এক বাঙালি ড্রাকুলার গল্প নিয়ে রূপোলি পর্দায় হাজির হচ্ছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও মিমি চক♊্রবর্তী। ছবির নামটা তো অনেক আগেই সবাই জেনে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সামনে এল ছবির ফার্স্ট লুক পোস্টার। যেখানে মঞ্জরীর সাদামাটা লুকে ধরা দিলেন মিমি। অন্যদিকে ড্রাকুলার অবতারেই পোস্টারে পাওয়া গেল অনির্বাণকে। চোখে মুখে ভয়ঙ্কর অভিব্যক্তি, পোস্টারে লেখা রয়েছে-রক্তপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
ড্রাকুলা স্যার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দেবালয় ভট্টাচার্য। ছবির ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আনার সঙ্গে সঙ্𝓡গেই ছবি মুক𒐪্তির তারিখও ঘোষণা করে দিয়েছে প্রযোজক সংস্থা ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। ১লা মে মুক্তি পাবে ড্রাকুলা স্যার।
এই ছবির সঙ্গেই রূপোলি পর্দায় কামব্যাক করছেন মিমি চক্রবর্তী। সাংসদ হওয়ার পর🍸 এই প্রথম পর্দায় দেখা যাবে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদকে। এর আগে ধনঞ্জয় ছবিতে একসঙ্গে কাজ করলেও স্ক্রিন শেয়ার করেননি মিমি-অনির্বাণ, তাই এই ছবিতেই প্রথমবার একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে নಞিতে দেখা যাবে তাদের। ১৯৭০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে ড্রাকুলা স্যারের গল্প। ছবিতে মিমি অভিনীত চরিত্রটির নাম মঞ্জরী, অনির্বানের নাম রক্তিম, যাকে সবাই ডাকে ড্রাকুলা স্যার বলে। কিন্তু কেন? তাঁর সামনের দাঁত (ক্যানাইল টিথ) দুটি লম্বা হওয়ায় সবাই তাকে ডাকে ড্রাকুলা স্যার বলে। পেশায় সে একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক।
পরিচালকের ꦫকথায় এটি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। ‘ভ্যাম্পায়ার হতে গেলে তার(রক্তিমের) নিজের তো একটা গল্প প্রয়োজন, সে কারণেই ১৯৭১-এর প্রেক্ষাপট নিয়ে আসা। সেই গল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মঞ্জরী, যে চরিত্রে অভিনয় করছেন মিমি। সে এক নিঃসঙ্গ, বিষন্ন নারী’। পরিচালক দেবালয়ের কথায়, 'পর্দায় আগে কখনও মিমির এই দিকটা তুলে ধরা হয়নি। তাই চিত্রনাট্য শুনে এক কথাতেই ছবির জন্য হ্যাঁ করেছেন যাদবপুরের সাংসদ'।
ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন দেবালয় এবং কল্লোল লাহিড়ি। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা মিলবে রুদ্রনীল ঘোষ, বিদীপ্ত চক্রবর্তীর।ড্রাকুলা স্যারের মিউজিকের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন সাকি এবং অমিত-ইশান জুটি। ড্রাকুলা বা ভ্যাম্পায়ার হলিউডের একটি প্রচলিত জঁর হলেও বাংলায় এই নিয়ে তেমন কাজ হয়নি। সেই জায়গা থেকেই এই ছবির বিষয়বস্তটা বেশ ভাবাচ্ছে দর্শক🎃দের।