ভূমি-র ‘বারান্দায় রোদ্দুর’ শুনে বড় হয়েছে নব্বইয়ের প্রজন্ম। দেখতে দেখে ভরা যৌবনে পা দিয়েছে বাংলা ব্যা🔥ন্ড ভূমি। পায়ে পায়ে গানের জগতে ২৫ বছর পার করল এই গানের দল। ২৭ শে জুলাই, ২৫ বছরের সেলিব্রেশন উপলক্ষ্যে শ্রোতা-দর্শকদের ভূমি উপহার দিচ্ছে তাঁদের ১৮৫১তম কনসার্ট। বাংলার লোক-আঙ্গিকের ব্যান্ড ভূমি শনিবার পারফর্ম করতে রবীন্দ্র সদনে। এর জন্য ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা। তার আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে গান সফরের রজতজয়ন্তী, সুরজিতে꧟র ‘ভূমি’ত্যাগ নিয়ে মন খোলা আড্ডা দিলেন সৌমিত্র রায়।
২৫ বছরের জন্মদিনে ‘ভূমি’র শুরুর দিনগুলোর মনে পড়ছে? কীভাবে শুরু করেছিলেন…
সৌমিত্র: কিছুই ছিল না! (খানিক থেমে) কিছু ইন্সট্রুমেন্ট ছিল আবার অনেককিছু ছিল না। শুধু গান করার ইচ্ছে ছিল। কয়েকজন গানপাগল বন্ধু মিলে শুরু করেছিলাম। কিছু ভাটিয়ালি, কিছু ঝুমুর গুনগুন করতাম। তারপর লিখতে শু🤡রু করলাম। কারণ কভার গান গেয়ে কিছু হয় না। নিজেদের গান লিখে, নিজেরা সুর করতে লাগলাম। মানুষের কাছে গানগুলো পেশ করছিলাম। দেখলাম সকলে গ্রহণ করছে, সংবাদপত্রেও লেখালেখি হচ্ছে। আমাদের প্রথম অনুষ্ঠান হয় ১৯৯৯ সালে, জ্ঞান মঞ্চে। সেই শুরু…জার্নিটা জুড়ে একটা পজেটিভ এনার্জি ছিল, আজও সেটা একইরকম রয়েছে।
২৫ বছরের এই সফরে তো মাঝপথে অনেকে ছেড়ে গেছেন। বিশেষত সুরজিৎ, সুরজিৎদা-কে কতটা মিস করেন?
সৌমিত্র: আমি এই নিয়ে কথাই বলতে চাই। যে ছেড়ে ꦍগেছে তাঁকে নিয়ে🌳 কথা বলতে চাই না। (সুরজিৎ-এর নামও উচ্চারণ করলেন না সৌমিত্র রায়)
অনেক বছর তো আলাদা হয়েছেন, ভূমির ২৫ বছরেও কি…
সৌমিত্র: বললাম তো, এই প্রসঙ্গে আমি কোনও কথা বলতে চাই না।
আপনারা যখন শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকে আজকে বাংলা ব্যান্ড কালচারে কী পরিবর্তন দেখলেন?
সৌমিত্র: আমি অন্যদেরꦉ কথা ভাবি না। অন্য ব্যান্ডগুলো যতদিন না নিজেদের গান গেয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারছে কিছু হবে না। আই ডোন্ট কেয়ার। সবসময় কভার করে, মানুষকে নাচিয়ে…. কিছুদিন চলবে। সেটা বেশিদিন চলতে পারে না।
ভূমি-ক্যাকটাস, ফসিলস-চন্দ্রবিন্দুর বাইরে আজকে বাংলা ব্যান্ড কই? বাংলায় কি ব্যান্ড কালচার শেষ হয়ে যাচ্ছে?
সৌমিত্র: আমরা কেন ২৫ বছর ধরে টিকে আছি? আমরা নিজেদের গান গেয়ে টিকে আছি। আমরা কোনও ജপ্রোগ্রামে ১৫টা গান গাইলে ১২টা গান আমরা নিজেদের তৈরি করা গাই। এটাই পার্থক্য। কভার গেয়ে কিছু হবে না।
সমাজমাধ্যমের এই যুগে এখন সিঙ্গলসের ছড়াছড়ি, অ্যালবাম বিলুপ্ত। গানের ইন্ডাস্ট্রিতে এই বদলটা কীভাবে দেখেন?
সৌমিত্র: নেই যখন আমাদের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখন অ্যালবাম করলেও সেটা বেচবে কী করে! পেশ করবে কী করে! তার চেয়ে সিঙ্গলস করাটাই শ্রেয়, কিংবা তিন-চারটে গান রিলিজ কর। আমরা সেই সব নিয়ে বেশি ভাবিত নই। নতুন গানের ভ🎃াবনা আমাদের মাথায় সারাক্ষণ চলতে থাকে। অরিজিনিয়্যালস গান নিয়ে আমরা সবসময় ভেবে চলেছি। আর্যেশও লিখছে, সুর করছে।
ছেলে আর্যেশের সঙ্গে এক মঞ্চে পারফর্ম করা, ভূমির নতুন প্রজন্মকে কীভাবে দেখেন?
সৌমিত্র: ও নেক্সট জেনারেশন। ওরাই তো ভূমিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমার বিশ্বাস ও পারবে। আরও কয়েকজন আছে, বাচ্চা-বাচ্চা, ১৯-২০ বছরের। ওরা চাইলে পারবে। আর্যেশ মঞ্চে থ💟াকলে আমি ভরসা পাই। ও ড্রামটা বাজাচ্ছে👍, সঙ্গে ব্যাকিং ভোকালসও দিচ্ছে।
ভূমি-র ‘বারান্দায় রোদ্দুর’ শুনে বড় হয়েছে নব্বইয়ের প্রজন্ম। দেখতে দেখে ভরা যৌবনে🦹 পা দিয়েছে বাংলা ব্যান্ড ভূমি। পায়ে পায়ে গানের জগতে ২৫ বছর পার করল এই গানের দল। ২৭ শে জুলাই, ২৫ বছরের সেলিব্রেশন উপলক্ষ্যে শ্রোতা-দর্শকদের ভূমি উপহার দিচ্ছে তাঁদের ১৮৫১তম কনসার্🧸ট। বাংলার লোক-আঙ্গিকের ব্যান্ড ভূমি শনিবার পারফর্ম করতে রবীন্দ্র সদনে। এর জন্য ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা। তার আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে গান সফরের রজতজয়ন্তী, সুরজিতের ‘ভূমি’ত্যাগ নিয়ে মন খোলা আড্ডা দিলেন সৌমিত্র রায়।
২৫ বছরের জন্মদিনে ‘ভূমি’র শুরুর দিনগুলোর মনে পড়ছে? কীভাবে শুরু করেছিলেন…
সৌমিত্র: কিছুই ছিল না! (খানিক থেমে) কিছু ইন্সট্রুমেন্ট ছিল আবার অনেককিছু ছিল না। শুধু গান করার ইচ্ছে ছিল। কয়েকজন গানপাগল বন্ধু মিলে শুরু করেছিলাম। কিছু ভাটিয়ালি, কিছু ঝুমুর গুনগুন করতাম। তারপর লিখতে শুরু করলাম। কারণ কভার গান গেয়ে কিছু হয় না♑। নিজেদের গান লিখে, নিজেরা সুর করতে লাগলাম। মানুষের কাছে গানগুলো পেশ করছিলাম। দেখলাম সকলে গ্রহণ করছে, সংবাদপত্রেও লেখালেখি হচ্ছে। আমাদের প্রথম অনুষ্ঠান হয় ১৯৯৯ সালে, জ্ঞান মঞ্চে। সেই শুরু…জার্নিটা জুড়ে একটা পজেটিভ এনার্জি ছিল, আজও সেটা একইরকম রয়েছে।
২৫ বছরের এই সফরে তো মাঝপথে অনেকে ছেড়ে গেছেন। বিশেষত সুরজিৎ, সুরজিৎদা-কে কতটা মিস করেন?
সৌমিত্র: আমি এই নিয়ে কথাই বলতে চাই। যে ছেড়ে গেছ🅺ে তাঁকে নিয়ে কথা বলতে চাই না। (সুরজিৎ-এর নামও উচ্চারণ করলেন না সৌমিত্র রায়)
অনেক বছর তো আলাদা হয়েছেন, ভূমির ২৫ বছরেও কি…
সৌমিত্র♔: বললাম তো, এই প্রসঙ্গে আমি কোনও কথা বলতে চাইജ না।
আপনারা যখন শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকে আজকে বাংলা ব্যান্ড কালচারে কী পরিবর্তন দেখলেন?
সৌমিত্র: আমি অন্যদের কথা ভাবি না। অন্য ব্যান্ডগুলো যতদিন না নিজেদের গান গেয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারছে কিছু হবে না। আই ডোন্ট ক𓆏েয়ার। সবসময় কভার করে, মানুষকে নাচিয়ে…. কিছুদিন চলবে। সেটা বেশিদিন চলতে পারে না।
ভূমি-ক্যাকটাস, ফসিলস-চন্দ্রবিন্দুর বাইরে আজকে বাংলা ব্যান্ড কই? বাংলায় কি ব্যান্ড কালচার শেষ হয়ে যাচ্ছে?
সৌমিত্র: আমরা কেন ২৫ বছর ধরে টিকে আছি? আমরা নিজেদের গানꦯ গেয়ে টিকে আছি। আমরা কোনও প্রোগ্রামে ১৫টা গান গাইলে ১২টা গান আমরা নিজেদের তৈরি করা গাই। এটাই পার্থক্য। কভার গেয়ে কিছ𝔍ু হবে না।
সমাজমাধ্যমের এই যুগে এখন সিঙ্গলসের ছড়াছড়ি, অ্যালবাম বিলুপ্ত। গানের ইন্ডাস্ট্রিতে এই বদলটা কীভাবে দেখেন?
সৌমিত্র: নেই যখন আমাদের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখন অ্য𝕴ালবাম করলেও সেটা বেচবে কী কর꧟ে! পেশ করবে কী করে! তার চেয়ে সিঙ্গলস করাটাই শ্রেয়, কিংবা তিন-চারটে গান রিলিজ কর। আমরা সেই সব নিয়ে বেশি ভাবিত নই। নতুন গানের ভাবনা আমাদের মাথায় সারাক্ষণ চলতে থাকে। অরিজিনিয়্যালস গান নিয়ে আমরা সবসময় ভেবে চলেছি। আর্যেশও লিখছে, সুর করছে।
ছেলে আর্যেশের সঙ্গে এক মঞ্চে পারফর্ম করা, ভূমির নতুন প্রজন্মকে কীভাবে দেখেন?
সৌমিত্র: ও নেক্সট জেন🦩ারেশন। ওরাই তো ভূমিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমার বিশ্বাস ও পারবে। আরও কয়েকজন আছে, বাচ্চা-বাচ্চা, ১৯-২০ বছরের। ওরা চাইলে পারবে। আর্যেশ মঞ্চে থাকল🙈ে আমি ভরসা পাই। ও ড্রামটা বাজাচ্ছে, সঙ্গে ব্যাকিং ভোকালসও দিচ্ছে।
সৌমিত্রকে সেভাবে রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে দেখা যায় না, এটা কি সচেতন সিদ্ধান্ত?
সৌমিত্র: প্রথমত, আমাকে আমন্ত্রণ জানালে আমি হয়ত একটা শর্তেই যাব, আমার উপর কেউ ছড়ি ঘোরাবে না। আমি যা সিদ্ধান্ত নেব,সেটাই যা🅘তে বহাল থাকে। আমি আগে দু-এক বার রিয়ালিটি শো-এর অংশ হয়েছি। অভিজ্ঞতা সুখকর নয়, আমার যা সিদ্ধান্ত ছিল সেটা সকলের সিদ্ধান্ত ছ𒊎িল। কিন্তু পরে দেখলাম তা বদলে দেওয়া হয়েছে। তাই আমি এগুলো অ্যাভোয়েড করি।
আরেকটা কথা বলি…
নিশ্চয়…
সৌমিত্র: এই রিয়ালিটি শো-এর ১০-এর মধ্যে হয়ত একজন কিংবা দু'জন টিকে থাকে। বাকিরা অল্প পয়সায় শো করে, আর কিছুদিন পর হারিয়ে যায়। কারণ এদের নিজেদের গান বলতে𒆙 কিছু নেই, সবাই শুধু কভার গায়। সবই কন্ঠী। এতে কিছু লাভ নেই। আমার তো এমন নয়, যে আমি রিয়ালিটি শো না করলে আমি খেতে পাব না।
ভূমির নতুন কী গান আসছে?
সৌমিত্র: নতুন গান আমাদের তিন-চার মাস আগে এ𝔍সেছে, শাল-পিয়াল বলে। রিদিমিক একটা গান। সেটা নিয়ে বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া। ভবিষ্যতে আরও কিছু 💛পরিকল্পনা রয়েছে, দেখা যাক।
সব শেষে বলব, শনিবার রবীন্দ্র সদনে আমরা ১৮৫১তম অনুষ্ঠান করতে চলেছি। খুব উত্তেজিত। আমি প্রচণ্✱ড ডিসিপ্লিনড, আমি শুরু থেকে প্রতিটা শো নোট করে রেখেছি। আমি জানতাম ভূমি অনেকদূর যাবে। ২৫ বছর সবে হল, আরও অনেকটা পথ যাব আমরা। পরের বছরে বড় চমক আসতে চলেছে, বিদেশে একটা বড় ট্যুর রয়েছে, সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।