পুরুষদেরও কষ্ট হয়! দু-দিন আগে ঋষি কৌশিকের ফেসবুক ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড়। ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই, এবার স্পষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়েছে ঋষি কৌশিক ও তাঁর ১২ বছরের বিবাহিত স্ত্রী দেবযানীর মধ্যেে। গত কয়েকদিন ধরেই টলিউডে একের পর এক বিচ্ছেদের খবর। এর মাঝেই স্ত্রী দেবযানীকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ঋষির। আরও পড়ুন-‘সেক্স কেন বেডর💎ুমে..’, প্যারিস অলিম্পি🃏কে ‘নগ্ন শরীরে’ রং মেখে যিশুকে ব্যঙ্গ, বামেদের দুষলেন কঙ্গনা!
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরতা দেবযানীকে ২০১২ সালে বিয়ে করেছিলেন ছোটপর্দার এই তা꧋রকা। বহুবার টিভির পর্দায় একসঙ্গে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে দুজনকে। ঋষির ফেসবুক ভিডিয়োꦐ দেখে তাজ্জব সকলেই। নাম না করেই দেবযানীর ‘বেপরোয়া জীবনযাপন’কে বিঁধেছেন ঋষি। তিনি বলেছেন, ছেলেটি একটা সময় স্ত্রীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ পর্যন্ত করে দিতে চেয়েছিল।
ঋষির মুখে এইসব শুনে স্তম্ভিত, চিন্তিত তাঁর শুভাকাঙ্খীরা। এই কঠিন ♒সময়ে সহ-অভিনেতা তথা বন্ধুর পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। স্টার জলসার ইষ্টি কুটুম ধারাবাহিকে রণিতা দাস সরে দাঁড়ালে বাহার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুদীপ্তা। বাহা হিসাবে রণিতার জনপ্রিয়তা ছুঁতে না পারলেও ঋষির সঙ্গে তাঁর রসায়নও কম নজর কাড়েনি।
পুরোনো বন্ধুর ফেসবুক পোস্টে সুদীপ্তা লেখেন, ‘শরীরে রোগ হোক বা মনে, যা নিজেকে কষ্ট দেয় তা শরীর থেকে 📖কেটে ফেলায় 🐼ভয় পেও না। সাময়িক কষ্ট হলেও জানবে রোগমুক্ত হলে’।
নিজের ফেসবুক ভিডিয়োয় ঠিক কী বলেছেন ঋষি?
কারুর নাম না করেই ঋষি বলেন,‘ ১২ বছর আগে একটি ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হয়। যদিও মেয়েটি ও ছেলেটিꦛর জীবনযাত্রা একেবারেই আলাদা। তা বুঝতে পেরেই নাকি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাননি সেই ছেলে। কিন্তু নিজেকে বদলে ফেলার আশ্বাস দেন মেয়েটি। এই মর্মেই মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হন সেই ছেলে। তবে বিয়ের পর থেকে নিজেকে বিন্দুমাত্র বদলাননি তিনি, বরং তা ক্রমশ বেড়েছে।’ অভিনেতা আরও জানান, মেয়েটি বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরতা। এর সঙ্গে ছেলেটির পেশার সঙ্গেও টুকটাক যুক্ত। তিনি তাঁর বরকে কথায় কথায় চাকরির খোঁটা দেন। স্বামীর উপর চলে নজরদারি। ঋষি সেই মেয়ের বেপরোয়া জীবন নিয়ে আরও বললেন, ‘ধূমপান, মদ্যপান, রাত্রে পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, একেই কি বলে আধুনিকা নারী?’
সংসারে শান্তি টিকিয়ে রাখতে এবং সম্পর্ক না ভাঙতে চেয়ে সেই মধ্যবিত্ত মানসিকতার ছেলেটি নাকি এতদিন সব সহ্য করেছে। একটা সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজের জীবন পর্যন্ত শেষ করতে চেয়েছে, তাতেও মেয়েটির কোনও হেলদোল নেই। বরং এখন সে আরও বেপরোয়া এবং উৎশৃঙ্খল জীবনে মেতে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে 𓆏ওই ছেলেটির কী করণীয়? জানতে চেয়েছেন ঋষি। সেই উত্তরই দিলেন বান্ধবী সুদীপ্তা।
ওদিকে বিয়ে ভাঙার প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস🦄 বাংলার তরফে ঋষি কৌশিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ🍎ই মুহূর্তে এই বিষয় নিয়ে তাঁর মিডিয়ার সামনে কিচ্ছু বলার নেই। অন্যদিকে দেবযানীর ফোন বেজে গেলেও ওপার থেকে উত্তর আসেনি!