RG কর নিয়ে গোটা রাজ্যে জনরোষের আগুন জ্বলছে। এরাজ্যের বেশিরভাগ মানুষই প্রতিবাদে সরব। জনতা থেকে শিল্পী অনেকেই পথে নেমেছেন। একইভাবে এই ঘটনায় শুরু থেকেই প্রꦓতিবাদে সামিল হয়েছেন ইউটিউবার কিরণ দত্ত। যাঁকে কিনা লোকে 'বং গাই' হিসাবে চেনেন। কিরণ পথে নেমেও প্রতিবাদ করেছেন, আবার সোশ্যাল মিডিয়াত🙈েও বারবার মুখ খুলেছেন বারবার। আর তাতে তিনিও কিছু ট্রোলারদের নিশানাবন্দি হয়েছেন।
১৪ সেপ্টেম্বর, স্বাস্থ্য়ভবনের সামনে জুনিয়ার ডাক্ত🔥াদের অবস্থানে মুখ্যমন্ত্রীর পরিদর্শনের পরই কিরণ দত্ত ফেসবুকের পাতায় একটা পোস্ট করেন। লেখেন, ‘ত্রিপল গুলো একবার গুনে নেবেন’। অর্থাৎ নাম না নিলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা পুরনো সেই ত্রিপল চুরির বিতর্কেই উস্কে দিয়েছিলেন কিরণ দত্ত।
আর এরপরই কিছু লোকজন কিরণকে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করতে থাকেন। এমনকি বাড়িতে লোক পাঠিয়ে আক্রমণের হুমকিও দেওয়া হয়। একজন লেখেন, ‘কিরণ তোমার বাড়ির ঠিকানাটা দিও। কিচু লোক🍰 যাবে তোমায় …।’
তবে 🍃কিছু লোকজনের নোংরা ভাষায় আক্রমণের মাঝেও এদিন বহু নেটিজেন 'বং গাই' কিরণ দত্তের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। তারমধ্যে একজন লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের কিছু মানুষের প্রিয় খাবার চটি তা অবশ্য জানতাম আগেই । কিন্তু কমেন্টে সেকসেন দেখে যা বুঝতে পারলাম সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। বলছি চটির দাম কতগো ওখানে Ki♌ran Dutta দাদা?'
এর উত্তরে অবশ্য কিরণকে লিখতে দেখা যায়, 'আমার বিশ্বাস সবার মধ্যেই ভালো মানুষ এখনো জীবিত আছে🔯। ভুল বুঝে মানুষ অন্যকে শত্রু ভাবতে শুরু করে। আপনারা কেউ আমার শত্রু নন , আমিও নই আপনাদের। তাই শেষবারের মতো একদম নীচে নেমেই আমি আমার মতো বোঝানোর চেষ্টা করছি।
আপনার সত্যি মনে হয় আমি টাকার জন্য এগুলো করছি? শেষ দুমাস তো এক টাকাও রোজগার করিনি। কিন্তু বন্যার জায়গা গুলোয় ১ লাখের ও বেশি টাকা আমি পাঠিয়েছি। এটা লিখে হনু সাজতে কোনোদিনই চাইনি তাও বোঝানোর জন্য বলছি। সেই টাকা গুলো যাদের দু বেলা খাবার হয়েছে তারা কোন দল করে আমি জানি? আপনাদের মতোই মানুষ তারা। আমার বন্ধু। সাধারন মানুষের সাথে আমার কিসের লড়াই? টাকার জন্য করলে আজ ♋এসে এটা বলতে হতো না , ঢাক পিটিয়ে বলতাম ডোনেট করেছি।ভিডিও করতাম। তা করেছি? আমাকে কোনোদিনই রাজনীতিতে দেখবেন না আমি কথা দিলাম। সেদিন মাঝ রাস্তায় চড় মেরেন আমায়। সাধারন মানুষ প্রত্যেকটা পরিসরে যেভাবে হেনস্তা হয় সেটা নর্মাল লাগলেও সেটা উচিৎ নয়। আর ক্রিটিসাইস প্রতিবাদের মাধ্যমেই সমাজ উন্নত হয়। আমি সাধারন মানুষের দলে। এই কথা গুলো অনেকের ন্যাকা ন্যাকাও লাগতে পারে কিন্তু আমিও এখানে থাকবো আপনিও। আপনার কি মনে হয় রাজনৈতিক প্রলোভন আমার কাছে আসেনি? বড় বড় মাথাদের সাথে এক টেবিলে বসে মিটিং করেছি। নোংরা রাজনীতি করতে হলে টাকা নিয়ে করতাম। নিজেদের অধিকার ভুলে যাবেন না। আমরা সবাই একটা উন্নত সমাজ ডিসার্ভ করি আর সেটার জন্যই আমার লড়াই।ব্যাস এটুকুই। খিস্তি কন্টিনিউ রাখেন আমিও রিপ্লাই কন্টিনিউ রাখি।'
কিরণ দত্ত আরও লেখেন, ‘যে পরিমানে থ্রেট আসছে আমার আর আমার পরিবারকে নিয়ে। অলরেডি কিছু ক্ষতি করেছে। এরপর আমার কিছু হলে কারা দায়ী আপনারা নিজেরাই বুঝে নিয়েন। আমি এটাও জানি এখন কিছু হবেনা। হবে সব শান্ত হলে।’ এই মন্তব্যের পরও কিরণ দত্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু নেটিজেন। কেউ লিখেছেন, ‘তোমার গায়ে বা তোဣমার বাড়ির গায়ে একটা আঁচ লাগুক শুধু আমরাও দেখে নেব।’
যদিও এরপরেও কিরণের পোস্টের ꦆনিচে কমেন্ট বন্ধ হয়নি। চলছে মন্তব্য পাল্ট মন্তব্য। কিছু লোকজন এখনও ট্রোলিং-এই ব্যস্ত