২০১৫ সালে জাতীয় 🔴পুরস্কার জিতেছিল পরিচালক চৈতনᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্য তামানের ডেব্যিউ ছবি কোর্ট (মরাঠি)। মাত্র ২৭ বছর বয়সে ভারতের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে এই সংবেদনশীল ছবি তৈরি করেছিলেন পরিচালক। আর ছয় বছর দ্বিতীয় ছবি নিয়ে প্রস্তুত এই চৈতন্য। শুরুতেই ছক্কা 'দ্য ডিসাইপেল'। ২০২০-র ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ঐতিহ্যশালী FIPRESCI (ফিপরেসি) পুরস্কার জিতে নিল এই ছবি।
ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে এই ছবি। গুরু-শিষ্য পরম্পরার আবর্তে গড়ে উঠেছে এই ছবির চিত্রনাট্য। দ্য ইন্টারন্যাশান্যাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম ক্রিটিকসের তরফে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। চলচ্চিত্র সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসাবে ছবির মাধ্যমে অসামান্য শৈল্প নৈপুন্যের প্রদর্শন করলে ভেনি🐎স, টরেন্টো, কান, ভিয়েনার মতো বিশ্বের নামী চলচ্চিত্র উত্সবে কোনও ছবিকে ফিপরেসি পুরস্কার দিয়ে থাকে দ্য 𒈔ইন্টারন্যাশান্যাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম ক্রিটিকস। এই কৃতিত্বের জন্য টিম 'দ্য ডিসাইপেল'-কে বাহবা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
১৯৩০ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গোটা বিশ্বের চলচ্চিত্র সমালোচকদের এই প্রতিষ্ঠান। এই পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত এই তরুণ ভারতীয় পরিচালক। তিনি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানান, ‘আওমি FIPRESCI এবং জুরিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই মন থেকে, তাঁরা যেভাবে আমাদের পরিশ্রমকে সমর্থন করেছেন তা অভাবনীয়। এটা আমাদের জন্য একꦍটা স্পেশ্যাল অ্যাওয়ার্ড। কারণ এটা গোটা বিশ্বের ফিল্ম সমালোচকদের সার্বিক মত অনুযায়ী দেওয়া হয়’।
তামানে যোগ করেন, ‘আমরা সবাই খুব খুশি, এবং এক্সাইটেড-এই সবে দ্য ডিসাইপেলের সফর শুরু হল’। এই ছবিতে লিড রোলে অভিনয়✤ করেছেন আদিত্🦄য মোদক, অরুণ দ্রাবিড় এবং সুমিত্রা ভাবে।
এই বছর করোনা আবহে ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্ಞচিত্র উত💦্সবের জৌলুস একটু ফিকে হলেও প্রতিবারের মতো ছবির মান ছিল ভীষণ দামী। ২-১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠাত হল এই চলচ্চিত্র উত্সব। ৪ তারিখ ভেনিসে প্রদর্শিত হয়েছিল 'দ্য ডিসাইপেল'।
আদুর গোপালকৃষ্ণন ‘মাথিলুকাল’ শেষ ভারতীয় ছবি হিসাবে FIPRESCI পুরস্কার পেয়েছিল ১৯৯০ সালে। ৩০ বছরের খরা কাটাল চৈতন্য তামানের ‘দ♒্য ডিসাইপেল’। এটি প্রথম ভারতীয় ছবি যা কুড়ি বছর পর কোনও মুখ্য ইউরোপীয় চলচ্চিত্র উত্সবের (কানস, ভেনিস, বার্লিন) প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে জায়গা করে নিয়েছিল। ২০০১ সালে মীরা নায়ারের মনসুন ওয়েডিং এই সাফল্য অর্জন করেছিল।
অন্যদিকে এই বছর একমাত্র ভারতীয চলচ্চিত্র হিসাবে কানাডার টরেন্টো ইন্টারন্যাশ্যান্যাল ফিল্ꩵম ফেস্টিভ্যালে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। এই ছবি প্রযোজনা করেছেন বিবেক গোম্বের। নিজের পুরস্কার প্রযোজককেই উত্সর্গ ক﷽রেছেন তরুণ পরিচালক।