๊ ঈশা আম্বানি পিরামল IVF (ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন)-এর মাধ্যমে তার যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ভোগ ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে, এই নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে। জানালেন, আইভিএফের প্রক্রিয়া কঠিন ঠিল, এবং তাকে শারীরিকভাবে ক্লান্ত করে তুলেছিল। ৩২ বছর বয়সী আম্বানি-কন্যা মনে করেন আইভিএফ নিয়ে তাঁর খোলাখুলি কথা বলার কারণ হল, এটি নিয়ে থাকা ছুৎমার্গ দূর করা।
ꦛমা নীতা আম্বানির মতো ইশাও আইভিএফের মাধ্যমে যমজ সন্তান ধারণ করেন। নীতা আম্বানি এর আগে IVF-এর সাহায্যেই গর্ভধারণের কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন যে, তিনি ভেঙে পড়েছিলেন যখন একজন ডাক্তার তাকে বলেছিলেন যে তিনি কখনই সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না।
ꦉ‘আমাকে ২৩ বছর বয়সে বলা হয়েছিল যে, আমি কখনaই গর্ভে সন্তান ধারণ করব না। আমি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলাম। তবে আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ড. ফিরুজা পারিখের সহায়তায় আমি প্রথম আমার যমজ সন্তান ধারণ করি।’
আইভিএফ নিয়ে ইশা-র বক্তব্য
⛎মা নীতা আম্বানির মতো ইশা আম্বানিও বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন না। ভোগ ইন্ডিয়াকে তিনি বলেন, ‘আমি জানাতে চাই যে, আমি আমার যমজ সন্তান আইভিএফের মাধ্যমে গর্ভে ধারণ করেছি। এভাবেই তো ব্যাপারটা স্বাভাবিক হবে। এটা নিয়ে লজ্জা পাওয়ার তো কিছুই নেই। এটি খুব কঠিন একটা প্রক্রিয়া। আপনাকে যখন এটার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, আপনি শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।’
ꦛরিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ও তার স্ত্রী নীতা আম্বানির একমাত্র মেয়ে ইশা আম্বানি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আনন্দ পিরামলকে বিয়ে করেন তিনি।২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর এই দম্পতি তাদের যমজ সন্তানকে স্বাগত জানান। তাদের নাম রাখা হয় আদিয়া ও কৃষ্ণা।
𒁏‘আজকের পৃথিবীতে যদি আধুনিক প্রযুক্তি থাকে, তবে কেন সন্তান জন্মদানের জন্য এটি ব্যবহার করা হবে না?’, ইশা প্রশ্ন তোলেন। ‘এটি এমন কিছু হওয়া উচিত যা নিয়ে আপনি উত্তেজিত, এমন কিছু নয় যা আপনাকে লুকিয়ে রাখতে হবে। আর আপনার চারপাশে যদি এমন মহিলারা থাকে, যাদের সঙ্গে আপনি মনের কথা ভাগ করে নিতে পারবেন, তাহলে তো কথাই নেই।’, বলেন তিনি।
দুই ভাইয়ের বউ-এর সঙ্গে ইশার সম্পর্ক:
♑ইশা আম্বানি তাঁর বৌদি শ্লোকা মেহতা আম্বানির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়েও মুখ খুলেছিলেন।
🌜ইশা, তাঁর যমজ ভাই আকাশ ও শ্লোকা একই স্কুলে লেখাপড়া করেছিলেন। একই সঙ্গে বড় বয়েছেন তাঁরা। ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে আমার ভাই যাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড শ্লোকা। বড় হতে হতে শ্লোকা আমার বোনের মতো হয়ে গেল। এমনকী এই মুহূর্তে, আমরা লন্ডনে একই বাড়িতে থাকি। আমরা মজা করে বলি যে আমরা আসলে একে অপরকে বিয়ে করেছি কারণ আকাশ এবং আনন্দ দুজনেই মুম্বইতে রয়েছে। আর আমরা এখানে নিজেদের বাচ্চাদের সঙ্গে আছি।’
🌃ইশাকে তার ছোট ভাই অনন্ত আম্বানির হবু স্ত্রী রাধিকা মার্চেন্টের সাথে তার সম্পর্ক সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।
ꦚ‘অনন্ত বরাবরই আমার জীবনে বেবি ফিগারের মতো, যাকে আমি আদর করেছি, তাই আমি রাধিকার দিকে মায়ের চোখে তাকাই। আমার মা, শ্লোকা এবং রাধিকা আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু।’