চলতি মাসের শুরুতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে দীপিকা পাড়🐈ুকোন অভিনীত ‘গেহরাইয়া’। পরিচালক শকুন বাত্রার এই ছবি দেখ𒈔ে দু-ভাগে বিভক্ত দর্শক। এক শ্রেণির এই ছবি দুর্দান্ত লেগেছে, আরেক অংশের মোটেই পছন্দ হয়নি ‘গেহরাইয়া’। নাম ছাড়া গোটা ছবির মধ্যে কোনও গভীরতা খুঁজে পাননি তাঁরা। দীপিকা ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অনন্যা পাণ্ডে, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, ধৈর্য্য কারওয়া।
কেউ কেউ এই ছবিতে যে পরিমাণে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে সেই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে, আবার ভাস্কর রাও-এর মতো প্রাক্তন পুলিশ কমিশানার এই ছবির বিষয়বস্তুর মধ্যেই সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন। তবে প্রশংসা হোক বা সমালোচনা, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ার হট টপিক ‘গেহরাইয়া’। এর মাঝেই ‘গেহ﷽রাইয়া'র একটি ভুল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন এক অস্ট্রেলিয় সাংবাদিক। প্রযোজক করণ জোহরের এই ছবি নিয়ে অজি সাংবাদিক কোলে আমান্ডা বেইলির একটি টুইট এখন শোরগোল ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সিনেমার শ্যুটিং-এর সময় একটি দৃশ্য কখনও একটা টেকে শেষ হয় না। একাধিকবার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে একটি শট নেওয়া হয়। এডিট টেবিলে বসে পরপর শট জুড়ে একটি সিকুয়েন্স তৈরি করেন এডিটর। আর শট নেওয়ার সময় সবচেয়ে জরুরি হল কনটিনিউটি ধরে রাখা। মানে শটের সময়কার প্রপ, আইটেম সব যেন পরের শটেও একই স্থানে থাকে। আর এটি খেয়াল রাখবার দায়িত্ব থাকে সহকারী পরিচালকদের। তবে ‘গেহরাইয়া’ ছবির সহকারী পরি🐲চালকরা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে বোধহয় খুব বেশি সচেতন ছিলেন না।
ছবির একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে ঘরের ভিতর বয়ফ্রেন্ড সিদ্ধান্তের (জেইন) সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন অনন্যা (টিয়া)। তাঁর হাতে রয়েছে একটি কাঁচের গ্লাস, টিয়া জল খাচ্ছে। শটের শুরুতে অনন্যার হাতে একটি ডিম্বাকৃতি কাঁচের গ্লাস দেখা যায়, অথচ মিনিটখানেক পর দৃশ্যের শেষে আচমকাই বদলে যায় অনন্যার হাতের গ্লাস। ডিম্বাকৃতি নয়, এখন তাঁর হাতে রয়েছে একটি সিলেন্ডারের মতো আকৃতির কাঁচের গ্লাস। অথচ মাঝে কোথাউ গ্লাস নীচে নামাননি অনন্যা, অন্য গ্লাসও হাতেꦬ তোলেননি!
কোলের এই পোস্টে কমেন্টের বন্যা। সকলেই প্রশংসা করেছেন কোলের তীক্๊ষ্ণ নজরের, পাশাপাশি ট্রোল করতে ছাড়েননি অনন্যা ও টিম গেহরাইয়া-কে। একজন লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, এতটাই গভীর যে এইসব পরিচালক খেয়াল রাখেননি’। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘বাবার মতো ও জোক করছে’।
গেহরাইয়ার এই ভুল আপনার চোখেও কি পড়েছিল?