লক্ষ্মী কাকিমার আদুরে বউমা থেকে এখন ফুলকির জাঁদরেল খলনায়িকা। এই মুহূর্তে ফুলকির জীবনের সতীন কাঁটা ‘শালিনী’ শার্লি। রোহিত অর্থাৎ অভিষেকের প্রাক্তন স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শ♔ার্লি। নতুন কাজ শুরুর ব্যস্ততা সঙ্গে জীবনে পুরোনো প্রেম ফিরে আসা! সব মিলিয়ে এই বছর শার্লির পুজো জমজমাট।
চলতি বছরের শুর✃ুতেই প্রকাশ্যে এসেছিল শার্লির ব্রেকআপের খবর। ছয় বছরের পুরোনো প্রেম সম্পর্কে ইতি টেনেছিলে🔜ন নায়িকা! কিন্তু ভাঙা মন জোড়া লেগেছে, শার্লি ও মৃত্যুঞ্জয় নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়ে ফের এক হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই, এবার নিজের মুখেই সুখবর দিলেন শার্লি। সঙ্গে শেয়ার করলেন তাঁর পুজো পরিকল্পনা।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী জানান, ‘আমার কাছে দুর্গাপুজো মানে আমার কাছে জলপাইগুড়ি, আমার কাছে পু♔জো মানে বাড়ি ফেরা। এবারও 🌳তাই, ষষ্ঠীর দিনই বাড়ি ফিরব। প্রচণ্ড এক্সাইটেড’।
কলকাতার পুজোর থেকে কতটা আলাদা শার্লির জলপাইগুড়ির পুজো? বাংলা টেলিভিশনের ভাগ্যলক্ষ্মী বললেন, ‘জলপাইগুড়ির পুজো খুব বড়ো করে হয়। আমি কোনও জায়গার পুজোকে ছোট করছি না, তবে কলকাতার পুজোতে প্রচুর ভিড় হয়, আജমার সেটা পছন্দ নয়। জলপাইগুড়ির পুজোতেও ভিড় হয়, কিন্তু কোথাউ একটা হোমলি অ্যাটমোস্ফিয়ার থাকে। ওখানে আমার কাছের মানুষদের পাই, বন্ধুদের সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা হয়, তাই ওটা সবচেয়ে স্পেশ্যাল।’ আর পুজোর স্মৃতি? মুচকি হেসে বললেন- ‘প্রচুর স্মৃতি রয়েছে। তবে সবচেয়ে স্পেশ্যাল, জলপাইগুড়ির রাজ বাড়িতে দশমীর দিন প্রায় দু থেকে তিন হাজার মানুষ ঢাকের তালে একসঙ্গে নাচেন যখন মায়ের ভাসা🦩ন হয়। আমি যেখানেই থাকি না কেন, ওই দশমীর দিনের জন্য আমি সবকিছু বলিদান দিতে পারি।’
আর পুজোর প্রেম? আফসোসের সুরে বললেন- ‘ছোটবেলা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বেরোতাম। পুজোয় ঝারি মারা, বা প্রেম সেটা হয়নি, তারপর তো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লাম’। এরপরই খোলসা করলেন নিজের প্রেমের গল্প। বললেন, ‘২০১৭ সাল থেকে আমি সম্পর্কে রয়েছি (মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্যর সঙ্গে)। পুজোর সময়ই আমাদের প্রেমটা কমিটমেন্টের জায়গায় আসে। প্রেমটা আগেই শুরু হয়েছিল, তবে অষ্টমীর দিন থেকে প্রেমটা হঠাৎ করে অন্য লেবেলে প🍰ৌঁছে যায়। মানে নর্ম্যাল প্রেম থেকে কমিটমেন্টের জায়গায় পৌঁছে যায়’।
ব্রেকআপ অতীত! একসঙ্গেই কাটবে দুজনের পুজো। মৃত্যুঞ্জয়ও জলপাইগুড়ির ছেলে। প্রেমিকের জ🐻ন্য কী উপহার কিনলেন শার্লি? জবাব এল- 'আমি ওর থেকে কিছু গিফট ওভাবে নিই না, ওকেও আমি তেমন কিছু দিই না। যা পছন্দ হয় ও বলে কিনে নিস, আমিও তাই কর♎ি। এবার এখনও তেমন কিছু করা হয়নি'।
আর পুজোর সাজ? সেই নিয়ে কী পরিকল্পনা লক্ষ্মী কাকিমার বউমার। বললেন, ‘পুজো মানে আমার কাছে এথনিক। হয়ত সবদিন শাড়ি নাও পরতে পারি, কিন্তু সাবেকিয়ানা মাস্ট। আমিꦅ যেহেতু বাড়িতে থাকি না, তাই পুজোর কটা দিন একটু মা-কে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। রোজ যে ঠাকুর দেখতে বেরোই এমন নয়। তবে বেরোলে শাড়ি পরি, এর পাশাপাশি হয়ত কুর্তা বা কোনও ড্রেস পরলাম’।
শ্যুটিﷺং-এর পাশাপাশি পুজোর শপিংও এখনও জারি রয়েছে শার্লির!