একসময় চর্চায় ছিল দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় ও রিজওয়ান রব্বানি শেখের। ‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে তাঁদের প্রথম দেখেন দর্শক। সেখান থেকেই প্রথমে বন্ধুত্ব আর তারপর প্রেম। তার আগে দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সায়ন্ত মোদকের। সায়ন্তর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ নাকি রিজওয়ানই, শোনা গিয়েছিল এমনটা। তবে তিনি বা রিজওয়ান, কেউই সেকথা মানতে চাননি। কিন্তু জ🧸ন্মদিন ꦕপালনের একান্ত মুহূর্ত থেকে একসঙ্গে পার্টি কিংবা ফটোশ্যুট, আসতে থাকে নানান পোস্ট।
এরপর শোনা যেতে থাকে, দুজনে ঘুরে এসেছেন লাদাখ থেকে। যদিও তাঁদের দাবি ছিল, দুজনে আলাদা গিয়েছ♔িল, তবে একইসময়ে। মাঝে একটি ছবি দুজনের শেয়ার করেছিলেন লাভ ইমোজি দিয়ে। আর সেই ঘটনার মাসখানেক যেতে না যেতেই, একে-অপরকে ইনস্টায় আনফলো করে দেন। সঙ্গে রিজওয়ানের সঙ্গে একসঙ্গে যত ছবি আছে মুছে দিতে থাকেন দেবচন্দ্রিমা।
সম্প্রতিই মুক্তি পেয়েছে ‘প্রেমে পড়া বারণ’ ওয়েব সিরিজটি। আর তার প্রচারে এসে এখনও সিঙ্গেল থাকার কারণ নিয়ে খুললেন মুখ। অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি প্রেম করলে প্রচণ্ড বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। আমি প্রেমের মধ্যে ঢুকে যাই। পাগল প্রেমী হয়ে যাই। যার জন্য আমার কোথাও গিয়ে মনে হয়েছে আমার কাজটা একটু হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একটা সম্পর্কে থাকলে অনেক দায়িত্ব থাকে। শুধু তো নিজের ভালো থাকা এমনটা নয়। উলটোಞ দিকের মানুষটার দায়িত্ব নেওয়াও রয়েছে। সেটা যদি মনে হয় ঠিক করে করতে পারছি না, আমার মাথায় চিন্তা ঘুরতে থাকে। আমি খুব বেশি ভাবি সবকিছু নিয়ে।’
‘প্রেম আমার কাছে ভালো থাকার থেকেও অনেক বেশি দায়িত্বের। উলটো দিকের মানুষটাকে ভালো রাখা। কাজ 𒊎ছেড়ে প্রেমে মন দিতে পারব না। আর তাই কাউকে ঠকাতে পারব না। সেরকম সময় এলেই প্রেম করব।’, আরও জানান দেবচন্দ্রিমা।
একাধিক প্রেম ভেঙেছে। তা সে অফিসিয়াল হোক বা অন অফিসিয়াল। ভাঙা মন সামলানো কতটা কঠিন ছিল প্রশ্নে দেবচন্দ্রিমা জানালেন, ‘শিখে গেছি। সময় তো আমাদের অনেক কিছু꧂ শিখিয়ে দেয়। ছোটবে🔯লায় কান্নাকাটি করেছি অনেক। আগে মনে হত একে ছাড়া হয়তো বাঁচতে পারব না। এখনও সেটা মনে হয়। তবে আমি নিজেকে সামলাই এটা বলে যে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে ভালো রাখা। আমি ভালো থাকলেই, আমার মা ভালো থাকবে। আর মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছে।’
প্রেমে পড়া বারণ স্ট্রিমিং হবে হইচইয়ে। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেখা যাবে এটিকে। রণ আর মিতুলের গল্প বলবে ‘প্রেমে পড়া বারণ’। ত꧋বে এই প্রেমের গল্পে বিরহ রয়েছে, যন্ত্রণা রয়েছে ভরপুর। প্রেমে পড়া বারণ পরিচালনা করেছেন অরিজিৎ চক্রবর্তী, যিনি দীর্ঘদিন রাজ চক্রবর্তীর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।