সম্প্রতি শুরু হয়েছে দিতিপ্রিয়া রায় ও সুহোত্র মুখোপাধ্যায় অভিনীত ওয়েব সিরিজ 'ডাকঘর'-এর প্রদর্শন। অনেকেই ওয়েব সিরিজটি দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পরিচালক হিসাবে প্রশংসা পেয়েছেন অভ্রজিৎ সেন। প্রশংসা পাচ্ছেন অভিনেতা, কলাকুশলীরাও। যদিও ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য গুঞ্জন। প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে উঠে আসছে নানা অভিযোগ। অনেকেই বলছেন প্রথমদিকে এই ওয়েব সিরিজটির পরিচালনা করছিলেন অভিষেক সাহা। পরে মতবিরোধ হওয়ায় পরিচালকের আসন ছেড়ে সরে দাঁড়ান তিনি। এমনকি নাকি পরিচালক হিসাবে নিজের নাম যাক, সেটাও চাননি অভিষেক।
তবে এখানেই শেষ নয়। 'ডাকঘর'-নিয়ে এবার প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে সরব সিনেমাটোগ্রাফার মৃন্ময় নন্দী। অভিযোগ, ডাকঘরের সিনেমাটোগ্রাফার হি💝সাবে তাঁর নাম কিংবা প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে মৃন্ময় নন্দী জানান, ‘জানতে পারলাম সিনেমাটোগ্রাফার হিসাবে ক্রেডিট লিস্টে প্রথম স্থানে নাম যাচ্ছে শান-এর। ২য় নম্বরে যাচ্ছে আমার নাম (মৃন্ময় নন্দী নাম)। প্রেস রিলিজ থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও প্রমোশানেই আমার নাম ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি আমার প্রাপ্য পারিশ্রমিকও দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে শুধু টোকেন মানি। তবে আমি শ্যুটিংয়ের ১৮-১৯ দিনের মধ্যে ১৩-১৪ দিন শ্যুট করেছি। এটার কাজ শুরু করেছিলাম অনেক আগে পরিচালক অভিষেক সাহার সঙ্গে। ও সরে যেতেই আমাকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, আমি অভিষেকের পছন্দের ডিওপি ছিলাম। আমার মনে হয় নতুন পরিচালক এবং ডিওপি-র বলা উচিত ছিল যে ওঁদের নামটাও থাক। জানি না ওঁরা কীভাবে এটার অনুমতি দিলেন। এত পরিশ্রমের পরেও না পাচ্ছি নাম, না পাচ্ছি টাকা! সবসময় কী আইনের পথে লড়া সম্ভব? এটা তো আমার কাজ নয়, বা উদ্দেশ্যও নয়।’
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকেও সরব হয়েছেন মৃন্ময় নন্দী। একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, ‘ডাকঘর ওয়েব সিরিজটি শুনছি মানুষের এবং মিডিয়া প্রফেসনালদের ভাল লেগেছে। এই কাজটির ব্যাপারে আমার পরিচালক Avishek Saha এর যুক্ত হই বহুদিন আগে, যখন কবে করতে পারব কিছুই জানতাম না। ধীরে ধীরে অভিষেক সিরিজটি গড়ে তুলছিল। আমারা কয়েকজন ছিলাম সহযোদ্ধা। অবশেষে কাজটি হল। আপনাদের ভাল লাগছে জেনে সত্যিই আপ্লুত। বাকি গল্পটা, মানে এই সিরিজের পেছনের গল্প খানিকটা এই ভিডিওতে আছে। বাকিটা বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ও মানুষ কোনদিন জানতে চাইবে কি? শুধু বলি, এই সিরিজ শুট হয়েছে ১৮-১৯ দিন। তার মধ্যে ১ꦿ৩-১৪ দিন আমি করেছি। প🌱ারিশ্রমিক পাইনি। এখন শুনছি আনার নামও নেই। যদিও বলেছিল আমার নাম ক্রেডিটে থাকবে। কেউ সিরিজটি দেখে বলবেন নাম দিয়েছে কিনা? ধন্যবাদ।’
তবে সিনেমাটোগ্রাফার মৃন্ময় নন্দীর অভিযোগ নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার তরফে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে জন সংযোগ আধিকারিক জানান, বিষয়টি আইনি বিষয়। এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। পরে প্♉রযোজনা সংস্থার তরফে স্টেটমেন্ট দেওয়া হবে। অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি পরিচালক অভ্রজিৎ সেন এবং ডিওপি শান।