নতুন বছরে কোন বিষয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে চলেছেন দিব্যা দত্ত? বছর শুরুর আগে নিজেকে কেমন ভাবেই প্রস্তুত করছেন? এ সকল প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান, তিনি মূলত স্বাস্থ্য এবং কাজের দিকে বেশি মন দিচ্ছে। আগামীতে তাঁর একাধিক কাজ মুক্তি পেতে চলেছে। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, 'আমি যা ভাবিনি সেগুলোও হয়েছে এবং ভালোভাবেই হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'দুটি হিট ছবির সঙ্গে, আমার প্রতিটা ছবি, তার গল্প, ধরন, একে অন্যের থেকে আলাদা। আর আমার কাছে এই ছবিগুলো এক একটা আশীর্বাদের মতো।꧃'
২০২২ সাল কেমন গেল অভিনেত্রীর? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী ব🐻লেন, 'এই বছর অনেকগুলো ভালো জিনিসের মধ্যে একটা হল আমার বাড়ি। যাঁরা এই বাড়িতে এসেছে, তাঁরা সকলেই এটার প্রশংসা করেছেন। আমি নিজেও আমার জন্য এমনই একটা বাড়ি চেয়েছিলাম।'
২০২৩ সা🐲লে একাধিক প্রজেক্টে দেখা যেতে চলেছে দিব্যা দত্তকে। এর মধ্যে আছে দুটো নামহীন ওয়েব সিরিজ এবং একটি দিবাকর বন্দোপাধ্যায়ের ছবি। এছাড়া আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী, তথা তাহিরা কাশ্যপের প্রথম ছবিতেও তাঁকে দেখা যেতে চলেছে। তাহিরা আদতে একজন লেখিকা। তবে তিনি আগামী বছর ✤‘শর্মাজী কী বেটি’ ছবির হাত ধরে পরিচালনায় আসতে চলেছেন।
তাহিরার সঙ্๊গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল তাঁর? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী তাঁদের এই কাজটিকে বলেন একটি ‘মিষ্টি ছবি’। তাঁর কথায়, 'তাহিরা একজন মিষ্টি, প্রাণোচ্ছ্বল মেয়ে। ও সেটে থাকলেই সবাই খুশি হয়ে যেত। যেন একটা পিকনিক চলছে। কিন্তু যেই মুহূর্তে অ্যাকশ🅘ন বলতো, আর কাজ শুরু হতো ও সম্পূর্ণ একজন অন্য মানুষ হয়ে যেত। ও কেবল চাইত ওর কাজটা ভালো করে হয়ে যাক। ওর মধ্যে একটা পজিটিভ ভাইব আছে, যা ভীষণই ছোঁয়াচে।'
দিব্যা তাঁর কেরিয়ারে একাধিক মহিলা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন সে পামেলা রুকস হন বা তনুজা চন্দ্রা। মহিলা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? একজন মহিলা পরিচালক যেভাবে একটা প্রজেক্টকে দেখেন সেটা কতটা আলাদা? তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'পরিচালক হয় ভালো পরিচালক হন নইলে খারাপ। তবে হ্যাঁ, এটা ঠিক মহিলা পরিচালক হলে মেয়েদের মধ্যে যে সেন্সিবেল ব্যাপার থাকে সেটা পাওয়া যায় এবং কোন বিষয়ে উপর কাজ করছেন সেটাও নির্ভর করে অবশ্য।' তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'আগে মনে করা হতো মহিলা পরিচালক মানেই আর্ট ফিল্ম তৈরি করবে। কিন্তু ফারাহ খান, জোয়া আখতার এই ভাবনাটা পাল্টে দিয়েছেন। এখন ওভাবে কিছু শ্রেণীভাগ করা যায় না। আগে ফারাহ খান, জোয়ꦚা আখতার করেছেন। এখন সেই একই পথে হাঁটতে চলেছেন তাহিরা𝓀। নতুন প্রজন্ম উঠে আসছে, ওঁরা দর্শকদের ভালো বোঝে। এটা দারুন আনন্দের বিষয় একটা।'
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী মডারেটরের কাজ করছিলেন আর তখন আচমকাই তাঁর জুতোর হিল ভেঙে যায়। তখন কে তাঁকে সাহায্য করেছিল জানেনಌ? গুলজার। তাও একটা কবিতা পাঠ করে। সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে অভিনেত্রী বলেন, ' ওটা ভীষণ অস্বস্তিকর ব্যাপার ছিল। নিজেকে সিন্ড্রেলা মনে হচ্ছিল যে তাঁর জুতোর হিল ভেঙে ফেলেছে, তখন গুলজার সাহেব ওই ঘরেই বসেছিলেন। ঘটনাটা ঘটার পর তিনি এলেন এবং এমন একটা কবিতা পাঠ করলেন যা আমার পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যাচ্ছিল। এটা ভালো ছিল বিষয়টা। আমার মনে হচ্ছিল আমি তখন খালি পায়েও হাঁটতে পারব। আর আমার মনে হয় শব্দের এটাই একটা অদ্ভুত ক্ষমতা।'
দিব্যাকে কিছুদিন আগে শিমলায় দেখা গিয়েছিল। অভিনেত্রী ওখানে কোনও শ্যুটিং করতেই গিয়েছিলেন। কিন্তু সুযোগ🌳 পেলেই তিনি এদিক ওদিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন, তবে ছদ্মবেশে। তাঁর এই সাজের কথা মনে করে অভিনেত্রী বলেন 'আমাকে তখন ডাকাতের মতো দেখতে লাগতো, মুখে একটা ফেস মাস্ক, গলায় মাফলার, সঙ্গে একটা কোট। আমি কথা বললেই কেবল মানুষ আমায় চিনতে পারত। আর চিনতে পারলেই আমি সেখান থেকে দৌড় মারতাম।'