শনিবার Hindustan Times Leadership Summit (HTLS)-এর মঞ্চ বিনোদন জগতের বড়সড় ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল। এদিন এই মঞ্চে উপস্থিত হলেন হলিউডের সুপারস্টার শার্লিজ থেরন। গত বছরের Hindustan Times Leadership Summit (HTLS)-এ হাজির হয়েছিলেন জর্জ ক্লুনি। কিন্তু সেটি ছিল অনলাইন মাধ্যমে। তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন অনিল কাপুর। এবার থেরন হাজির হলেন সশরীরে। তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসলেন করণ জোহর। আর গোড়াতেই প্রশ্ন, বলিউডের মতো কি হলিউডেও নেপোটিজম নিয়ে আ🦋লোচনা হয়?
শার্লিজ থেরন হলিউডের একেবারে প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসাবে পরিচিত। ইতিমধ্যেই ‘মনস্টার’ ছবির জন্য অস্কার পেয়েছেন তিনি। দু’টি নমিনেশন রয়েছে🉐 তাঁর ঝুলিতে। অথচ এহেন নামজাদা অভিনেত্রী মোটেই এমন কোনও পরিবার থেকে আসেননি, যার সঙ্গে বিনোদন জগতের কোনও রূপ কোনও সম্পর্ক আছে।
জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। ইচ্ছা ছিল নাচকেই পেশা হিসাবে নেবেন। সেই ইচ্ছাতেই প্রথমে ইতালির মিলানে যাত্রা। তখন বয়স ১৬ বছর। তার পরে ১৮ বছর বয়সে হলিউডে যাওয়া। বাবা-মা ছিলেন ব🐭াড়ি তৈরির পেশার সঙ্গে যুক্ত। ছোট থেকে এমন কোনও পত্রিকাও হাতে আসেনি, যাতে সেলিব্রিটিদের খবর থাকত— এমনই জানালেন শার্লিজ। বললেন, সিনেমা দেখতে হলেও ছুটির দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্ট🅺া গাড়ি চালিয়ে যেতে হত অনেক দূরে। সেখানেই তিন জনে মিলে দেখতেন সিনেমা। উপভোগ করতেন। এভাবেই এক সময়ে ইচ্ছা জাগে ওই জগতের অংশ হওয়ার। সেই কারণেই মিলান হয়ে হলিউডে।
এই সূত্রে করণ প্রশ্ন করেন, ‘কয়েক বছর ধরে ভারতীয় বিনোদন জগতে একটি বড় বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে নেপোটিজমের বিষয়টি। এমনকী আমেরিকার সংবাদপত্রেও এই বিতর্ক🉐টি এক সময়ে উঠে এসেছে। হলিউডে এই নেপোটিজমের বিষয়টি কতটা প্রাধান্য পায়?’
এই প্রশ্নের উত্তরে শার্লিজ থেরন বলেন, তিনি যখন হলিউডে আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে সেই জগতের কারও কোনও সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু হলিউডে এসে তিনি এমন কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি বলেও জানান। বলেন, কাজের ক্ষমতা, প্রতিভার দাম সব সময়েই দেওয়া🐼 হয় সেখানে। যদিও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত পরিবার থেকে আসা সদস্যরা কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা পান বটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরাই টিকে থাকতে পারেন, যাঁদের টিকে থাকার ক্ষমতা আছে। তাঁর মতে, বিনোদন জগতের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত🔥্বপূর্ণ কথা।