আরজি কর কাণ্ডের পর আপাতত এরাজ্যের নাগরিকরা কমবেশি অনেকটাই বাংলাদেশ থেকে চোখ সরিয়েছেন। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ💦ের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমাগত আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে, সেকথা বারবার উঠে আসছে সেদেশের বিতারিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের পোস্টে। সেদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকের পাতায় বারবারই গর্জে উঠছেন প্রতিবাদী লেখিকা।
এমনকি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার বাংলাদেশে গঠিত অন্তর্বতী সরকারকে নিয়েও কটাক্ষ করছে ছাড়ছেন না তসলিমা। এবার তসলিমার পোস্ট ভারতের কাছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার অনুরোধ ཧপ্রসঙ্গে। ঠিক কী লিখেছেন তসলিমা?
তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের কাছে হাত জোড় করে চাল, ডাল, নুন, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, মাছ, মাংস, ইত্যাদি রফতানি বন্ধ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন। এখন যদি ভারত তাঁর অনুরোধ না রাখে, তাহলে কী হবে? কী আবার, দুর্ভিক্ষ হবে। দুর্ভিক্ষ বন্ধ করতে বাংলাদেশ ꦡকি অন্য কোনও দেশ থেকে খাদ্য আমদানী করবে? করলে খরচ পোষাতে পারবে তো? মনে হয় না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় অথচ দেশটির হালুম হালুম আওয়াজ এত জোরে হয় যে লোকে ভয় পেয়ে যায়। পরে অবশ্য বোঝে যে পুরোটাই সার্কাস এরিনা থেকে আসা।’
তসলিমার এই পোস্টের নিচে নেটিজেনদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। এক ভারতীয় লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ইলিশ না খেলে ভারতের মানুষꦡের কি ই বা আসবে যাবে! কিন্তু ভারতের চাল, পেঁয়াজ, 🍎চিনি, তেল ইত্যাদি না নিলে বাংলাদেশের মানুষ হাহাকার করবে। এটাই বাস্তব। এখন বয়কট বয়কট করা বাংলাদেশের মানুষগুলো কোথায়?’
আরও একজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ। বাংলাদেশের সত্য উলঙ্গ করে দিলেন। ভারত বয়কট এর নাটক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ভারত হা♑রিয়ে ইদ পালন, পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর-পূর্ব ভারত দখল করবার হুমকি প্রভৃতি বার্তা নিশ্চিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ছিল।বাংলাদেশের প্রচুর বন্ধু আছে। তারা উদার ও ধর্মনিরপেক্ষ অথবা নাস্তিক। আমার ধারণা, তারা বাংলাদেশের সংখ্যায় সীমিত। স্কু💟ল জীবনে পাঁচ জন ছাত্রের অপরাধের জন্য ৫০ জন ছাত্রদের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে, এই ক্ষেত্রে সম বিচার চাই।’ তসলিমার পোস্টে এমনই অসংখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে।
এখানেই শেষ নয়, আরও এক পোস্টে বাংলাদেশ সরকারের আইন উপদেষ্টার কথা তুলে ধরেཧছেন তসলিমা। লিখেছেন, ‘আইন উপদেষ্টা নাকি বলেছেন বাংলাদেশে ২৬ লℱক্ষ ভারতীয় চাকরি করে? উনি সম্ভবত বাংলাদেশি হিন্দুদের ভারতীয় বলে মনে করেছেন।’
তসলিমার এই পোস্টের নিচে এক ভারতীয় প্রশ্ন করেছেন, ‘বাংলাদেশে কি ছাব্বিশ লাখ হিন্দু আছে? হিন্দুদের চাকরি করা তো দূরে থাক আদতে কি এই সংখ্যার চাকরি বাংলাদেশে আছে?’ একজন লিখেছেন, ‘সম্ভবত নয়,তাই বলেছেন উনি। আমেরিকার টোপ গিলেছে ওরা। বুঝতে পারবে একসময়।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘লিস্ট দেখতে চায় জনগণ..’। এক কলকাতা নিবাসী লিখেছেন, ▨‘দিদি তো▨মার সুক্ষ রসিকতার তারিফ না করে পারি না, বর্তমানে কলকাতার এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মুখে হাসি ফোটায়!’ কোনও বাংলাদেশী আবার আইন উপদেষ্টা এমন বলেননি বলে দাবি তুললে, আরেকজন, আইনউপদেষ্টার বক্তব্যের লিঙ্ক পোস্ট করেছেন কমেন্টবক্সে।