সোমবার অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাক🐻 ঘুরে বিবাহের বন্ধনে সাত জনমের জন্য বাঁধা পড়েছেন রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখা। এদিন পরিণতি পেল জুটির এগারো বছরের প্রেম। বলিউডের অন্যতম পছন্দের জুটি তাঁরা, চণ্ডীগড়ে পরিবার ও কাছে🐲র বন্ধুদের উপস্থিতিতে বিয়ের পর্ব সারলেন দুজনে। এদিন বাংলার জামাই হলেন ‘শহীদ’, ‘আলিগড়’, ‘নিউটন’-এর মতো বহুচর্চিত ছবির নায়ক। বিয়ের দিন বাঙালিয়ানা ভুললেন না বঙ্গতনয়া পত্রলেখা পাল। হাতে মেহেন্দি নয় আলতা, পরনে শাঁখা-পলা, মাথার ওড়নায় বাংলায় লেখা- ‘আমার পরাণ ভরা ভালোবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’।
সোমবার সন্ধ্যায় ভাইরাল হয়ে যায় জুটির বিয়ের একগুচ্ছ ছবি। রূপকথার প্রেম কাহিনি পেল কাঙ্খিত পরিণতি, আর চোখ মেলে দেখল সকলে। 🐈বিয়ের পর সোমবার সন্ধ্যাতেই রাজকুমার-পত্রলেখার প্রথম পর্বের রিসেপশনের পালা ছিল। আর নবদম্পতির বৌভাতের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে আনলেন খোদ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। এদিন জুটিকে আর্শীবাদ দিতে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিয়ের পর রিসেপশনেও সব্যসাচীর পোশাকেই সাজ🦋লেন পত্রলেখা। নায়িকার পরনে এদিন দেখা মিলল সাদা-গোল্ডেন শাড়ি, সঙ্গে নেওয়া কাশ্মীরি শাল, গলাভর্তি হার, সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর, আর মুখে চওড়া হাসি। পত্রলেখার এই লুক মনে করাল দীপিকার রিশেপশনের একটি লুককে। পত্রলেখা বাঁ দিকে স্যুট আর কালো বো-টাই'তে ধরা দিলেন রাজকুমার রাও।
বিয়ের ছবি শেয়ার করে রাজকুমার রাও লেখেন, ‘আমাদের ১১ বছরের ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, প্রেম,রোম্যান্স, আনন্দ পেরিয়ে আমার জীবনের সমস্তকিছুকে আমি আজ বিয়ে করলাম। আমার প্রাণের দোসর, আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, আমার পরিবার। আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুখ আমি তোমার স্বামী। পত্রলেখা.. আমাদের চিরদিনের যাত্রা শুরু হল🐬’।
বিয়ের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন পত্রলেখাও। লিখেছেন, ‘আজ আমি আমার জীবনের সবকিছুর সাথে বিয়ে করলাম💖…’ পত্রলেখার পোস্টেও কমেন্ট করতে দেখা গেল প্রিয়াঙ্কাকে। লিখলেন, ‘তোমাদের দু'জনকে অসাধারণ লাগছে। শুভেচ্ছা।’ তাপসী পান্নু লিখলেন, ‘একে-অপরের জন্যর ওপর ভরসা হয়ে গেল আজ শুধুꦜ তোমাদের জন্য। অনেক শুভেচ্ছা।’