দীর্ঘ বছর টানা প্রেম করার পর ১৯৮৭ সালের ৫জুন আয়েশা শ্রফের সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধেন জ্যাকি শ্রফ। উল্লেখ্য, ৫ই জুন আয়েশার জন্মদিনও বটে। প্রায় ত🌄িন দশক পেরিয়ে এসেও আজও অটুট জ্যাকি-আয়েশার সম্পর্ক এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ভালোবাসা। এদিন তাঁদের বিয়ের ৩৪তম বছর উদযাপন করছেন এই জুটি। সেই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবেগঘনভাবে জ্যাকি জানান তাঁর জীবনে আয়েশা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
জ্যাকির কথায়, ' আমি খুব ভালো কথা বলতে পারি না। হয়তো তাই মনের ভাবঅপ্রকাশ করতে পারি না। তবে এটুকু বলতে পারি একজন স্ত্রী, একজন মা, একজন মেয়ে এবং সর্বোপরি একজন বন্ধু হিসেবে আয়েশা সবদিক থেকেই যাকে বলে পিকচার পারফেক্ট। আমি ওঁর থেকে কাউকে ভালো আমার জীবনে আশা করতেই পারি না। আয়েশা আমার জীবনটাকে পরিপূর্ণ করে তুলেছে। সবদিক থেকেই। আয়েশাই যে আমার জীবনে সবথেকে বড় উপহার এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই আমার!' কথা শেষে দৃপ্ত স্বরে 'জগ্গু দাদা' আꦡরও জা🀅নান যে তাঁর 'ভোলে'-ই সবথেকে বড় আশীর্বাদ তাঁর কাছে। প্রসঙ্গত, আদর করে নিজের স্ত্রীকে 'ভোলে' বলে ডাকেন জ্যাকি।
জানিয়ে রাখা ভালো, মাত্র ১৩ বছর বয়সে জ্যাকিকে প্রথম দেখেছিলেন আয়েশা। তিনি তখন স্কুলে। জ্যাকিও তখন তরুণ। মুম্বইয়ের এক বস্তিতে থাকেন। প্রথম দর্শনেই🔜 জ্যাকির প্রেমে পরে গেছিলেন আয়েশা। জ্যাকিরও স্কুল ফ্রক পরা মেয়েটিকে বেশ মনে ধরেছিল। ধীরে শিরে আলাপ গড়ায়। বেশ কয়েক বছর পর জ্যাকি ও আয়েশা যখন দুজনেই যুবা বয়সের চৌকাঠ পারলেন, বুঝেছিলেন তাঁরা পরস্পরের তীব্র প্রেমে পড়েছেন। এমনকি জ্যাকির তৎকালীন প্রেমিকার সঙ্গে তাঁকে ভাগ করে নিতেও পিছপা হবেন না বলে জানিয়েছিলেননি আয়েশা।জ্যাকিকে এতটাই ভালোবাসতেন তিনি। আয়েশার এই মনোভাবই চোখ খুলে দিয়েছিল তারকা-অভিনেতার। এরপর আর পিছনে ফায়ার তাকাননিও তি﷽নি। আয়েশার সঙ্গে সেই যে তাঁর সম্পর্ক শুরু হয়েছিল তা আজও অবিচ্ছেদ্য।