বিক্রি হয়ে গেল কিংবদন্তি অভিনেতা দেব আনন্দের বাড়ি🍌। জীবনের বেশিরভাগ সময়টা এখানেই কাটিয়েছিলেন তিনি স্ত্রী কল্পনা কার্তিক, সন্তান সুনীল আনন্দ এবং দেবীনা আনন্দের সঙ্গে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে এক সূত্র জানিয়েছে, ‘দেব আনন্দের জুহুর বাংলোটি একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়েছে। চুক্তিও হয়ে গেছে এবং কাগজপত্র তৈরির কাজ চলছে। এটি আনুমানিক ৩৫০-৪০০ কোটিতে বিক্রি হয়েছে। কারণ এটি এলাকার বিশিষ্ট শিল্পপতিদের বাংলো-সহ প্রধান এলাকায় অবস্থিত।’ খবর রয়েছে, এখানে একটি ২২ তল🔜া টাওয়ার তৈরি করা হবে।
দেব আনন্দ নিজে যখন জুহু-তে বাংলো বানানোর সিদ্ধান্ত নেন, তখন সেই এলাকা সেভাবে জনপ্রিয় ছিল না। অভিনেতা নিজেই জানিয়েছিলেন জুহুতে থাকতে আসার কারণই ছিল তিনি জনহীন এই জায়গার প্রেমে পড়েই সেখানে বানান বাংলো। ‘আমি আমার জুহু𒀰র বাড়ি বানিয়েছিলাম ১৯৫০ সালে। জুহু তখন ছোট্ট একটা গ্রাম। চারদিক ফাঁকা, পুরো যেন খাঁ খাঁ করছে। আমার ভালো লেগেছি, কারণ আমি নিঃসঙ্গতা পছন্দ করতাম। জুহু এখন খুব জমজমাট হয়ে উঠেছে, লোকজনে ভরা। বিশেষ করে রবিবারে। সমুদ্রতট আর আগের মতো নেই। আমার আইরিস পার্কের বাসভবনে আর কোনও পার্ক নেই। আমার বাড়ির বাইরে একটি স্কুল এবং চারটি বাংলো তৈরি রয়েছে’, মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন দেব আনন্দ।
দেব আনন্দ ৪০ বছরের বেশি সময় বাস করেছিলেন এই বাংলোয়। আর বর্তমানে দেখভালের লোকের অভাবেই তা বন্ধ হতে চলেছে। দেব আনন্দের ছেলে সুনীল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। আর স্ত্রী কল্পনা কার্তিক মেয়ে দে🗹বিনার সঙ্গে থাকেন উটিতে। মুম্বইতে সম্পত্তির যত্ন নেওয়ার মতো কেউ নেই তাই তারা বাংলোটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী এই কারণে মহারাষ্ট্রের পানভেলে থাকা কিছু সম্পত্তিও বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের মতে, দেব আনন্দের স্টুডিওটি ১০ বছর আগে বিক্রি করা হয়েছিল। এবং সেখান থেকে যে অর্থ আসে তা দিয়ে কেনা হয়েছিল ৩টি অ্যাপার্টমেন্ট। সূত্র জানায়, ‘একটি সুনীলকে, 𒐪অন্যটি দেবীনাকে এবং তৃতীয়টি তার স্ত্রী কল্পনাকে দেওয়া হয়েছিল। জুহুর বাংলো থেকে পাওয়া টাকাও তিনভাগে ভাগ হবে।’
১৯৪৬ সালে 'হাম এক হ্যায়' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডের জগতে পা রাখেন দে🦄ব আনন্দ। ৮৮ বছর বয়সে দেব আনন্দ চলে যান না ফেরার দেশে। ২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর লন্ডনের একটি হো🐼টেলে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। দেব আনন্দের সফল ছবির তালিকায় আছে জিদ্দি (১৯৪৮), বাজি (১৯৫১), সানাম (১৯৫১), ট্যাক্সি ড্রাইভার (১৯৫৪), মুনিমজি (১৯৫৫), পেয়িং গেস্ট (১৯৫৭), কালাপানি (১৯৫৮), লাভ ম্যারেজ (১৯৫৯), হাম দোনো (১৯৬১), তেরে ঘর কে সামনে (১৯৬৩), গাইড (১৯৬৫), প্রেম পূজারী (১৯৭০), জনি মেরা নাম (১৯৭০), গ্যাম্বলার (১৯৭১), হরে রাম হরে কৃষ্ণ (১৯৭১), দেশ পরদেশ (১৯৭৮)-এর মতো সিনেমা।