গত ৯ই অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। প্রতিবাদের ঝড় সবমহলে। কাঠগড়ায় রাজ্য সরকার। প্রশ্নের মুখে পুলিশ-প্রশসান। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার কর্মবিরতি এবং এখন আমরণ অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তারদের ৭জন প্রতিনিধি। অনেকেই অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আরও প়ড়ুন-খাবেন শুধুই জল আর প্রয়োজনে ওষুধ, ১ দিনের প্রতীকী অনশনে বিরসা-বিদিপ෴্তা-দেবলীনা-চৈতিরা
ধর্মতলায় অর্ণব মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা এবং সায়ন্তনী ঘোষ হাজরার ‘আমর🐠ণ অনশন’ আজ ১৫তম দিনে পড়ল। শরীর ভাঙছে, সর্বক্ষণের যন্ত্রণা সঙ্গে নিয়েই দাবি আদায়ের লড়াইয়ে অবিচল তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে শনিবার সকাল ১১টা থেকে ২৪ ঘন্টা প্রতীকী অনশনে যোগ দিয়েছেন টলিপাড়ার সাতজন সৈনিক। তালিকায় রয়েছেন বিদীপ্তা চক্রবর্তী, বিরসা দাশগুপ্ত, চৈতি ঘোষাল, প্রতীক সেন, সৌম্য,দেবলীনা এবং তানিকা।
আমরা ৭ জন আজ সকাল ১১টা থেকে ২৪ ঘন্টা প্রতীকী অনশনে ওদের সঙ্গে। ওদের মনের জোর দেখে প্রতিনিয়ত শিখছি আমরাও। অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে শুরু থেকেই পাশে দাঁড়িয়েছেন বিদিপ্তা-সুদীপ্তারা। এদিন সকালে জুনিয়র ডাক্তারদের সাহসকে সেলাম জানিয়ে ফেসবুকের দেওয়ালে একটি পোস্ট করেন বিদিপ্তা। সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সেই ধেয়ে এল কটাক্ষ। জুনিয়র ডাক্তাররা ‘খেয়েদেয়ে’ অনশন করছেন, এমন অভিযোগ তোলেন এক নেটিজেন। জলি মিত্র নামে এক ফেসবুক ইউজার লেখেন, ‘আহারে খেয়ে দেয়ে উপোস করে থাকা বাছা ধন গুলি তোমা🔴দের সুবুদ্ধি দিক। ঈশ্বর তোমাদের শক্তি দেওয়ার আগে বুদ্ধি দিক’। এই মন্তব্য দেখে চুপ থাকতে পারেননি বিদিপ্তা। তিনি পালটা জবাব দেন। লেখেন, ‘আপনি জানেন এরা খেয়ে দেয়ে অনশন করছে? এসেছিলেন নাকি অনশন মঞ্চে? ছবি🌳 তুলেছেন ওদের খাওয়ার?' বিদিপ্তার এই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়ে ওই নেটিজেন পালটা মুখ খোলেননি।
বিদিপ্তা ফেসবুকে যে পোস্ট শেয়ার করেছিলেন তাতে লেখা, ‘এদের কে চেনেন নিশ্চয়ই? বিশ্বাস করুন, গত ১৪ দিন, জল ছাড়া কিচ্ছু খায়নি। বই পড়ছে। গান শুনছে। বসে রয়েছে সুদিনের দিকে তাকিয়ে, বসে রয়েছে অভয়ার ন্যায়বিচারের জন্যে, বসে রয়েছে আমার-আপনার একটা উপযোগী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যে। আমরা কি কিছু করতে পারলাম ওদের জন্যে ? উলটে, ওদের মন✅োবল ভ🔯াঙার জন্যে সব করেছি। এখনো করছি। তাই না? এখনো মুখপাত্ররা ডিনার করার পর মুখ খুললেই ওদের বিরুদ্ধে কথা বলছে। লজ্জা হয়? তাই বলি কি, মানুষের ডাকে যদি মানুষ না আসে, অমানুষ বলিয়া তাকে ডাকো ভীমনাদে।’
ওদিকে শনিবার বিকালে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে যান মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল পাঁচটায় নবান্নে সময় দিলেন তিনি। মুখ্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚযসচিব মনোজ পন্থের মাধ্যমে টেলিফোনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে প্রায় একঘণ্টা কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের কাছ থেকে দশ দফা দাবি শুনতে চান তিনি। তবে আট দফা দাবি শোনান জুনিয়র ডাক্তাররা। বাকি দু-দফা সাক্ষাৎ-এ জানাবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা✅র পর জুনিয়র ডাক্তাররা সাংবাদিকদের বলেন, ‘৭১ দিন পরেও শুনতে হচ্ছে উনি দাবিগুলিই জানেন না! সোমবার আমরা ওঁর দেওয়া সময়েই বৈঠকে🎀 যাব। সরাসরি আমাদের মুখ থেকে শুনলে হয়ত ওঁর বুঝতে সুবিধা হবে।'