‘কাঁচা বাদাম’ গান গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর। অন্যদিকে, ভুবন বাবুর পর আরও এক বাদ্যকরকে সোไশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন। তিনি ‘মাছ কাকু’ কুশল বাদ্যকর। গানের জাদুতে মাছ বিক্রিই ‘ইউএসপি’ কুশল বাবুর।
ব𝓀ছর ৪৭-এর কুশলের বাড়ি দুর্গাপুর পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের 🍷শোভাপুরে। স্ত্রী সুমিত্রাকে নিয়ে তাঁর ছোট্ট সংসার চলে মাছ বিক্রি করে। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মাস খানেক আগেই কুশল বাদ্যকরের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাছ বিক্রেতা কুশল বাদ্যকরকে গান গেয়ে মাছ বিক্রি করতে দেখতে পেয়েছিলেন নেটিজেনরা। শুধু গান নয়, কোন মাছ কী ভাবে রাঁধলে খেতে ভালো লাগে, সেই রেসিপিও উঠে আসত তাঁর গানের মধ্যে।
আরও পড়ুন🍬: কেউ মাধ্যমিক পাশ, কেউ স্নাতক! প্রসেনজিৎ থেকে জিৎ… টলি তারকাদের পড়াশোনা কতদূর?
সম্প্রতি স্টুডিওয় পা রেখেছেন মাছ কাকু। রেকর্ড করেছেন তাঁর নতুন গান। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে কুশল বাদ্যকরের সেই গান। গানের ভিডিয়োতে এক সুন্দরী মহিলার সঙ্গে কোমর দোলাতে দেখা গিয়েছে মা𝔍ছ কাকুকে।
জানা গিয়েছে, জনপ্রিয়তার কারণে আপাতত মাছ বিক্রি বন্ধ রাখতে হয়েছে কুশল বাদ্যকরকে। কুশলের ‘মাছ নেবেন দাদা, মাছ নেবেন’ গানটি সাড়া ফেলেছে নেটদুনিয়ায় এবং গ্রামের বাসিন্দাদের𝄹 মধ্যে। কুশলের গানও এখন দুর্গাপুরের মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে।
কুশল বাবুর বাবা সুবল বাদ্যকার একজন বেহালাশিল্পী ছিলেন। ঠাকুরদ🌳া নগেন্দ্রনাথ বাদ্যকার খোল বাজাতেন। বাড়িতে গান–বাজনার চল অনেকদিন ধরেই ছিল। ১০ বছর ধরে রেডিয়ো, টিভিতে গান শুনে গান শিখেছেন কুশল। এরপর লোকগীতির তালিম নেন।
লকডাউনের আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন কুশল। কিন্তু লকডাউনে সেই বেসরকারি সংস্𒉰থার কাজ চলে যায়। এরপর কী 𒁏করবেন কিছুই ভেবে উঠতে পারছিলেন না। তখন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করা শুরু করেন। মাছ বিক্রি যেন ভালোভাবে হয়, সেই জন্য মানুষকে টানতে নানা রকমের গান বেঁধেছেন কুশল। কীভাবে মাছ রান্না করলে সুস্বাদু হয়ে উঠবে সেই পদ, এই সবই ধরা পড়েছে কুশলের গানে।