শহরের অনিন্দ্য বসুও কি এবার চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হাঁটতে চলেছেন? হ্যাঁ, তেমনটাই অন্তত তিনি জানালেন। ছবি বানাচ্ছেন তিনি। নিজের নান𝄹া কাজ থেকে ডিপ্রেশনের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ের কথাও জানালেন।
এই সময়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে গায়ক বলেন, 🐼♒'গান বাজনা এখন আমার প্রায়োরিটি নয়। সম্প্রতি আমি একটি ছবি বানালাম, শুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে। নাম সত্যি কথার গল্প।' তিনি আরও জানান আরও কয়েকটি ছবির ভাবনা আছে তাঁর। এসবের সঙ্গে গানবাজনা রয়েছে।
এই ছবিগুলোর মধ্যে কি তিন ইয়ারি কথা ছবির সিক্যুয়েলও আছে? এই প্রসঙ্গে অনিন্দ্য বল🅘েন, 'হ্যাঁ, 🔯ছবিটা আমিই পরিচালনা করব। তবে এটা সিক্যুয়েল বলতে পারেন, আবার স্রেফ তিন মাঝ বয়সী পুরুষের বন্ধুত্বের গল্প বলতে পারেন।'
একটা সময় ছিল বাংলা ব্যান্ডের গান লোকের মুখে মুখে ফিরত, এফএꦿম ইত্যাদিতে শোনানো হতো। বাদ যেত না সিঙ্গেলস। কিন্তু এখন আর সেটা হয় না। বর্তমান সময়ে বাংলা অরিজিন্যাল বা ব্যান্ড ইত্যাদির গান সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অনিন্দ্য বলেন, 'নতুন গান তৈরি হলেও এখন সেগুলো শোনানোর মাধ্যম নেই। মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। আজকাল কোথাও অরিজিন্যাল গান চালানো হয়। শিল্পীরা দয়া ভিক্ষা করার মতো নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলের লিংক পাঠিয়ে গান শোনার আবেদন করছেন। এভাবে হয়?'
কিন্তু এটার জন্য কি কোথাও নিম্নমানের কাজ, কনটেন্꧟ট দায়ী নয়? এই জন্যই কি এফএম, টিভিতে সেই চালানো বন্ধ করে দেওয়া হল বলে মনে করেন? উত্তরে অনিন্দ্য বলেন, 'বর্তমান যুগটাই তো নিম্ন মেধার। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে রিল বা ভিডিয়োগুলো লক্ষাধিক ভিউজ পায় সেগুলোর অধিকাংশই তো নিম্নমানের, অসভ্যতা ছাড়া ওগুলো কিছুই নয়। আর এটা যেহেতু ট্রোলিংয়ের যুগ তাই সেই মজা মশকরা এগুলোকে আরও বাহবা দিচ্ছে।'
তবে এই তিনি প্রসঙ্গে আরও একটি দিকও তুলে আনেন। বলেন, 'কিন্তু অপব্যবহার বেশি হলেও অবশ্যই ꦐকিছু সত্যিকারের ট্যালেন্ট এখান থেকেই উঠে আসছে। আসলে আজকাল ৫ মিনিটের গান কেউ শোনে না। সবাই ৩০ সেকেন্ডের রিল দেখতে চান।'
কেবল কাজ নয়, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বললেন নানা কথা। কয়েক মাস আগে তিনি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে পোস্ট দেন। তারপর সিধু একপ্রকার তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন কিন্তু হয়েছিল কী? এই প্রসঙ্গে অনিন্দ্য বলেন, 'সেদিন অত্যধিক মদ্যপান করেছিলাম। আর মদ্যপ অবস্থাতেই ভুলটা করি। কিন্তু একটা জিনিস, আমাജর বন্ধু হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এভাবে আমার ব্যক্তিগত বিষয় সংবাদমাধ্যমকে বলে দেওয়াটাꦛ আমি ঠিক মানতে পারিনি কিন্তু। এটা কোনও বন্ধুর কাজ হতে পারে না। যদিও আমি এই বিষয়ে ওর সঙ্গে কথা বলতে চাই না। কিন্তু বিষয়টা আমার খারাপ লেগেছে। এটা বললেই পারত।'
কিন্তু কেন করেছিলেন এটা তিনি? অনিন্দ্য উত্তরে বলেন, 'আমি বহুদিন ডিপ্রেশনে ভুগছিলাম। দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটা আমার ভুল। আমি অনেককে কষ্ট দিয়েছি। ভুল বুঝেছি। ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে এসেছি এখন। আর ওই ভুল করব না✱।'