প্রেমের মাসেই টিভির পর্দায় সফর শুরু হচ্ছে রেজওয়ান ও নবাগতা জ্যোতির্ময়ীর অন্য রকম প্রেমের গল্প ‘বঁধুয়া’র। স্টার জলসার আসন্ন মেগার প্রোমো সামনে আসবার পর থেকেই চর্চায়। প্রশ্ন উঠেছিল,কোন স্লটে আসবে এই মেগা? অবশেষে ইঙ্গিত মিলল। আরও পড়ুন-'মানুষ🤡 আজকাল বড্ড জাজমেন্টাল', জলসার আসন্ন মেগা বঁধুয়া নিয়ে মুখ খুললেন রেজওয়ান
শুরুতে জল্পনা ছিল, সন্ধ্যাতারা-র জায়গা নিতে পারে ‘বঁধুয়া’, তবে এবার রেজওয়ানের নতুন মেগা নিয়ে হাতে গরম আপটেড। আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে অর্থাৎ ভ্যালেনন্টাইনস ডে-র ঠিক দু-দিন পর স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচার শুরু হবে বঁধুয়ার। সময়? 🌟গুঞ্জন রাত ৮টা-র স্লটে নাকি আসলে বঁধূয়া। হ্যাঁ, ‘তুমি আশে পাশে থাকলে’র স্লটে আসছে এই সিরিয়াল। গত ৩রা নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল রোহন ভট্টাচার্য-অঙ্গনা রায়ের ভৌতিক মেগা। কিন্তু শুরু থেকেই দর্শক মনে সেভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি এই সিরিয়াল। অন্তত টিআরপি চার্ট সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হল, ‘ত𒀰ুমি আশে পাশে থাকলে’ কি শেষ হয়ে যাবে? সূত্র বলছে রাতের স্লটে পাঠানো হবে এই মেগাকে, এখনই বন্ধ হচ্ছে না এটি। রাত ৮টার স্লটে ‘নিম ফুলের মধু’র মতো কড়া প্রতিদ্বন্দ্বীকে টেক্কা দিতে না পারার জন্যই স্লট হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা টিম ‘তুমি আশে পাশে থাকলে’র। চ্যানেলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও জানানো হয়নি বঁধূয়ার সম্প্রচারের সময়।
‘নবাব নন্দিনী’ শেষꦐ হয়েছিল গত বছর মার্চে। তারপর লম্বা অপেক্ষা করেছে রেজওয়ান ফ্যানেরা। এই গল্পে আবিরের চরিত্রে রেজওয়ান। একান্নবর্তী পরিবারের খুব প্রিয় আবির।🎐 বাড়ির সকলেরই নয়নের মণি সে। ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখে সব সদস্যরা আবিরকে। বাড়ির লোক আবিরের বিয়ের উদ্যোগ নিলে সে জানায় পাত্রী খোঁজাই আছে। সেইমতো সকলে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে হাজির পেখমের বাড়িতে। পেখমের মা এসে মেয়েকে বলে সে যেন বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায়। কিন্তু তাঁর মনে যেন কাজ করছে দ্বিধা।
মন থেকে সায় না থাকলেও আবিরকে বি﷽য়ে করে পেখম। কিন্তু বিয়ের পর বরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় আপত্তি তাঁর। সহজ-সরল আবিরকে পেখম জানায়- ‘সব মনের কথা সবার সহ্য হয় না। কখনও কখনও নিজেরও না।’ কী সেই কথা? সিরিয়ালের যাবতীয় রহস্য লুকিয়ে সেখানেই।
এই সিরিয়ালের প্রোমো দেখে অনেকেই তুলনা টেনেছেন কার্তিক-কিয়ারা💙র ‘সত্যপ্রেম কি কথা’র সঙ্গে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে রেজওয়ান বলেছেন-'যাদের মনে হচ্ছে (মিল থাকার প্রসঙ্গ), নিশ্চয় কারণ থাকবে কোনও। আরেকটা কথা না বলে পারছি না… আমরা যে সাহিত্য বেশি পড়ি বা নাটক দেখি, তারা জানবেন, কোনও গল্পের মধ্যে অন্য কোনও গল্পের ছোঁয়া তো থাকবেই। সেটা দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল। মানে যুদ্ধের ছবি দেখে কারুর ট্রয়ের কথা মনে হবে, কেউ বাহুবলির কথা ভাববে। কিন্তু বাহুবলি বা ট্রয় তো এক ছবি নয়। তবে কমন পয়েন্টটা হল যুদ্ধ। কে কোন দৃষ্টিতে গল্পটা দেখতে তার উপর ব্যাপারটা নির্ভরশীল’।