আজ রাখি পূর্ণিমা। ভাই-বোনেদের উত্সবের দিন। আজ বোনেদের রক্ষার শপথ গ্রহণ করেন ভাইয়েরা। এই বিশেষ দিনটিতে যাদবপুরের তারকা সাংসদ ভুলে গেলেন না ‘বৃহত্ পরিবারকে’। সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এদিন যাদবপুরবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন রাখির আনন্দ। মিমির তরফে এদিন বিশেষ উপহার পৌঁছে গিয়েছে ভাইরাল চা কাকুর বাড়িতে। যাদবপুরের বাসিন্দা ভাইরাল চা কাকু মৃদুল দেবের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নায়িকা, করোনা সংকটে আর্থিক সাহায্য করে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই দিনমজুরের। সেই সাহায্যের হাতটাই আরও শক্ত করলেন মিমি। এই বিশেষ দিনে মুকুল দেবের বাড়িতে পৌঁছে দিলেন রাখি, মিষ্টি। সাংসদের কাছ থেকে এই উপহার পে🔜য়ে আহ্লাদে আটখানা মুকুল বাবু। তিনি স্বপ﷽্নেও ভাবেননি, নিজের ব্যস্ত শেডিউলের মধ্যেও মুকুল বাবুকে এভাবে মনে রাখবেন নায়িকা। রাখির মতো দিনে ‘বোন’ মিমি চক্রবর্তীর তরফে আসবে এই উপহার।
এইদিন শুধু মৃদুল দেবই নন যাদবপুরের বহু একালাবাসীর সঙ্গেই সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন মজবুত করতে রাখির সারপ্রাইজ গিফট পাঠিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে মিমির সঙ্গ♍ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় রাখি বন্ধন এমন একটা উৎসব যেখানে , রাখি পরানো মানে শুধু সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেওয়াই নয়, এর অর্থ হল ভালোবাসা ও আন্তরিকতা ছড়িয়ে দেওয়া। একে অপরকে জানানো যে আমার একসঙ্গে আছি, একে অপরের পরোয়া করছি। আমার জন্য রাখির মানে এটাই যে আমরা সবাই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই যেন সবার কেয়ার করি এবং ভালোবাসা ছড়িয়েদি....আর আমি শুধু ওনাকেই উপহার পাঠায়নি এমন অনেককে পাঠিয়েছি ।

মোর্দীর ডাকে গত ২২ মার্চ জনত🎶া কার্ফুতে শামিল হয়েছিল গোটা দেশ। করোনা সংক্রমনের আতঙ্কের মাঝেই জনতা কার্ফু উপেক্ষা করে শহর কল🦩কাতায় চায়ের দোকানে ভিড় জমিয়েছিল একদল হুজুগে বাঙালি। সেই দলেই ছিলেন মৃদুল দেব। সাদামাটা জামাকাপড়, ক্লান্ত চাহনি এবং গালভর্তি হাসি নিয়ে এই মাঝবয়সী কাকুর মুখে বাঙালি শুনেছিল একটি লাইন 'আমরা কি চা খাবো না? চা খাব না আমরা?' তারপর থেকেই তিনি হয়ে যান ‘ভাইরাল চা কাকু’। \ যাদবপুরের এই বাসিন্দার আর্থিক দুরাবস্থার কথা সামনে আসবার পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।