আসছেন তিনি আসছেন! পরিচালক সন্দীপ রায়ের হাত ধরে ফের বড়পর্দায় ফিরছে 'ফেলুদা'। কাল্পনিক হলেও পঞ্চাশ বছর পেরিয়েও এই বাঙালি গোয়েন্দা যে কিংবদন্তির চৌকাঠ পেরিয়ে গেছে কয়েক দশক আগেই তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বইয়ের পাতা থেকে পর্দায়, এমনকি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও যে চূড়ান্ত জনপ্রিয় 'ফেলু মিত্তির' সেকথা প্রতিবারই তাঁর আবির্ভাবের সঙ্গে হাতেকলমে প্রমাণিত হয়েছে। বড়দিনে বাঙালি এবং আপামর ফেলুদাপ্রেমীদের জন্য তাই 'ক্র๊িসমাস গিফট' হিসেবে একেবারে টাটকা ফেলুদা ছবির কথা ঘোষণা করল এসভিএফ।
সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২য়ে 'হত্যাপুরী' ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় ফের দর্শন দেবেন বাঙালির প্রিয় গোয়েন্দা প্রদোষ চন্দ্র মিত্র। তবে এবারে তাঁর সঙ্গে শুধু তোপসে নয়, ཧথাকবেন জটায়ু। অর্থাৎ এক দশক পেরিয়ে ফের একবার বড়পর্দায় একসঙ্গে হাজির হবেন এই 'থ্রি মাস্কেটিয়ার্স'। সত্যজিৎ রা𝓰য় রচিত ফেলুদার এই বিখ্যাত উপন্যাস অনুযায়ী চিত্রনাট্য লিখেছেন সন্দীপ রায়। এবারের প্রেক্ষাপট পুরী। ছুটি কাটাতে গিয়ে পুরীর সমুদ্র সৈকতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। এবং সেই লাশকে কেন্দ্র করেই নয়া রহস্যের খোঁজ পায় 'ফেলু মিত্তির'। জড়িয়ে পড়েন তদন্তে। উন্মোচন হতে থাকে একের পর এক রোম খাড়া করা সত্য ঘটনা। তত্ব তালাশ চলাকালীন খুন হয় আরও এক ব্যক্তি। সত্যসন্ধান যত এগোতে থাকে মামলা তত রহস্যময় মোড় নেওয়া শুরু করে। আক্রান্ত হয় 'ফেলুদা' নিজেও। শেষপর্যন্ত মিথ্যে, রহস্যের কুয়াশা সরিয়ে ফেলুদা অপরাধীকে হাতেনাতে ধরে ফেলতে কি না, তাই নিয়েই এগোবে ছবির গল্প।
'হত্যাপুরী'র পরিচালনা ও চিত্রনাট্য সামলানো ছাড়াও এ ছবির সংগীত পরিচালনার দায়💧িত্বেও রয়েছেন সন্দীপ রায় নিজেই। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলাবেন সৌমিক হালদার। তবে ফেলুদা, তোপসে এবং জটায়ুর চরিত্রে করা থাকছেন সে ব্যাপারে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি প্রযোজনা সংস্থার তরফে। তবে টলিপাড়ায় জোর ফিসফাস একেবারে নয়া অবতারে নাকি 'থ্রি মাস্কেটিয়ার্স'কে দেখা যেতে চলেছে 'হত্যাপুরী'তে।
শেষবার সন্দীপবাবুর নির্দেশে ২০১৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছিল ফেলুদা। সেবারে ফেলুদা ও তোপসের চরিত্রে যথাক্রমে দেখা গেছিল সব্যসাচী চক্রবর্তী এব♋ং সাহেব ভট্টাচার্যকে। জানিয়ে রাখা ভালো, সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ফেলুদা ও শঙ্কুর দুটি গল্প নিয়ে একটি ছবি তৈরির ঘোষণা করা হয়েছিল এসভিএফ এবং সন্দীপ রায়ের তরফে। তবে করোনা এবং নানান সমস্যার জেরে সে ছবি আপাতত মুলতুবি রয়েছে।
অন্যদিকে এ দিন ফেলুদাকে নিয়ে সিনেমা বা ওয়েবসিরিজ বানানোর স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে রায় শোনালো আলিপুর কমার্শিয়াল কোর্ট। এসভিএফ এন্টারটেনমেন্টের তরফে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়ে দিল, এই গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে কোনও সিনেমা বা ওয়েবসিরিজ বান൲ানো এবং তার প্রকাশ করার কোনও অধিকার এসভিএফ ব্যতিরেকে অন্য কারও থাকবে না। এই প্রসঙ্গে অন্য তিনটি প্রযোজনা সংস্থার ফেলুদা-সম্পর্কিত নির্মাণের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হল আদালতের তরফে।