‘মেয়েবেলা’র সুবাদে বাংলা সিরিয়ালপ্রেমীদের ক্রাশ তিনি! রঙ্গমঞ্চের অতি পরিচিত মুখ অর্পণ ঘোষাল। স্টার জলসার ‘ডোডো’ হিসাবে পেয়েছেন অফুরান ভালোবাসা। এবার নতুন ইনিংস শুরু করছেন তিনি। সম্প্রতি ‘অন্তরমহল’ ওয়ౠেব সিরিজে দেখা মিলেছে তাঁর, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘রাজা,রানি, রোমিও’। তার আগেই এ🐭সেছে সুখবর। অর্ণ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অথৈ’-এর হাত ধরে বড় পর্দায় পা দেবেন অর্পণ।
শেক্সপিয়ারের ‘ওথেলো’র অনুকরণে তৈরি এই ছবির চিত্রনাট্য, সৃজনশীল পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। শুরু হয়ে গিয়েছে শ্যুটিংয়ের𒐪 কাজ। নিজের নতুন জার্নি নিয়ে বেজায় উত্তেজিত অর্পণ। মন খোলা আড্ডায় ধরা দিলেন HT বাংলার সঙ্গে।
অর্ণ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে রুপোলি পর্দায়। অথৈ-তে আপনাকে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে?
অর্পণঃ আমি শুরু থেকেই অথৈ (নাট⛄ক)-এর অংশ। মঞ্চে আমি মাইকেল ক্য়াসিওর চরিত্রটা করতাম, ছবিতেও সেই চরিত্রটাই আমি করছি।ꦓ
যার হাত ধরে মঞ্চে কাজ শুরু, তাঁর পরিচালনাতেই বড় পর্দায়। উত্তেজিত নিশ্চয়?
অর্পণঃ এটা সত্যি বড় পাওয়া। যার (অর্ণ মুখোপাধ্যায়) হাত ধরে আমি অভিনয়টা শুরু করেছিলাম, তার পরিচালনায় আমি বড় পর্দায় প্রথম কাজ করছি। এটা হয়ত খুব রেয়ার ঘটনা। ভালো লাগছে এটা ভেবে আমরা এতটা পথ পার করে ফেলেছি। থিয়েটার আঁকড়ে বাঁচাটা অর্থনৈতিকভাবে বেশ মুশকিল। অর্ণদার জন্য আমার খুব গর্ব হচ্ছে। অনির্বাণদা (ভট্টাচার্য) এটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আমি সেই ♛প্রোজেক্টের হাত ধরে ফিল্ম কেরিয়ার শুরু করছি, সেটা🔯 আমার কাছে বড় পাওনা। খুব এক্সাইটেড।
মঞ্চের অথৈ-এর সঙ্গে রুপোলি পর্দার অথৈ-এর কোনও ফারাক থাকছে?
অর্পণঃ পরিচালক যে বক্তব্যটা বলতে চাইছেন, সেই মূল বক্তব্যটুকু একই আছে। সেটার মাধ্যম মঞ্চ হোক বা সিনেমা। ধরুন কিছু অপারেশ꧑ন আগে হত কাঁচি দিয়ে, এখন সেটা লেসার দিয়ে হয়ে যাচ্ছে। সেইরকম কিছু তফাৎ হয়ত থাকবে। বাকিটুকু একই থাকবে।
মেয়েবেলার সাফল্যের পরেও টেলিভিশন থেকে দূরে, ছোটপর্দা কি অর্পণের তেমন পছন্দের মাধ্যম নয়?
অর্পণঃ টেলিভিশন আমার কাছে পছন্দের মাধ্যম নয় এমনটা নয়। কিন্তু আমি যে কাজটা ভালোবাসি (থিয়েটার করতে) সেটার সঙ্গে টেলিভিশনের শেডিউলের একটা ক্ল্যাশ হয়ে যায়। দুটো একসঙ্গে করা খুব মুশকিলজনক। কিন্তু আপনি যদি সিনেমার তিন-চার জনকে বাদ দিয়ে দেন, তাহলে টেলিভিশন স্টারেরাই পশ্চিমবঙ্গে বড় স্টার, অর্থের দিক থেকে হোক বা খ্যাতির দিক থেকে টিভির তারকারাই এগিয়ে। এটা ফ্যাক্ট। কিন্তু আমি থিয়েটারটা করতে চাই।𒈔 টেলিভিশন যে সময়টা দাবি করে সেটা আমার হাতে থাকে না। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আমি নিশ্চয় ভেবে দেখব। আমার টেলিভিশনের প্রতি কোনও ছুৎমার্গ নেই।
মেয়েবেলা শেষ হওয়ার পর এত অফার এসেছে, কেন ফেরালেন?
অর্পণঃ লোকে আমাকে মেয়েবেলা-তে প্রথম দেখেছে, হয়ত ফ্রেশ ব্যাপারটা ভালো লেগেছে। পরপরই অন্য সিরিয়ালের কাজে হাত দিলে হয়ত খানিকটা একঘেঁয়েমি আসত। আমারও নিজের সেই রেশটা কাটাতে সময় লাগত। আমাদের দলের (নটধা) ৫০ বছর হচ্ছে ২০২৪-এ♎। একটা নাট্যদলের ৫০ বছর মানে বিরাট ব্যাপার। তাই আমি দলকে আরও সময় দিতে চাই। সেই কারণেই অফারগুলো ফিরিয়েছি। এই সময়টা একটু থিয়েটারেই থাকতে চাই।
তাহলে অর্পণকে টেলিভিশনের পর্দায় ফের দেখতে ২০২৫-এর অপেক্ষা করতে হবে?
অর্পণঃ (হাসি) অভিনেতার জীবন খুব অনিশ্চিত। হয়ত ২৪-এ চলে এলাম, আবার হয়ত ২০২৫-এও এলাম না। আমি নিজেও জানি না। আমি কিছু প্ল্য়ান করে চলি না।&n𒅌bsp;
২০২৩ অর্পণের অভিনয় কেরিয়ারের সেরা বছর, নতুন বছরে কী রেজোলিউশন থাকছে?
অর্পণঃ একটু নাম হয়ে গেলেই তো আত্ম-সন্তুষ্𒊎টি চলে আসে। সেটা যেন না হয়, নিজেকে যেন ཧআরও সমৃদ্ধ করতে পারি, সেটাই চেষ্টা।
অর্পণের এই সাফল্য নিয়ে পরিবারের কী প্রতিক্রিয়া?
অর্পণঃ তাদের আচার-আচরণ আমাকে গ্রাউন্ডেড রেখেছে। এখনও খাবার খেয়ে থালা নিজেকেই মাজতে হয়, এমনই অবস্থা বাড়িতে। বাড়ির লোক আম༺াকে আলাদা করে পাত্তা দিচ্ছে এমন নয়। আত্মীয়-স্বজনরা একটু পাত্তা দিচ্ছেন।
অর্পণের মহিলা ভক্তদের সংখ্যা তো অগুণতি। বউ এই ব্যাপারে কী পজেসিভ?
অর্পণঃ সে আমাকে স্কুল জ𒁃ীবন থেকে দেখছে। এইসব নিয়ে ওর কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। সে জানে… বাজারে বেরিয়ে গিয়েছে যখন বাজারের প্রোডাক্টকে নিয়ে বেশি ভাবনা-চিন্তা করে লাভ নেই (হাসি)। মজাই করে ও, আমাকে কমেন্টগুলো পড়ে শোনায় মাঝ♐েমধ্যে।