বিনোদন দুনিয়ায় ফের এক নক্ষত্রপতন। প্রয়াত বাংলার স্বর্ণযুগের জনপ্রিয় শিল্পী শ্রীলা মজুমদার। বিগত ৩ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন শ্রীলা। শেষপর্যন্ত মারণ ব্য়াধির কাছে হার মানতে হল অভিনেত্রীকে। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের কাছে অভিনেত্রীর মৃত্য়ুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্বামജী। মৃত্যুকালে অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৫ বছর।
এদিকে শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তဣবে শুধু বাংলা নয়, হিন্দি সিনেমার দুনিয়াতেও নামী অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রীলা। কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিনয় শুরু করেছিলেন শ্রীলা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন অভিনেত্রী। বঙ্গবাসী কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে (বর্তমান💮ে X) লিখেছেন, ‘আজ বিকেলে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যু সংবাদে শোকাহত। শ্রীলা ছিলেন একজন উল্লেখযোগ্য এবং শক্তিশালী অভিনেত্রী যিনি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ভারতীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য𝓡 ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটা বড় ক্ষতি। আমরা ওঁর দুর্দান্ত উপস্থিতির অভাব বোধ করব। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যুর খবরে শোকাহত তাঁর কাছের বন্ধু, বোন ঋতুপর্ণা সেন💎গুপ্ত। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে ঋতুপর্ণা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার দিদি চলে গেল…’
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯-এ মৃণাল সেনের পরশুরাম ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রীলা মজুমদারের যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর মৃণাল সেনের মোট ৬ ছবিতে অভিনয় করেছেন শ্রীলা। মৃণাল সেনের 'একদিন প্রতিদিন', 'খারিজ' ছবিতে মমতা শঙ্করের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও পরিচালক মৃণাল সেনের 'অকালের সন্ধানে', ‘চোখ’ সহ মোট ৬টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। শ্যাম বেনেগালের 'আরোহন', মান্ডির মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাতিলের মতো অভিনেতাদে🍌র সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রীলা, নিজের কেরিয়ারে জিতেছেন অসংখ্য পুরস্কার।