আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারই মাঝে ২৬ অগস্ট, সোমবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গণ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিকি🉐ৎসক অভিনেতা কিঞ্জল নন্দাও। ♛সেখানেও আরজি কর প্রসঙ্গে মুখ খোলেন কিঞ্জল।
কিঞ্জল নন্দা পেশায় চিকিৎসক, আবার তিনি অভিনয়ও করেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা কেউই কাজ ফেলে রেখে এধরনের আন্দোলনে অভ্যস্ত নই। এমন একটা ঘটনা ঘটেছে ক্রমান্বয়ে ঘটে চলেছে। সেবিষয়ে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা মাঝে মাঝে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি, হয়ত ঠিক জায়গায় আছি। এ💖খানে যাঁরা আছেন, সিনিয়ররা বা আমার সমবয়সীরা, তাঁদের থেকে সাজেশন চাই যে কীভাবে এই আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর জায়গায় আমরা নিয়ে যেতে পারি। কারণ, আমার মনে হয়, এখানে যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই এক দাবি We Want Justice।’
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গণ-কনভেনশনে মীর এদিন বলেন, ‘অনেক শুভেচ্ছা এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার মনে হয় হাততালিটা নিজেদেরই দিতে পারেন। কারণ, এইরকম আন্দোলন আমাদের শহরে দেখিনি। যে প্রতিষ্ঠানের অডিটরিয়ামে আমরা বসে রয়েছি, শুধু এটাই নয়, শুধু এটাই নয়, আমাদের শহরে এইরকম আরও কিছু মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান রဣয়েছে, সেখানে সিট পাওয়া তো পরের কথা, দরজা দিয়ে ঢুকতেও অনেকের বুক দুরু 🍨দুরু করে। কারণ এগুলি দেশের শ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্যকর্মীদের সিট। আজ অনেক ডাক্তারি সংগঠনও আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলনে নেমেছে।’
এদিন জিতু কমলকে বলতে শোনা যায়, ‘ফেস⛄বুকে আমি নিজে কতটা জানি, সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি। আমি কিন্তু নিজে জীবনে জলে পা ভেজাইনি, মাটিতে পা লাগাইনি, রোদে কখনও ছাতা বা সানস্ক্রিন ছাড়া বের হইনি। ওইরকম মানসিকতার মানুষ যখন বড় বড় করে লিখে যান, তখন তাঁদের লেখা শেয়ার করার থেকে একটু নীরব থাকুন। শুনতে খুব তীক্ত লাগবে, তবে বহু মানুষ এই ঘটনার মাধ্যমে একাধিক ভিডিয়ো মানিটাইজ করে বহু অর্থ আয় করেছেন। নিশ্চিতভাবেই করেছেন। অন্যের ভিডিয়ো নিয়ে করেছেন। কেন?𝓰 আরজি করে যে দাদা, ভাইয়েরা রয়েছেন, তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারেননি? যাঁরা এসেছেন তাঁদের কুর্ণিশ জানাই।’
অভিনেত্রী সোহিনী সরকার বলেন, ‘আমি সদ্য বিয়ে করেছি। আমার স্বামীকে বললাম, মা হব? কোন দেশে মা হব? আমি চাইনা আমার সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে এসে এইরকম একটা দেশে রেখে যেতে। এই দেশে যতক্ষণ দুর্নীতি আছ🐎ে, আমি প🎃ারব না আমার সন্তানকে নিয়ে আসতে। সবাই পাশে থাকুন, এইটুকুই শুধু আমার বলার।’