সলমন খানের বজরঙ্গি ভাইজানের সেই ছোট্ট মু্ন্নিকে মনে আছে তো? যাঁর সাবলীল অভিনয় মন জিতে নিয়েছিল আট থেকে আশির। প্রায় গোটা ছবি জুড়ে ছিল না একটাও ডায়লগ, তবে হর্ষালির সুযোগ♒্য অভিনয় সংলাপের অভাব একবারের জন্য বুঝতে দেয়নি। খুদে মুন্নি এখন বেশ বড় হয়ে গিয়েছে।বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শৈশব পেরিয়ে কৈশরে পা দিল সে। বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে দারুণ উচ্ছ্বসিত হর্ষালি। একের পর এক কেক কেটে জন্মদিনের জমজমাট সেলিব্রেশন করল সে, যদিও করোনার জেরে কেবলমাত্র পরিবারের সঙ্গেই এই বিশেষ দিনের আনন্দভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পেল সে।
জন্মদিনে গোলাপি-সাদা বেলুনে সেজে উঠেছিল হর্ষালির বাড়ির ড্রয়িং রুম। পিছনে ঝুলಞতে হ্যাপি বার্থ ডে লেখা বেলুন। গোলাপি রঙা গাউন পরে গোলাপি রঙেরই কেক কাটতে ব্যস্ত হর্ষালি, সঙ্গে গলায় ঝুলছে মানানসই নেকপিস। কেকের উপর বড় বড় হরফে লেখা- ‘অফিসিয়্যালি এবার টিনএজার’।
এই পোস্টের ক্যাপশনেও নিজের কৈশরে পর্দাপর্ণের কথাই লিখেছেন হর্ষালি মালহোত্রা। খুদে তারকার তেরো বছরে♔র জন্মদিনে একটা- দুটো নয়, মোট পাঁচ পাঁচটা কেক কেটেছেন হর্ষালি। রঙ বেরঙের বেলুন ও পার্টি ডেকোরেশন দিয়ে সেজে উঠেছিল গোটা বাড়ি। হর্ষালির শেয়ার করা প্রতিটি ছবিতে লাইক-কমেন্টের বন্যা।
নেটিজেনরা রীতিমতো অবাক হর্ষালির এই পরিবর্তন দেখে।মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে অনেকটা বড় হয়েছে এই কন্যে♚। আর ততটাই সুন্দরী হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে হর্ষালির ফলোয়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়, ১ মিলিয়ানের বেশি মানুষ হর্ষালিকে ফলো করেন। ২০১৫ সালে যখন বজরঙ্গি ভাইজান মুক্তি পায় তখন মাত্র ৭ বছর বয়স ছিল হর্ষালির। ৮০০০ জন মেয়ে মুন্নি চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিল, তার মধ্যে থেকে কবীর খান বেছে নেন হর্ষালিকে।
বজরঙ্গ ভাইজান ছবি ছাড়াও, ‘কবুল হ্যায়’ ও 'লট আও তৃষা𝕴'র মতো সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন হর্ষালি, একাধিক জনপ্রিয় বি✃জ্ঞাপনেও দেখা মিলেছে তাঁর। এখন অবশ্য পড়াশোনা নিয়ে একটু ব্যস্ত সে। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি টান বজায় রয়েছে সমানভাবে।