বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবন খোলা বইয়ের মতো। রাখঢাক পছন্দ নয় তাঁর। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কের জেরেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসা বৈশাখীর। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের ‘বুড়ো বয়সের’ প্রেম থুড়ি পরকীয়া নিয়ে কাটাছেঁড়ার শেষ নেই। অথচ তাতে থোড়াই কেয়ার! আরও পড়๊ুন-‘ওর কাছে স্ত্রী শারীরিক খিদে মেটানোর জায়গা,কারুর পরিণতি যেন বৈশাখীর 🌜মতো না হয়', আক্ষেপ শোভন-বান্ধবীর
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজির অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলকে বিপ্লব করে বিয়ে করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু সেই দাম্পত্য সুখের হয়নি। ৯ বছর এক ছাদের তলায় থাকলেও এক রাতের জন্য শান্তিতে সংসার করতে পারেননি বৈশাখী। ২০২২ সালের এপ্রিলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজিৎ মণ্ডলের বিচ্ছেদে আইনি সিলমোহর দেয় আলিপুর আদালত। এর আগেও বহুবার প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈশাখী। মাদার্স ডে-তে মনোজিৎকে নিয়ে বিস্ফোরক বৈশাখী।
শুধু খারাপ স্বামী নয়, মনোজিৎ একজন খারাপ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বাবা, জানান বৈশাখী। মেয়ের সামনেই বিকৃত যৌন কাজকর্ম করতে বাধ্য করতেন মনোজিৎ, অভিযোগ তাঁর। তবে আফসোস নিজে হয়ত পরিস্থিতির চাপে পড়ে ‘খুব ভালো মা’ হতে পারেননি। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৈশাখী জানান, মহুল (বৈশাখী ও মনোজিৎ কন্যা)-এর ইচ্ছে ছিল ডিজনিল্যান্ড যাওয়ার। কিন্তু মেয়ের উপর ‘ভিসিটিং রাইটস’ রয়েছে বাবার, তাই এই ক্ষেত্রে বিদেশে যাওয়ার জন্য মনোজিতের অনুমতি নেওয়া বাধ😼্যতামূলক, তবে মত দেননি তিনি।
বাবাকে ফোন করে আবদার করেছে মহুল, তাতেও সুফল মেলেনি। উলটে মেয়েকে খোঁচা দিয়ে মনোজিৎ বলেছেন, ‘তোমার মায়ের তো ক্ষমতাশালী সঙ্গী আছে, দেখি কী করে যাও’। বৈশাখী আরও জানিয়েছেন, শোভনের আগেও অনেক পুরুষই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে একমাত্র শ🅰োভনই তাঁর মেয়েকে কাছে টেনে নিয়েছেন। মহুলের প্রতি শোভনের দায়িত্ববোধ ব🐈রাবরই চমকে দেয় বৈশাখীকে। মেয়েকে কখনও শোভনকে ‘বাবা’ বলে ডাকতে শেখাননি বৈশাখী। বরং স্বেচ্ছায় শোভনকে মহুল দুষ্টু বলে ডাকেন। নিজের জন্য এই নাম বাতলে দিয়েছেন শোভন নিজেই।
মায়ের সহবাস সম্পর্ক নিয়ে বহু কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে মহুলকেও! শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে কখনও কি ঈর্ষান্বিত হয়েছে ম🍎হুলের শিশুমন? বৈশাখী জানান, একবার নিজেই মেয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি কাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। জবাব শুনে তাজ্জব হয়ে যান। রিলিনার উত্তর ছিল, ‘তুমি দুষ্টুকে সবার থেকে বেশি ভালবাস।’ অভিমানের সুর ছিল একরত্তির গলায়। নিজের বক্তব্যের যুক্তিস্বরূপ সে জানায়, ‘মা তুমি আমাকে ছেড়ে থেকেছ, কিন্তু দুষ্টুকে ছাড়া থাক না'।
শোভন তাঁর জীবনে আর্শীবাদ। মেয়ের জীবনেও এক🥂টা শোভন আসুক, এমন প্রার্থনা আগে করতে শোনা গিয়েছে বৈশাখীকে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'আমি মাঝে মাঝেই শোভনকে বলি, আমার জীবনে যেমন তুমি আছো, ওর জীবনে যেন একটা শোভন থাকে। আমি সত্যি জানি না আমার মেয়ে আদেও একটা ছেলেকে বিয়ে ✃করবে কিনা। হতেই পারে ওর কোনও মেয়েকে ভালো লেগে গেল। এটা ওর জীবন। আমি মুক্তমনা। আমি কোনওদিন ওর উপর কিছু চাপিয়ে দিইনি। চাই না আমি যেমন স্বামী পেয়েছিলাম তেমন স্বামী ও পাক, তার চেয়ে শোভনের মতো কোনও পার্টনার ওর জীবনে আসুক। যে সম্পর্কে ওর গ্রোথ থাকবে, যে সম্পর্কে ওর সম্মান থাকবে। সে সম্পর্কটা নিয়ে প্রতিদিন ও আনন্দে মেতে থাকবে’।