এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটা বিষয়। পশ্চিমবঙ্গে চোর শাসকদের হাতে পড়ে বহু ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ শেষের পথে। এটা এরাজ্যের জন্য ভীষণরকম একটা ট্রাজেডি। কিন্তু কিছু করার নেই, মানুষ এই চোরেদেরই ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। ফলে তাঁদেরই এই ফল ভুগতে হবে। রামকৃষ্ণদেব একটা কথা বলেছিলেন, মানুষ যা খায়, তারই ঢেকুর ওঠে। তাই আমার মনে হয়, আমরা এমন 🔯একটা সরকারকে নিয়ে এসেছি, যার জন্য এই অবস্থা।
তবে সমাধান তো হবেই। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে ৩ মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ পদ্ধতি চালু করতে হবে। সেখানে যাঁরা সত্যিই যোগ্য, যাঁদের যোগ্যতা আছে, তাঁরা চাকরি পাবেন। শিক্ষা এমন একটা বিষয়, যেমনটা স্বামীজি বলেছিলেন, ‘Education is the manifestation of the perfection already in 🐷man’ (শিক্ষা হলো মানুষের মধ্যে বিদ্যমান পূর্ণতার প্রকাশ)।আর এই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তৃণমূল সরকার যে ছেলেখেলা করেছে, মানুষের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিয়েছে। কারণ শিক্ষা না থাকলে কোনও জাতি এগোতে পারে না। আর এই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে বলতে লজ্জা করে আমি পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছি।
আমি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, হার্ভার্ড, এমআইটি, অবার্ন, আলাবামা, টাস্কেগি, টেক্সাস, হিউস্টন (Cambridge University, “Southern University, Harvard, MIT, 𒅌Auburn, Alabama, Tuskegee, Texas, Houston) এ গিয়েছি রিসার্চের জন্য। তো সেখানে গিয়ে বলতে লজ্জা হয় যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছি। এখানে ভয়ঙ্কর অবস্থা। যতক্ষণ না এখানে সু-শাসন ব্যবস্থা আসবে, চোরেদের থেকে রাজ্যটা মুক্ত হবে, ততক্ষণ এরাজ্যের কল্যাণ হবে না। একটা সমাজের ভিত্তির মূ꧑ল হল শিক্ষা। এটা না থাকলে কোনও সমাজ এগোতে পারে না। আর এই শিক্ষা নিয়েই এরা ছেলেখেলা করেছে।
যাঁদের চাকরি গেল, যে ছেলেমেয়ে বা বাবার চাকরি গেল, যে মায়ের সন্তানের চাকরি গেল সেই পর💜িবারগুলিতে ভয়ঙ্কর অবস্থা। যাঁরা সত্য়িই যোগ্য ছিলেন, এই অযোগ্যদের জন্য তাঁদের চাকরিও গেল, সেটা দুঃখজনক ঘটনা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের SSC-তে নিয়োগের পুরো প্যানেলই বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। ওই নিয়োগপ্রক্রিয়ার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। সেই সঙ্গে রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি (আদতে ২৫,৭৫২) বাতিল কর♋ে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।