প্রখ্যাত প্রোডাকশন ডিজাইনার নীতিন দেশাই, যিনি লগন এবং হাম দিল দে চুকে সনমের মতো ব্লকবাস্টার সিনেমার সেট তৈরি করেছিলেন, তিনি ৯৬তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ꦍডসে ‘ইন মেমোরিয়াম’ বিভাগে সম্মানিত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন।প্রতি বছর, অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস তার ইন♉ মেমোরিয়াম মন্তাজে গত এক বছরে প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানায়।
২০২৩ সালের ২ অগস্ট মুম্বইয়ের কাছে কারজাটে নিজের স্টুডি෴ওতে ৫৭ বছর বয়সী দেশাইকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি যোধা আকবর এবং প্রেম রতন ধন পায়োর মতো চলচ্চিত্রের পাশাপাশি, জনপ্রিয় টিভি কুইজ শো কৌন বনেগা🌠 ক্রোড়পতিতেও তাঁর শিল্পকর্মেরඣ পরিচয় দিয়েছিলেন।
৩০ বছরেরও বেশি সময়ের কর্মজীবনে, বিধু 𒐪বিনোদ চোপড়া, সঞ্জয় লীলা বনশালি, রাজকুমার হিরানি এবং আশুতোষ গোয়ারি🀅করের মতো পরিচালকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন নীতিন দেশাই।
দীর্ঘ সময় আর্ট ডিরেকটর ও প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার পর, দেশাই ছবি পরিচালনা ও প্রযোজনাতেও হাত দেন। ২০০৩ সালে তিনি 'দেশ দেবী মা আশাপুরা' ছবিটি প্রযোজনা করেন। শ🎐ুধু সিনেমা নয়, দেশাই টিভি সিরিয়ালও প্রযোজনা করেছিলেন। দেশাইয়ের প্রযোজনায় মারাঠি সিরিয়াল 'রাজা শিবছত্রপতি' ব্লকব্লাস্টার হয়।
অস্কার ২০২৪-এর ‘ইন মেমোরিয়াম’ সেগমেন্টটি রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সেই নাভ♔ালনির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয়েছিল, যিন🍰ি গত মাসে মারা যান। নাভালনিকে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র গত বছর ফিচার ডকুমেন্টারি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছিল।
এর💛 আগে অস্কারের ২০২১ সংস্করণে, অভিনেতা ইরফান খান এবং অস্কারজয়ী পোশাক ডিজাইনার ভানু আথাইয়াকে শ্রদ্ধাঞ্জলি বিভাগে দেখানো হয়েছিল। আর বলিউড তারকা ঋষি কাপুর এবং সুশান্ত সিং রাজপুতকে একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের (এএমপিএএস) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছিল।
নীতিন দেশাই-এর না ফেরার দেশে পাড়ি দেওয়া:
২০২৩ সালের অগস্ট মাসে আত্মহত্যা করেন নীতিন দেশাই। কর্জাতে তাঁর এন♔ডি স্টুডিয়ো থেকে দেহ উদ্ধার করার পর নড়ে বসেছিল গোটা দেশ। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন বলে জানা যায় তারপরে। নীতীনের মাথায় ছিল বিপুল ঋণের বোঝা।
এরপর নীতিনের মেয়ে মানসী জানায়, ♕করোনা পরবর্তী সময়ে যে কোম্পানির থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তাঁর বাবা, সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ছাড়ের অনুরোধ করেছিলেন। সময় চেয়েছিলেন, যাতে তারা তাকে পাওনা পরিশোধ শেষ করার সময় দেয়। কিন্তু সেই কোম্পানি ‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ দেয় ও প্রয়াত আর🔯্ট ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে। যা বড়সড় আঘাত হেনেছিল তাঁর মনে। ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর বাবা।