🐓টলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত নায়িকা শোলাঙ্কি রায়। তাঁর জীবনে প্রেম নিয়ে অনুরাগীদের আগ্রহের অন্ত নেই। তবে ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী। ২০১৮ সালের গোড়ায় স্কুলজীবনের বন্ধু শাক্য বোসকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তারপর অবশ্য ২০২৩ সালে তাঁর জীবনে নেমে আসে বিচ্ছেদ। এরপর নায়িকার সঙ্গে অভিনেতা সোহম মজুমদারকে জড়িয়ে শুরু হয় প্রেম নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা। যদিও সোহমকে বরাবর ভালো বন্ধু বলেই দাবি করে এসেছেন শোলাঙ্কি। কিন্তু রাত পোহালেই ভ্যালেন্টাইন্স'ডে। এদিনটা কার সঙ্গে কাটাবেন তিনি? হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে চুপিচুপি সেই খোঁজই দিলেন নায়িকা।
𓃲ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে এটা প্রেমেরই সপ্তাহ। আর মোটে কয়েক ঘণ্টা, তারপরই ভ্যালেন্টাইন্স'ডে। মনে মানুষের কাছ থেকে পাওয়া লাল গোলাপ ছাড়া এই দিন অনেকের কাছেই অসম্পূর্ণ। কিন্তু শোলাঙ্কি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন তিনি এখনও সিঙ্গল। তাহলে কার সঙ্গে উদযাপন করবেন এই বিশেষ দিনটা? প্রশ্নে নায়িকা হেসে বলেন, ‘ওই দিন আমার একটু কাজ আছে, সেখানে ৩-৪ ঘণ্টা মতো সময় লাগবে। তারপর রাতে আমার দুই বান্ধবীর সঙ্গে একটু খেতে বের হব। আসলে সবাই এদিনটা কিছু না কিছু করেন, তাই আমারাও ফোমোতে (ফিরার অফ মিসিং আউট) পড়তে চাই না, সেই কারণেই একটু খেতে যাব।’
আরও পড়ুন: 🐼প্রেমদিবসে বরের থেকে আলাদা! সৌরভ নয়,'প্রথম ভ্যালেন্টাইন'-এর সঙ্গে কাটবে দর্শনার ১৪ই ফেব্রুয়ারি
🐎কিন্তু স্কুল কলেজে পড়ার সময় তো ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে একটা আলাদা উন্মাদনা থাকে…, কথা শুনেই অভিনেত্রী বলেন, ‘উন্মাদনা ছিল কিন্তু পয়সা ছিল না। উন্মাদনাটা বেশি নিজের মধ্যেই থাকত। আর স্কুল কলেজে পড়ার সময় হাত খরচা হিসেবে কত টাকাই বা পেতাম। তাছাড়া ভ্যালেন্টাইন’স ডেতে তো বাড়ি থেকে বেরোনোর অনুমতিও ছিল না। তাই ওই প্রেম নিবেদনের বিষয়টা কলেজ বা স্কুলের সময়টুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তখন ওই গোলাপ দেওয়া নেওয়া হত কিন্তু সেই গোলাপগুলো আবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া মুশকিল ছিল তাই বন্ধুদের বাড়ি পাঠিয়ে দিতাম। তবে হ্যাঁ এই সবের মধ্যেও তো একটা উন্মাদনা থাকে। আর তারপর তখন এই বিষয়গুলোর সবে সবে দেখছি বা শিখছি। কিন্তু ওই যা হয় আর কি, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবটাই বদলে যায়, উন্মাদনাও কমে যায়।'
আরও পড়ুন: ♋'পথ চলা শুরু...', ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙেছে! ফের কাছাকাছি সৌপ্তিক-রণিতা, জুড়ছে ভাঙা প্রেম?
🐽তবে অভিনেত্রী জানান, এখন নতুন নতুন কাপল দেখে তিনি আনন্দ পান। নায়িকার কথায়, ‘তবে এখন আমার ওই দিনগুলো ভেবে মোটেও মন খারাপ হয় না। বরং বেশ আনন্দই পাই যখন দেখি রাস্তা দিয়ে গোলাপ ফুল বা ফুলের তোড়া নিয়ে একে অপরের হাত ধরে অল্প বয়সী সব প্রেমিক যুগলরা একসঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওঁদের দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগে।’
💮তবে প্রেম মানেই তার সঙ্গে প্রেমপত্রেরও একটা যোগ থাকে। অভিনেত্রী কী প্রেমপত্র পেতেন বা দিয়েছেন কাউকে? এই কথা শুনেই শোলাঙ্কি বলেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, প্রেমপত্র দিয়েছি আবার পেয়েছিও। কিন্তু এখন মনে হয় এর চল খুব একটা নেই, আমি অবশ্য ঠিক জানি না। তবে এখন তো সব ম্যাসেজ বা ডিএম-এ হয়ে যায়। তবে আমি অনেক প্রেমপত্র পেয়েছি আবার আমি প্রেমপত্র লিখেওছি।’
🍨কিন্তু সেই প্রেমপত্রের জন্য বাড়িতে কি কখনও বকা খেয়েছেন নায়িকা? বেশ বড় করে সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়ে বেশ মজা ছলেই নায়িকা বলেন, ‘কার বাড়িতে প্রেমপত্র ধরা পড়ে সে বড়া খায়নি? আমিও বকা খেয়েছি।’ তারপর কি সেই প্রেমপত্র বন্ধুর বলে চালিয়ে দেন তিনি? প্রশ্নে নায়িকা বলেন, ‘না না আমার মাকে এই সব মিথ্যে বলে ছাড় পাওয়া যেত না। মা আমার থেকেও আমাকে ভালো করে জানতেন। মা আমার প্রেমপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিতেন, তারপর প্রচুর বকাও দিতেন।'