হীরামন্ডির সৌজন্যে ফের লাইমলাইটে ফারদিন খান। বনশালির এই সিরিজের হাত ধরেই ওটিটিতে অভিষেক হয়েছে বলিউড থেকে কার্যত হারিয়ে যাওয়া এই নায়কের। ফারদিনের অভিনয় দর্শক মনে দাগ কেটেছে। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন ১৪ বছর লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগত থেকে দূরে থাকলেও তাঁর অভিনয়ে মরচে পড়েনি। সম্প্রতি জুম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারদিন জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য একটা সময় কতখানি ট্রোলিং-এর শিকার হয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন-'কঠিন সময় ছিল'♒, গর্ভস্থ যমজ সন্তানের মৃত্যু, পিতৃত্বের স্বাদ পেতে IVF-এর দ্ব𝓡ারস্থ হন ফারদিন খান
ট্রোলিং প্রসঙ্গে ফারদিন
ফোলা গাল, গোলগাল ফারদিনকে দেখে একটা সময় চমকে উঠেছিল নেটপাড়া। মুটিয়ে যাওয়া ফারদিন হয়ে উঠেছিলেন ট্রেন্ডিং টপিক। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে ফারদিন বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছিলাম এই ধরণের মনোযোগ পেয়ে। তবে, অবশ্যই, আপনি দ্রুত বুঝতে পারেন যে লোকেরা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে স্মরণ করছে। তারা আমাকে দেখে অবাক হলো।… সেই সময়ে বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ডিং বিষয় ছিলাম এবং সঠিক কারণে নয়। আমি যেভাবে এটি মোকাবেলা করেছি, গ্ল্যামার জগতে বেড়ে ওঠার কারণে আপনার শরীরের চামড়া মোটা হয়ে যায়। আপনি নিজেকে শেখান যাতে এগুলো যতটা সম্ভব আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রভাবিত না করে। আপনি এর মধ্যে হাস্যরস খুঁজে পেতে পারেন। এ বিষয়ে দার্শনিক আলোচনা করতে পারেন। আপনি এটি থেকে শিখতে পারেন। আমি তিনটিই করার চেষ্টা করেছি। এটা আমার কাছে একটা ঘুষি ছিল এবং আমি সেটা চিবুকে নিয়েছিলাম’। 𒁏;
তিনি আরও বলেন, ‘ ট্রোলিং-এর 🍎তীব্রতা বা মাত্রা অত্যন্ত নীচ ছিল, ওতোটা আশা করিনি। এটা আপনাকে অবাক করে যে মানুষ অন্যের দুঃখ এবং হতাশার মওধ্যে নিজেরা আনন্দ খুঁজে পায়’।
মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের নায়কসুলভ চেহারা নিয়ে বছর দুয়েক আগে আইফার মঞ্চে ধরা দিয়েছিলেন ফারদিন। ২০১৬ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় ফরদিনের বেশ কিছু ছবꩲি, যেখানে মেদযুক্ত ফারদিনের চেহারা দেখে ‘শক’ লেগেছিল অনেকেরই। ফোলা গাল, বিশাল এক ভুঁড়ির অধিকারী ‘প্যায়ার তুনে ক্যায়া কিয়া’ খ্যাত অভিনেতা, যা দেখে হয়রান হয়েছিল অনু⭕রাগীরাও। সেই সময় ব্যাপক বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন ফারদিন।
নবাবের চরিত্রে মুগ্ধ করেছেন ফারদিন খান
বনশালির হীরামান্ডি ওয়েব সিরিজে নবাব ওয়ালি বিন জায়েদ-আল মোহাম্মদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০০০ সালে ‘জঙ্গল’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছিলেন ফিরোজ খান পুত্র। যদিও তাঁর প্রথম ছবি ‘প্রেম আগান’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এরপর এক দশক চুটিয়ে বলিউডে কাজ করেছেন ফারদিন খান। অꦐভিনেতাকে রুপোলি পর্দায় শেষ দেখা গিয়েছে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘দুলহা মিল গালা’তে। গর্ভস্থ যমজ সন্তানদের মৃত্য়ু, বাবার মৃত্যুর🎶 যন্ত্রণা অবসাদে ঠেলে দিয়েছিল ফারদিনকে। তবে সেইসব ভুলে ফের স্বমহিমায় ফিরেছেন তিনি।
ফারদিন খানের আসন্ন প্রজেক্টগুলি
ফারদিনকে আগামীতে সঞ্জয় গুপ্ত প্রযোজিত বিস্ফোট ছবিতে দেখা যাবে। মুদাসসর আজিজের খেল খেল মে ছবিতেও দেখা যাবে ফারদিন খানকে।