুক্ত💞ি, ‘ষোড়শ শতকে তুলসীদাস হিন্দি অনুবাদ করার পরে রামায়ণ জনপ্রিয় হয়। তার আগে ভারতে সে ভাবে রামমন্দির ছিল না। সুপ্রিম কোর্টও বলেনি, যেখানে রামমন্দির ছিল, সেখানেই বাবরি মসজিদ হয়েছে।’
পটবর্ধনের মতে, অযোধ্যার🌺 রামমন্দির নির্মাণ এবং তাকে ঘিরে থাকা বিষয়গুলি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের বিরোধী। তিনি জানান, তিনটি সরকারই দূরদর্শনে তাঁর তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করতে দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘তথ্যচিত্র বানানোর পরে তা দে𓃲খানোর জন্য অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল। প্রথমে ছাড়পত্র পাওয়ার ꦬজন্য লড়াই করতে হয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়ার পরে প্রদর্শনের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। সেই সময়ে কেন্দ্রে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ছিল। তবুও দূরদর্শন তথ্যচিত্রটি দেখাতে চায়নি। তার পরে বহু বছর আইনি লড়াই করে আদালত থেকে নির্দেশ নিয়ে আসার পরে একবার দূরদর্শনে দেখানো হয়েছিল।’
আনন্দ পটবর্ধন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এখন যদিও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, তবুও এখনও কোথাও কোথাও এই তথ্যচিত্র পꦑ্রদর্শন করা সহজ নয়।’