ভালোবেসে এক অপরের হাত ধরেছিলেন। দীপঙ্কর দে-র সঙ্গে বয়সের ফারাক, দীপঙ্কর দে-র বিবাহিত তকমা কিছুই বাধ সাধেনি এই সম্পর্কে। তারপর দীর্ঘসময় লিভ ইন সম্পর্কে থেকেছেন তাঁরা। জুটেছে ‘ঘর ভাঙানি’ তকমা, তবে পাত্তা দেননি দোলন। সম্প্রতি ‘টিটোদা’র (দীপঙ্কের ডাকনাম) সঙ্গে প্রথম আলাপ থেকে সম্পর্ক নিয়ে ট্রোলিং নিয়ে মুখ খুললেন দোলন। আরও পড়ুন-২৬ বছরের বড় দীপঙ্করকে বিয়ে করে শারীরিক সম্পর্কে কম্প্রোমাইজ, শ্রীময়ীকে ক🔴ী উপদেশ দোলনের?
নিজের মতো নিজে থাকতে ভালোবাসেন দোলন। আরটেজ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ অনেক আগে, তখন ভাবিনি এই আলাপটা প্রলাপ হয়ে যাবে। একটা নাটক করতে গিয়ে দেখা হয়েছিল। রবি ঘোষের পরিচালনায় ছদ্মবেশী নাটকে টিটোটা হিরো ছিল, আর শ্রীলা মজুমদা♏র হিরোইন ছিলেন। আমিও ছিলাম। ওখানেই প্রথম আলাপ, আর এই আলাপ প্রলাপে পরিণত হয়েছে ১৯৯৭-এ। আর এই প্রলাপটা চলবে সারাজীবন’।
২৬ বছরের বড় বরকে নিয়ে কম কটাক্ষ ধেয়ে ♍আসেনি তাঁর দিকে। কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের পর ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয় দোলন-দীপঙ্করকে নিয়ে। এইসব নিয়ে মোটেই ভাবিত নন অভিনেত্রী বললেন, ‘আমি ট্রোলের উত্তর দিই না। ওদের ভালো লাগে লেখে। ওদের মনের আনন্দ হয় লেখে, লিখুক না দুটো পয়সা পায়’।
আজকের যুগেও লিভ 🏅ইন নিয়ে এত চর্চা, তবে নব্বইয়ের দশকের শেষে একত্রবাসের সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দোলনের কথায়- 'হ্যাঁ, তা ছিল (সাহসী সিদ্ধান্ত)। তবে সাত পাঁচ ভাবিনি। এখন তো সবাই খুব অঙ্ক করে সম্পর্ক করে। আমার সম্পর্কের পিছনে কোনও অঙ্ক ছিল না, আবেগের সম্পর্ক ছিল🌌। কাল কী হবে আমি জানি না। আজ এই মুহূর্তটুকু জানি।'
২০২০ সালে কাগজে কলমᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚে বিয়ে করেন দুজনে। যদিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী 🔯ফাঁস করেছেন ১৯৯৭ সালেই বিদেশের এক জগন্নাথ মন্দিরে গোপনে বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা। তবে অবশ্যই সেই বিয়ে আইনসিদ্ধ নয়। নিবেদিতা অনলাইন নামের এক ইউটিউব চ্যানেলকে দোলন জানিয়েছিলেন দীপঙ্করকে বিয়ে করে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেছিলেন, ‘একটা সময় পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। তারপর যা হয়, মেয়েরাই সব সময় কম্প্রোমাইজ করে। না হলে তো একটা অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ও তো আমার জীবনে প্রায় প্রথমই। আমি স্যাচুরেটেড হয়ে গিয়েছি। ও হয়তো শেষ বয়সে ওর পারা বা না পারা নিয়ে স্যাচুরেটেড হিয়ে গিয়েছে। দোলন রায়ের সংযোজন, কিছুটা মানিয়ে নেওয়া। কারণ মানুষটার ভালবাসা এত বেশি, আমার ভালো লাগা খারাপ লাগার দিকে এত খেয়াল রাখে যে তখন এগুলো আর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি।’