'পৃথিবীর সব থেকে সুন্ꦯদর মানুষ তুমি। তোমায় ছাড়া সব মিথ্যে। আজ তোমায় জানাই হ্যাপি মাদার্স ডে।' ১২ মে, রবিবার, এই কথাটাই হয়তবা বহু সন্তান তাঁর মায়েদের উদ্দেশ্যে অস্ফুটে বলছেন, তা সে তারকা হোক কিংবা সাধারণ…। আন্তর্জাতিক মা দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় উঠে এল জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর মায়ের কিছু স্মৃতি।
২০২১-এ মাকে হারিয়েছিলেন জনপ্রিয় গাায়ক অরিজিৎ সিং। সেটাও ছিল মে মাস। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল অরিজিতের মা অদিতি সিং। যদিও পরে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপরেও মাত্র ৫২ বছর বয়সেই সেরিব্রাল স্ট্রꩵোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অরিজের মায়ের। সেসময় কলকাতারই এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
জানা যায়, মা অদিতি সিং-ই ছিলেন আজকের এই খ্যাতনামা গায়ক অরিজিতের প্রথম শিক্ষাগুরু। খুবই অল্পবয়সে মায়ের হাত ধরেই গানের জগতে প্রবেশ করেছিলেন🐽 অরিজিৎ। অদিতি সিংও গান গাইতেন। তিনিই একদিন স্বপ্ন দেখেছিলেন, ছেলে অরিজিৎ নামী গায়ক হবে। অদিতি দেবীর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আজ সারা পৃথিবী অরিজিৎ সিং-কে এক নামেই চেনে। তবে জিয়াগঞ্জের এই ছেলেটি একদিন মায়ের হাত ধরেই হেটেছিলেন অসাধারণ হওয়ার পথে। যদিও সেসময় তাঁর পারিবারের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভালো ছিল না বলেই জানা যায়। তাই অনেক কষ্ট করেই দুই ছেলেমেয়েকে বড় করে তুলেছিলেন অদিতি সিং। তবে শুধু ছেলেকেই নয়, এই মায়ের হাত ধরে গানের দুনিয়ায় আজ প্রতিষ্ঠিত অরিজিতের বোন, অদিতি সিং-এর মেয়ে অমৃতা সিংও।
রবিবার ১২ মে আন্তর্জাতির মা দিবসে, অরিজিতের ফ্যানপেজে উঠে এল তাঁর মা অদিতি সিংয়ের সঙ্গে গায়কের কিছু অদেখা মুহূর্ত….। কোলাজ করা ৪টি ছবির মধ্যে দুটিতে🌸 মাকে জড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে অরিজিতকে। আর বাকি দুটির একটিতে অদিতি দেবীকে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইতে দেখা গিয়েছে। আরেকটিতে রান্না ঘরে দেখা গিয়েছে গায়কের মাকে। ছবির ক্যাপশানে অরিজিতের হয়ে লেখা হয়েছেন, ‘হ্য়াপি মাদার্স ডে মা’।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে 🦄২০ মে মৃত্যু হয়েছিল অদিতি সিং-এর। সেসময় জানা গিয়েছিল মা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে চিকিৎসার 🗹জন্য জিয়াগঞ্জ থেকে প্রথমে বহরমপুর মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে যান গায়ক। সেসময় স্ত্রী কোয়েলও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। পরে অদিতি সিং-কে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। একমো ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপরই তাঁর শরীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। প্রয়োজন ছিল O নেগেটিভ রক্তের। বিরল ব্লাড গ্রুপ হওয়ায় তা পাওয়া ছিল চ্যালেঞ্জিং। তবে রক্ত মিলেছিল, কোভিড-মুক্তও হয়েছিলেন অদিতি সিং। তবু শেষরক্ষা হয়নি, সেদিন মাল্টি অর্গান ফেলিওরের জেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অরিজিৎ-এর মা।
কিছুদিন আগেও কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে মাকে নিয়ে গায়ক অরিজিৎ বলেছিলেন, ‘আমি কলকাতায় এই প্রথ♏ম প্রোগাম করছি, মা নেই! এর আগে যখন প্রোগাম করেছিলাম মা ছিল। মায়ের অসুস্থতার সময় আমাকে না অনেকে সাহায্য করেছেন… থ্যাঙ্ক ইউ, ছোট থেকে বড়…অনেকে সাহায্য করেছেন। আমি সব✅ার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। আমরা বাঁচাতে পারিনি মানুষটাকে….যে যার সময়মতো সবাই চলে যায়। ধন্যবাদ, সেই সময় যাঁরা কলকাতাতে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন’।